somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

“আমি ব্যাচলর,আমি গর্বিত ব্যাচলর”

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ব্যাচলর সম্প্রদায় প্রাণীদের যুগের ভিত্তিতে নিরুপন করতে গেলে প্রস্তরযুগে এরা শুধু লজ্জাস্থান চামড়া দিয়ে ঢেকে এক সম্প্রদায় হতে অন্য সম্প্রদায়ে ঘুরে ঘুরে পাখি শিকার করে সবাইকে খাওয়াত।মধ্যযুগে এরা বাড়ি বাড়ি লজিং মাস্টার থেকে জ্ঞান বিতরনে ব্যাস্ত ছিল।সাদা পায়জামা আর পান্জাবী পড়ুয়া আর সরিষা তৈলের ছাপটা মারা মাথার মাঝখান দিয়ে চুল আচরানো শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা ছেলেটিকে সম্মান করত সারা এলাকাবাসি।

আধুনিক যুগের ব্যাচলররা খুব প্রতাপ নিয়ে এই কিছুদিন আগেও বিচরন করেছে।হাতে গোনা কিছু বাড়িওয়ালা ছাড়া বাসাবাড়া দিতে কুন্ঠাবোদ করত না।আর যদি বাড়িওয়ালা বা প্রতিবেশির যদি একটা বা দুটো অবিবাহিত মেয়ে থাকে তাহলে এক্সাটা কিছু এডবান্টেজ অটো পাওয়া যেত।চাপাতি,চিনি,লবন হতে শুরু করে বুয়া না আসলে খাবারের ব্যাবস্তাও হয়ে যেত।যা বাড়িওয়ালারা দেখেও না দেখত।বাচলররা খুব গর্ব করে বলত ‘বাড়িওয়ালাদের বাড়ি একটা, আর ব্যাচলরদের বাড়ি হাজারটা।

কিন্তু সমাজে ব্যাচলরদের আজকাল যে অবস্থা এভাবে চলতে থাকলে কিছুদিন পর আর একটাকেও খুজেঁ পাওয়া যাবে না।হেয় হয়ে আমগাছ আর জামগাছ তলায় কতোদিন থাকবে ।এর ফলে লিভটুগেদারের পরিমান বেড়ে যাবে।অথবা মুসলমানি হওয়ার আগেই ছেলেরা বিয়ে করে ফেলবে।এতে জনসংখ্যার গনবিষ্ফোরন ঘটবে।আর ১৮+ বলে কোন সতর্কবাণী থাকবে না।থাকবেনা নতুন নতুন উটেরমতো চুলের স্টাইল,বাসার ছাদে গিয়ে দুপা মেলিয়ে চাঁদ মামার দিকে তাকিয়ে কেউ আর আকাশের দিকে বিড়ির ধুয়া ছারবেনা।বাসার ছাদ থেকে দাড়িয়ে দাড়িয়ে প্রস্রাব করার ফলে নিচের বাসার বাসিন্দার বেডরুমে গিয়ে আর পরবেনা সে লবনাক্ত পানি।রাস্তাঘাটে আর দেখা যাবে না দাড়িয়ে প্রস্রাব করার অদ্ভুদ সুন্দর সে চিত্র।মহল্লার দোখানটিতে দেখা যাবেনা চা সিগেরেট খেতে খেতে ইভটিচিং করা ছেলেটিকে।ফলে মেয়েরা সাজুগুজু করা বন্ধ করে দিবে।পাড়ার দোখানের ভিতর থেকে বসে বাড়িওয়ালাকে ভাই বলে ডেকে লুকিয়ে পরবেনা।আর সেই বাড়িওয়ালাকে সামনা সামনি পেলে সেই ছেলেটিই মাথা নত করে বলবে না ‘আংকেল কেমন আছেন,এ রেীদ্রে আপনি বাজার নিয়ে যাচ্ছেন,দেন আমার কাছে,আমিও বাসার দিকে যাচ্ছি।আর বাড়িওয়ালা গদগদ হয়ে বলবে ‘ইস ছেলেটা কত ভালো’।পাশের বাসা থেকে আসা রান্নাকরা সুস্বাদু খাবারের ঝাঝালো ঘ্রানে পেটে হাত দিয়ে আলু বর্তৃা আর পানি ডাল দিয়ে খেতে খেতে বিধাতাকে আর কেই বলবেনা “ইৃশ্বর থাকে ও ভদ্র পল্লীতে,ওখানে গেলে ওনাকে খুজিয়া পাওয়া যাইতে পারে”। মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাত পোহাবে না অথবা রাত তিনটার সময় রাস্তায় বের হয়ে প্রস্রাব দিয়ে ব্রেকআপ হওয়া প্রেমিকার নাম আর লিখবে না রাজপথে। এরকম হাজারটা ব্যাচলরের হাজার হাজার অদ্ভুদ সুন্দর পাগলাটে সব কীর্তিমান কর্মৃকান্ড আর ইতিহাসের পাতায় লেখা হবে না।

