somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্তিযুদ্ধে জিয়ার কোন ভূমিকাই ছিল না, স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া কিভাবে ?

১৪ ই মার্চ, ২০১৪ ভোর ৪:৩৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



২/৩ দিন আগে আমার এক আন্কেল যিনি আকজন রিটায়ার্ড পাকিস্তান আর্মি মেজর একটা মেসেজ দিল

"Tomar jonno ekta khobor ache. Tumi Google jeye Hilal-i-Jur'at - Wikipedia, the free encyclopedia enter korle dekhte pabe Major General Ziaur Rahman k Hilal i Jurat Precipitant hisabe dekano hoyese. Kono Bangali e projonto HJ pai nai. 65 war e 1 E. Bengale Col ATK Haque abong r ek jon Sitara Jurat peyechilen. Tobe ki Zia Mukti Joddhe Pakistaner Hoye Kaj korechilen bole take HJ deoa hoyechilo?"

বিষয়টা আমার কাছে পরিস্কার । প্রশ্নের মাঝেই উত্তর াছে ।

এখন কথা হল জিয়া কেমনে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় ? মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার কোন অধিকার ছিল কি ?


"বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতাকারী US Presiden Nixon এর কাছে CIA ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ অতি গোপনীয় যে রিপোর্ট দিয়েছিল, যা ইতোমধ্যে CIA কর্তৃক প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে সুস্পষ্টভাবে CIA প্রেসিডেন্টকে এই মর্মে অবহিত করেছে যে, Pakistan was thrust into civil war today when Sheikh Mujibur Rahman proclaimed the East Wing of the two-part country to be `the sovereign independent people’s republic of Bangladesh."

"স্বাধীনতার ঘোষণার বিষয়ে বিশ্ববিখ্যাত লন্ডন অবজারভার পত্রিকা ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ When Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Proclaimed the Independent of Bangladesh last week বিবশ শিরোনামে বিস্তারিত সংবাদ প্রকাশ করে। ৫ এপ্রিল (১৯৭১) দি টাইমস পত্রিকায় এক রিপোর্টে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, শেখ মুজিব বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও বিশ্বের বহু সংবাদ মাধ্যম ঐ সময় এই মর্মে প্রচার করে যে, বাঙালীদের নেতা শেখ মুজিব পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে একটি স্বাধীন প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করেছেন।"

ঘটনা যেইভাবে ঘটে :

মেজর জিয়া ২৫ মার্চ, (১৯৭১) পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর পক্ষে ‘সোয়াত’ জাহাজ হতে অস্ত্র খালাস করতে উদ্যত হয়েছিলেন, তার হঠাৎ করে কয়েক ঘণ্টায় দীর্ঘ ২৪ বছরের একটা সংগ্রামের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়ে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া কিভাবে ?

মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তিবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওসমানী ষড়যন্ত্রকারী ও উচ্চাভিলাষী মেজর জিয়াকে তিন তিন বার ‘ডিসমিস’ করেছিলেন। ঐ সময় জিয়ার নেতৃত্বাধীনে কোন সৈন্য ছিল না।

জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর অনুসারী স্বাধীনতাবিরোধী, সাম্প্রদায়িক মৌলবাদী, জঙ্গী-সন্ত্রাসবাদী, প্রতিক্রিয়াশীল, ভ-, স্বার্থপর ও অনুগ্রহপ্রত্যাশী বুদ্ধিজীবী এবং ক্ষমতালিপ্সু আমলা, রাজনৈতিক চক্র ওই ঘোষণার ব্যাপারটা নিয়ে ‘গোয়েবলসি’ কায়দায় ইতিহাস বিকৃত করে রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেছেন। তাদের সেই অপচেষ্টা এখনও অব্যাহত।

