তাছাড়া উপহার দিয়েছেন “ইটার্নাল সানসাইন অব দ্য স্পটলেস মাইন্ড” এর মত অসাধারণ সাই-ফাই রোমান্টিক সিনেমাও। আগামী ১৭ জানুয়ারী প্রিয় এই অভিনেতার ৫৪তম জন্মদিন। জিম ক্যারির জন্মদিন উপলক্ষে তার বিখ্যাত মুভি গুলো নিয়ে পর্ব আকারে আলোচনা করবোঃ
▲Dumb & Dumber (1994) । ডাম্ব এ্যান্ড ডাম্বার (১৯৯৪)
জনরাঃ কমেডি
আইএমডিবি রেটিংঃ ৭.৩/১০
কাস্টঃ জিম ক্যারি, জ্যাফ ড্যানিয়েল
পরিচালকঃ পিটার ফ্যারেলী ও ববি ফ্যারেলী
সিনেমার গল্প সাজানো হয়েছে লয়েড ও হ্যারি নামক দুই নির্বোধ (ডাম্ব) বন্ধুকে নিয়ে। দুজন বেস্ট ফ্রেন্ড ও রুমমেইট। মুল গল্প শুরু হয় যখন লিমোড্রাইভার লয়েড (জিম ক্যারি) একটি মেয়েকে ড্রাইভ করে ইয়ার্পোর্টে পৌঁছে দেয়া ও নাটকীয় ভাবে অই মেয়ের ব্রিফকেস তার কাছে চলে আসার মধ্য দিয়ে। ব্রিফকেসে ছিল প্রচুর টাকা যদিও লয়েড তা জানেনা। পরবর্তিতে লয়েড আর হ্যারি মিলে এই ব্রিফকেস অই মেয়ের কাছে পৌঁছে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
অন্যদিকে এই ব্রিফকেসের সাথে অনেক রোমাঞ্চকর ঘটনা যুক্ত রয়েছে। এভাবে দুই বন্ধু ব্রিফকেস পৌঁছে দেয়ার রোড-ট্রিপ মাঝখানে বিভিন্ন হাস্যকর ঘটনার শুরু।
আমার দেখা জিম ক্যারির ওয়ান অফ দ্যা হিলেরিয়াস কমেডি মুভি “ডাম্ব এ্যান্ড ডাম্বার”। ফিজিক্যাল কমেডিতে জিম ক্যারি কতটা অভিজ্ঞ তা সবারই জানা। ফিজিক্যাল কমেডিতে তার অভিনয়ের উৎকৃষ্ট উদাহরণ এই মুভিটি। প্রতিটা সিকুয়েন্সেই বিভিন্ন হিলেরিয়াস ঘটনা। হাসিতে গড়াগড়ি খাওয়ার মত অবস্থা। জিম ক্যারি আর জ্যাফ ড্যানিয়েল এর জুটি জাস্ট অসাধারণ ছিল এই মুভিতে। এই মুভিটির অনেক ফ্যান-ফলোয়িং আছে। কমেডি কাল্ট-ফলোয়িং।
সিনেমার পরিচালকদ্বয় ফ্যারেলী ব্রাদার এর ডেবিউ মুভি এটি এবং প্রথম মুভিতেই বাজীমাত।
ক্রিটিকেলি সার্থকতার পাশাপাশি বক্স অফিসে হিউজ কালেকশন। এই সিনেমার পর ফ্যারেলী ব্রাদারদের সম্পূর্ণ লাইফ চেইঞ্জ হয়ে যায়। মাত্র ১৭ মিলিয়ন ডলার বাজেটের এই সিনেমাটি আয় করে ২৪৭ মিলিয়ন ডলার।
▲Ace Ventura: Pet Detective (1994) । এইস ভেঞ্চুরাঃ পেট ডিটেক্টিভ (১৯৯৪)
জনরাঃ কমেডি
আইএমডিবি রেটিংঃ ৬.৯/১০
কাস্টঃ জিম ক্যারি, কার্টেনি কক্স, শন ইয়াং প্রমুখ
পরিচালকঃ টম শেডিয়েক
এইস ভেঞ্চুরা(জিম ক্যারি), একজন প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর। যে কিনা বন্দী ও চুরি হওয়া পশু-পাখিদের উদ্ধার কাজের জন্য বিখ্যাত। তার উদ্ধারকার্জের ধরন অনেকটা হাস্যকর ও কাণ্ডজ্ঞানহীন।
মুল গল্প শুরু হয় যখন বিখ্যাত ফুটবল চ্যাম্পিয়ান লীগ “Super Bowl” শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহ আগে একটি নিদিষ্ট টিমের “স্নো-ফ্লিক” নামক ডলফিন চুরি হওয়ার মধ্য দিয়ে। কেননা টিমের মালিক বিশ্বাস করেন এই ডলফিন তাদের টিমের জন্য অনেক লাকি এবং লীগ শুরু হওয়ার আগে ডলফিন কে খোঁজে বের না করলে টিমের অপারেটর ও হেড পাব্লিসিস্ট কে চাকরীচ্যুত করবে। পরবর্তিতে তারা এই ডলফিনকে খোঁজে বের করার দায়িত্ব দেন পেট ডিটেক্টিভ এইস ভেঞ্চুরা কে এবং শুরু হয় ডলফিন কে খোঁজার মিশন।
পেট ডিটেক্টিভ চরিত্রে জিম ক্যারির পার্ফমেন্স এক কথায় অসাধারণ। এই সিনেমাতেও জিম ক্যারি ফিজিক্যাল কমেডির ব্যাবহার করেছেন। কমেডির পাশাপাশি কিছুটা রহস্যের ছোঁয়াও রয়েছে এই সিনেমাতে। এই সিনেমায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে ছিলেন “ফ্রেন্ডস” টিভি সিরিজের “মনিকা গেলার” খ্যাত কার্টেনি কক্স। “ফ্রেন্ডস” সিরিজের ডাই-হার্ড ফ্যান হিসেবে তার উপস্থিতি ভাল লেগেছে।
মোটকথা দারুন এন্টারটেইনিং একটি মুভি। মুভিটি ক্রিটিক্সদের কাছে মিক্স রিভিউ পেলেও বক্স অফিসে দারুন ভাবে সফল।
পরিচালক টম শেডিয়েক আর অভিনেতা জিম ক্যারির জুটি মানেই বিশেষ কিছু। তাদের অন্যান্য বিখ্যাত কাজ “লায়ার লায়ার” ও “রুস অলমাইটি”। সুতরাং পরিচালক হিসেবে সে কতটা দক্ষ প্রমাণ তার কাজে গুলোতেই বিদ্যমান আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:২৫