আজ তাদের হাটতে চলতে বসতে কথা বলতে ভয়…মনে করে সরকার পাছার মধ্যে সিসিক্যামেরা স্থাপন করে রেখেছে।এর ফলে তারা কুনোব্যাঙয়ের মতো ঘরকুনো হয়ে পরছে।এখন একটা যুদ্ধ বাধলে তারা ঝাপিয়ে পরবেনা।শাহবাগ চত্তরে আর উন্মাদনা দেখা যাবে না।নীলক্ষেত থেকে নীল ছবি আনতে কেউ আর যাবে না।যাবেনা ধানমন্ডির ব্যাচলর পয়েন্টে।কুপোত কুপিতির মত জোড়া হয়ে বসবেনা রমনার পার্কে।হাতিরঝিলের পানিতে আর ভাসবেনা বৈচিত্রময় সাদা প্যাকেট। আর এভাবে আরও কিছুদিন চললে ভিনগ্রহের প্রাণি এলিয়েন ভেবে দুএকটা ব্যাচলরকে বিভিন্ন গনমাধ্যম কর্মীরা খুজে বের করবে।আর প্রশ্ন করা হবে“ আপনার এ সাফল্যর পিছনে গোপন রহস্য কি?”। এরপর আরও কিছুদিন এভাবে চললে ডাইনেসর প্রানিদের মত কোন একসময় এ গ্রহে ব্যাচলর প্রজাতির প্রানির অস্তিস্থ ছিল কিনা তা নিয়ে গবেষনা করবে।খুজে বের করবে ব্যাচলরদের ফসিল।

তাই ব্যাচলরদের অস্তিস্থ টিকিয়ে রাখতে হলে এখনিই সঠিক পদক্ষেপ নিতে হবে।বিবাহিতরা ব্যাচলরদের আনন্দ দৃ:খের কষ্ঠটা বুঝবেনা কারন তারা..ত বিয়ে করার সাথে সাথেই মারা গিয়েছে।একজন ব্যাচলরই বুঝতে পারে ব্যাচলরে মনের কথা।তাই আমাদের দাবি..যারা বিবাহিত ‘‘‘আবার তোরা ব্যাচলর হ’’’।আর আমরা ব্যাচলরা লাখো কন্ঠে আওয়াজ তুলি….“আমি ব্যাচলর,আমি গর্বিত ব্যাচলর”।

…………………অতিথি
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:১৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

সম্পর্ক

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪২


আমারা সম্পর্কে বাঁচি সম্পর্কে জড়িয়ে জীবন কে সুখ বা দুঃখে বিলীন করি । সম্পর্ক আছে বলে জীবনে এত গল্প সৃষ্টি হয় । কিন্তু
কিছু সম্পর্কে আপনি থাকতে চাইলেও থাকতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×