ছুটন্ত ছেলেটার পড়ন্ত বিকেলের শেষ সূর্যটার সাথে ছুটে চলার সর্বশেষ অভ্যাসটুকু কবে শেষ হয়েছে অবচেতনভাবে, তা সে বুঝতেই পারেনি। তাই আজ ছুটন্ত ছেলেটার পড়ন্ত বিকেলের শেষ আভাময় সূর্যের শেষ অপরুপটা আর দেখা হয়না
রবীন্দ্রনাথের ফটিক আজ অনেক বড় হয়েছে। আধাঁরময় রুমের মধ্যে আজ সে আলো আধাঁরের গোপনীয় খেলার মানে কি খুজেঁ। নীরবতার গভীরতা কতটুকু গভীরতম হতে পারে তা হয়ত মাপা যায় না তবুও ত গভীরতার শেষ তলদেশে গিয়ে আবাসস্থল করে স্বপ্নের সাথে কথা বলার যে বৃথা চেষ্টা সে করে তার কোন মানে নেই জেনেও স্বপ্নের সাথে একবার আলিঙ্গন করার যে স্বপ্নবিলাসী মনোভাব, তা হয়ত নিজেই নিজেকে মানানোর নূনতম প্রয়োজনবোধ এখন সে মনে করে ।
নিদ্রাদেবীর পদতলে নিজেকে সমর্পন করেও নিদ্রাদেবীর দেখা না পেয়ে জাগ্রত নয়নে সারা রজনী পার করার মাঝেই যে আনন্দ, সে আনন্দটাই যখন কেড়ে নেয় নিষ্টুরভাবে, নিষ্ঠুরতার চরম দু:খের আবেশী পরশের চরম সুখানূভূতির অনুভূতিগুলোকে অনুমতি দিয়ে নিজের মনের অন্দরমহলে প্রবেশকরার প্রবেশাদিকার দেয়া হয় কাউকে নিজের মনের অজান্তে, তখন কি আর রাতের গভীরতা মাপা যায়? আর সে রাতের গভীরতা না মাপতে পারলে চোখে কি আর ঘুম আসবে? ঘুম না আসলে চোখের পাতার কি আর দোষ থাকে? চোখের পাতা এক না হলে চোখের মনির কি আর দোষ থাকে? চোখের মনিতে যদি আবছা কোন মায়ামুখী ছায়া বেশে উঠে তখন কি আর চোখের মনির কোন দোষ থাকে?
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০০