somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিলিস্তিনের মেয়ে (১৮+)

২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৪:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইসরায়েলের সীমান্তবর্তী ফিলিস্তিনের হেবরন শহর । এ শহরের আল-আফা গ্রামে বাস করে আব্দুল্লাহর পরিবার । ২৮ বছরের টগবগে যুবক আব্দুল্লাহ সদ্য বিয়ে করেছে । মনের মত স্ত্রী পেয়ে খুব খুশি সে । তারা স্বামী স্ত্রী ছাড়াও তাদের সাথে আবদুল্লার ছোট ভাই আব্দুল কারিম ও থাকে ।
আব্দুল্লাহ উচ্চশিক্ষিত যুবক । হয়তো ভাল চাকরিও পেতেন । কিন্তু দেশটা যে ফিলিস্তিন ! বিয়ে করেছেন যে সায়মাকে, সেও উচ্চ শিক্ষিত । বয়সে স্বামীর ২ বছরের ছোট সায়মা মিশরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন । কিন্তু মিশর সরকারের আপত্তিতে দেশে ফিরে যেতে হয় সায়মাকে ।

আবদুল্লার বাবার ছিল অনেক সম্পত্তি । ধীরে ধীরে তা ইসরায়েলের আওতাভুক্ত হয় ।
ফিলিস্তিন। এক অঘোষিত কারাগার । প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন ছুতায় ফিলিস্তিনিদের হেনস্তা কড়া, ঘর তল্লাশি কড়া ইসরায়েল আর্মির রুটিন কাজ । ফিলিস্তিনি নারীরা তল্লাশির সময় সাধারণত আড়ালেই থাকে । তারা পরপুরুষদের সামনে বেরুতে চায়না ।

একদিন সকালের প্রথম চুম্বন করছিল আব্দুল্লাহ-সায়মা । কয়েকজন সৈন্য আসে আবদুল্লার ঘর তল্লাসি করতে । তাদের কাছে নাকি সংবাদ আছে চরমপন্থিরা এখানে এসে আশ্রয় নিয়েছে । সায়মা অভিযোগ অস্বীকার করে । হানাদার সেনাদের চোখ ছুটে গেল সায়মার দিকে । সকালের হাল্কা পোশাকে অপূর্ব লাগছিল তাকে । সুডৌল সুউচ্চ বুক প্রকাশ পাচ্ছিল কোমল কাপড়ের উপর দিয়ে । গোল, তুলতুলে মুখ দিয়ে জাদুকরি ভঙ্গিমায় উচ্চারিত হচ্ছিল প্রতিবাদের ভাষা ।
চালাক ইসরাইলী মেজর পরিকল্পনাটি করে ফেলেছিল তখনই । সে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অজুহাতে গ্রেফতার করে আব্দুল্লাহকে । এবার নরম হয়ে এসেছিল সায়মার মুখ । সে আকুতি জানাচ্ছিল তার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য । সায়মা যখন অফিসারের পায়ে ঝুঁকে পরে , তার জামার ভেতর দিয়ে দেখা যাচ্ছিল অর্ধ উলঙ্গের মত । পাগল হয়ে যায় অফিসার । কিন্তু সে ঠাণ্ডা মাথার খুনি । সে সায়মার কথায় কান না দিয়ে ধরে নিয়ে যায় আব্দুল্লাহকে ।

ঠিক এর একমাস পর । দুপুর বেলা । কাজকর্ম সেরে বাথটবে গোসল করছিল সায়মা । প্রথম কয়দিন খুব বেশি মন খারাপ থাকলেও এখন আর সেরকম নেই সায়মা । সে নিজেকে বুঝিয়ে নিয়েছে । এরকম তো আরও অনেকে আছে, যাদের বাবা, ভাই, স্বামী ইসরাইলী কারাগারে বন্দি । তো কেদে কি লাভ হবে? সে এখন মন দিয়েছে বাড়ির কাজকর্মে । স্বামীর কথা যে বেমালুম ভুলে গেছে তা নয় ।
খালি ঘরে উলঙ্গ হয়ে গোসল করছিল সায়মা । অনেকদিন থেকে তার শরীরে কারো স্পর্শ পরে না । ভরা যৌবনের একটা মেয়ের কাছে তার স্বামীর থেকে দূরে থাকা কত কঠিন তা এখন টের পাচ্ছে সায়মা । গায়ে সাবান লাগিয়ে স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো ঢলছিল সায়মা । মাঝে মধ্যে চরম উত্তেজনায় শব্দও বেরুচ্ছে তার মুখ থেকে । এমন সময় দরজায় নক হল । সায়মা বলল, 'কে?'
-আমি কারিম ।
-আমি গোসল করছি । এখন কি দরকার?
-ভাবী, ভাইয়ার খবর নিয়ে একজন লোক এসেছেন ।

