সংলাপের জন্য গঠিত 'নাগরিক কমিটি' শুরুতেই সরকারের পক্ষে ওকালতি শুরু করেছে।কমিটি প্রধান শামসুল হুদার কথায় মনে হচ্ছে,চলমান সহিংসতার জন্য বিএনপি বা ২০ দল দায়ী।অথচ আওয়ামীলীগ অফিস থেকে উদ্ধার করা পেট্রল বোমা সম্পর্কে তাঁরা নীরব।বন্দুকযুদ্ধের নামে পাখির মতো বিএনপি-ছাত্রদল-জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী খুনের বিষয়ে তাঁরা নীরব।
তাঁদের কমিটি গঠনের উদ্দেশ্য হচ্ছে,আওয়ামীলীগের সাথে গলা মিলিয়ে দেশে বিদেশে সরকারের পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করা।একই সাথে ২০ দলীয় জোটের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানো।
তাঁদের ভূমিকা সত্যিকারের নিরপেক্ষ হলে,খালেদা জিয়ার অফিসে খাবার নিতে বাধা দেয়ার প্রতিবাদ জানাতেন।কিন্তু জানাননি।
তাছাড়া জনাব শামসুল হুদা প্রধান নির্বাচন কমিশনার থাকাকালিন সময়েই বিএনপিকে ৩০ আসনে বিজয়ী দেখানো হয়েছিল।আর সে নির্বাচনে বর্তমান ক্ষমতাসীনদের বিপুলভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল।জাতি এসব এখনো ভুলে যায়নি।
সত্যিকারের সংলাপের স্বার্থে,শামসুল হুদাকে প্রধান পদ থেকে সরিয়ে,অন্য কাউকে এ পদে নিয়োগ করা হোক।