প্রিয় আশরাফুল,
এতো সব কিছুর পরেও তোমার পাশে আছি, থাকবো।
তুমি হয়তো জানোনা, তুমি যখন বাসাবো মাঠে ক্রিকেট খেলছো তখন আমি পাশেই চায়ের দোকানে বসে দাবায় মগ্ন। মাঝে মাঝেই তোমার মারা চার-ছয়ের বল এসে পাশে পড়তো। দর্শকের হুল্লোরে আমাদের গভীর ভাব মগ্নতা বিঘ্নিত হতো।
আশরাফুল, তুমি এই নষ্ট সমাজের বিচ্ছিন্ন কেউ নও। এইঘুনে ধরা সমাজের আমগ্ন দুর্নীতিতে নিমজ্জিত প্রতিটা মানুষ তাই করতো যা তুমি করেছো। শুধু পার্থক্য এতটুকু তুমি ভীত কন্ঠে স্বীকার করেছো আর তারা বড় গলায় অস্বীকার করতো। ঠিক যেমন চোরের মা করে।
আশরাফুল, তুমি মন খারাপ করোনা। তোমার নেয়া টাকাটা আর কিছু না হোক দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ
অন্তত আরো কিছুটা স্বাস্থ্যবান করেছে নিশ্চিত !
তুমি খেলাধুলা নিয়ে ব্যস্ত থাকো তাই হয়তো খবর রাখোনা এই দেশের অর্থনীতির গতিশীলতা আর জিডিপি 'র উন্নয়ন যাই বলো তার পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান যার তার নাম কালো টাকা। তুমি হারবেই যখন,তখন সেই অবদান থেকে দেশকে বঞ্চিত করবে কেন? কেন?
সেদিন ঘুম থেকেই উঠেই প্রথম আলোতে তোমার কান্না জড়িত অনুতপ্ত মুখের কার্টুন ফ্রন্ট পেইজে দেখতে হলো। পড়ার রুচি হলোনা। প্রথম আলোকে সেদিন জায়গা দিলাম আমার হারপিক ধোয়া কমোডে। ডোন্ট ওরি! মনে করে ফ্লাশ করে দিয়েছি। অ্যামোনিয়ার ফ্লেভার যুক্ত ফ্লাশ।
আশরাফুল, তুমি অন্যায় করেছো শাস্তি পেয়েছো। জাতির কাছে কেদে ক্ষমা চেয়েছো ক্ষমা করে দিলাম। তোমার চোখের গ্লানির জল আর দেখতে আর কখনো যেন দেখতে না হয়। আমরা তোমার চোখে জয়ের জল দেখতে চাই। তুমি আবার ফিরে এসো এই কামনা থাকলো।