সায়মার হৃদয় মোচড় দিয়ে উঠলো । কারাগারে কেমন আছে ও? কোন দুঃসংবাদ নয় তো?
-আমি আসছি । উনাকে মেহমানখানায় বসাও ।

সেই মেজর গ্রিল শ্যামন নামের এই তরুণ অফিসারকে পাঠিয়েছিল সায়মাকে তার কাছে নিয়ে যাবার জন্য । শ্যামনকে সে বলে দিয়েছিল, সায়মার সাথে কোন বেয়াদবি কড়া চলবে না । যথেষ্ট সম্মানের সাথে তাকে নিয়ে আসতে হবে ।

গোসল শেষে কাপড় পরে খোলা চুলে শ্যামনের সাথে দেখা করতে গেল সায়মা । সদ্য গোসল করে আসা সায়মাকে অপূর্ব লাগছিল । শ্যামল পবিত্র এ মুখের দিকে চেয়ে ভুলে গেল সবকিছু । সে সব খুলে বলল । পরে সায়মার কাহিনী শুনে সে বুঝতে পারল এটি বড় সাহেবের খাবার । এর দিকে দৃষ্টি দেওয়া চলবে না । সে সায়মাকে বলল তার সাথে যেতে । গেলে সে তার স্বামীকে নিয়ে আসতে পারবে । অনিচ্ছা সত্ত্বেও রাজি হয়ে গেল সায়মা ।

গাড়ির ড্রাইভিং সিটে শ্যামন এবং তার পাশের সিটে সায়মা বসল । হাতের কাছে এমন একজন অসহায় সুন্দরী মেয়ে, কিছুতেই ধৈর্য ধরতে পারছিল না শ্যমন । সে সুদর্শন, সুঠাম দেহের একজন ইসরাইলী অফিসার । কিছুতেই তার ভয় পাওয়া উচিত নয় ।
এক নির্জন স্থানে গাড়ি থামিয়ে সে সায়মাকে জড়িয়ে ধরল । সায়মার কাছে শ্যামনের এমন আচরণ ছিল অপ্রত্যাশিত । সে কিছু বুঝে উঠার আগেই শ্যামনের হাত খুঁজে পেল সায়মার বুকের খাঁজ । তার অঙ্গগুলো সাড়া দিতে চাচ্ছিল, কিন্তু তার বিবেক সায় দিচ্ছিল না । শেষে সে মনে করল এর হাত থেকে রেহাই পাওয়ার কোন উপায় নেই । কিন্তু ভালয় ভালয় যদি তার স্বামী মুক্তি পেয়ে যায় তাতেই চলবে । কিন্তু সে জানতোনা তার জন্য সামনে আরও বড় বিপদ অপেক্ষা করছে ।
তাই সে একটু আধটু বাধা দিয়ে আত্মসমর্পণ করল শ্যামনের কাছে । শ্যামন খুবলে খেল তার শরীরের মধ্যভাগ ।

মেজরের কাছে পৌছার পর শুরু হল আসল লড়াই । সেখানে ইসরাইলী সেনাবাহিনীর কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন তাদের রিসিভ করার জন্য । সায়মা বুঝতে পারলো আশু বিপদের সতর্ক সংকেত । কিন্তু তখন আর তার কিছুই করার নেই । সে নিজেই ধরা দিয়েছে শিকারির কাছে ।

এই রাতই ছিল সায়মার শেষ রাত । ইসরাইলী পশুরা একসাথে তার মুখ, যোনি এবং নিতম্ব ব্যবহার করতে চাইছিল । কিন্তু সায়মার অব্যাহত প্রতিবাদের সাথে পেরে উঠছিল না তারা । অফিসাররা কাজ সমাধা করার পর থাকে সৈনিকরা সে স্থান দখল করে । সারারাত ব্যাপি অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয় তার উপর । কিন্তু তারপরও মরেনি সে ! পরবর্তীতে তার রক্তরাঙা শরীরটিকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয় অন্ধকার কারাগারের মেঝেতে । হয়তো সেখানেও কেউ ছিল যে সবেগে তরল পদার্থ ঢুকিয়ে দেয় সায়মার নিম্নভাগ দিয়ে । এবং সেখানেই দেওালের সাথে মাথা কুটে মৃত্যু হয় তার ।

ইসরায়েল, ফিলিস্তিন, এটাই সম্পর্ক তাদের মধ্যে ।
ইসরায়েলের ছেলেরা বনাম ফিলিস্তিনি নারীরা ।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×