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ ভোরে চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা এমএ মান্নান, এমএ হান্নান ও আতাউর রহমান খান কায়সার পাঁচলাইশে অবস্থানরত অষ্টম ইস্ট-বেঙ্গল রেজিমেন্টের এক্টিভিটি জানার জন্য ওখানে যান। পাঁচলাইশ থানার ওসি গোলাম নূর-এর কাছ থেকে তাঁরা জানতে পারেন যে, অবাঙালী কমান্ডিং অফিসার কর্নেল জানজুয়ার নির্দেশে মেজর জিয়া চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত ‘সোয়াত’ জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করতে গিয়েছেন।

এই সংবাদ শুনে নেতৃবৃন্দ দ্রুত জিয়ার খুঁজে বের হন। তাঁরা বোয়ালখালি থানার করলডাঙ্গা পাহাড়ের পাদদেশে একটি গ্রামের পুকুরপার দিয়ে মেজর জিয়া ও তাঁর ফোর্সকে যেতে দেখেন। তখন তাঁদের গতিরোধ করে আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর ঘোষিত স্বাধীনতার মেসেজের কপি জিয়ার হাতে দেন। তাঁকে বলেন, এই মুহূর্ত চট্টগ্রাম শহরে গিয়ে মেজর রফিকের সঙ্গে মিলে চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট দখল করতে। মেজর জিয়া তখন বলছিল, তাঁর ফোর্স টায়ার্ড, তারা পরে আসবে ইত্যাদি। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের বলিষ্ঠতা ও দৃঢ়তায় জিয়া বাধ্য হন জাহাজ থেকে পাক সেনাদের অস্ত্র নামাতে বিরত হতে। মূলত ‘সোয়াত’ জাহাজ হতে অস্ত্র নামাতে বিরত করা হয়েছিল বলেই জিয়া মুক্তিযোদ্ধা হয়েছেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ ছিল তাঁর জন্য বাধ্যবাধকতা। কারণ জিয়ার পক্ষে তখন আর হানাদার বাহিনীর পক্ষাবলম্বন করা সম্ভব ছিল না। জীবন বাঁচাতে পারবেন না বলেই তাঁকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে হয়।

জিয়া জীবদ্দশায় তিনি নিজে স্বাধীনতার ঘোষক বলে দাবি করেননি . ১৯৭২ সালে সাপ্তাহিক ‘বিচিত্রা’য় প্রকাশিত ‘একটি জাতির জন্ম’ শীর্ষক এক নিবন্ধে জিয়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক ও জাতির জনক হিসেবে উল্লেখ করেছে

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তাঁর স্বাধীনতার ঘোষণাটি ২৫ মার্চ (১৯৭১) মধ্যরাতের পর, অর্থাৎ ২৬ মার্চ ০০.৩০ মিনিটের দিকে ঢাকার বলধা গার্ডেন থেকে ইপিআর-এর একজন বীর সৈনিক এক গোপন রেডিও ট্রান্সমিটার থেকে প্রচার করেন।
অন্যদিকে ঢাকার মগবাজার ওয়্যারলেস অফিসে কর্মরত কয়েক বীর বাঙালী ওখান থেকে গোপনে স্বাধীনতার ঘোষণাটি সমগ্র দেশে পাঠান। ওয়্যারলেস মেসেজটি যথাসময়ে চট্টগ্রামেও পৌঁছায়। তারপর চট্টগ্রামের কালুরঘাটে স্থাপিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ মার্চ দুপুর পৌনে ২টায় বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রথম প্রচার করেন চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এবং এমএনএ জনাব এম এ হান্নান।

চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতারা সশস্ত্র বাহিনীর কোন বাঙালী অফিসারকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচারের সিদ্ধান্ত নেন। সেমতে তৎকালীন অষ্টম ইস্ট-বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিয়াউর রহমানকে নিয়ে এসে পরদিন ২৭ মার্চ, সন্ধ্যা ৭টায় ঐ বেতার কেন্দ্র থেকেই বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করানো হয়।
২৭ মার্চ (১৯৭১) ‘দি টাইমস’ ও ‘দি গার্ডিয়ান’ পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় তিন কলাম শিরোনাম দিয়ে স্বাধীনতা ঘোষণার সংবাদ এবং এ সম্পর্কে সম্পাদকীয় মন্তব্য প্রকাশিত হয়।
১২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×