২৬৯ সােল ইতািলর রোম নগরীেত সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নােম একজন পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। ধর্ম প্রচারের অভিযােগ তৎকালীন রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্রাডিয়াস তাকে বন্দী করেন। কারণ তখন রোমান সাম্রাজ্যে ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ ছিলো। বন্দী অবস্থায় তিনি জনৈক কারারক্ষীর দৃষ্টিহীন মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ্য করে তোলেন। এই ঘটনায় তিনি রাজ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন। সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে রাজা তােক মৃত্যুদণ্ড দেন। সেই দিন ১৪ই ফেব্রুয়ারি ছিলো।
অতঃপর ৪৯৬ সােল পোপ জেলািসউ ১ম জুিলয়াস সেন্ট ভ্যালেন্টাইন এর স্মরণে ১৪ই ফেব্রুয়ারি কে 'ভ্যালেন্টাইন ডে' ঘোষণা করেন।
এরপর থেকে আজকে পর্যন্ত এই 'ভ্যালেন্টাইন ডে' এর পথ চলা এক বিবর্তনের ইতিহাস। পুঁজিবাদী বিশ্বের কর্পোরেট দৃষ্টিভঙ্গিতে এতে যোগ হয় ফুল-কার্ড-চকলেট এবং অন্যান্য গিফট কালচার। বিনোদনের নতুনত্বের আর বৈচিত্রের আকাঙ্ক্ষা থেকে দিনটি পায় উৎসবের আমেজ। গ্লোবালাইজেশনের ধারণায় পৃথিবী ছোট হতে হতে উৎসব টি হয়ে ছড়িয়ে পড়ে সারা পৃথিবীতে। ভালোবাসার সম্পর্কের বিচিত্রতা আর ব্যাপকতার মাত্রায় দিবসটি পায় সার্বজনীনতা।
এমনি করে বাংলাদেশে এসে ঠাঁই করে নিয়ে নাম নেয় "ভালোবাসা দিবস"।
বাংলাদেশে দিবসটি নিয়ে বিতর্ক আছে। অবশ্য যেই দেশে 'ঈদ' এর মত সার্বজনীন একটি প্রধান ধর্মীয় উৎসব নিয়ে বিতর্কের কারনে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন দিনে ঈদ করতে পারে, যেই দেশের প্রত্যেকটা মানুষ একজন ভালো বিতার্কিক; সেই দেশে 'ভালোবাসা দিবস' নিয়ে এইটুকুন বিতর্ক যথেষ্ট স্বাস্থ্যসম্মতই বৈকি!
কোন বিশেষ দিবস মানে একটা 'ভালো দিন'। একটা 'ভালো দিন' একটা বিশেষ রঙ নিতেই পারে। ভালোবাসা এক নিঃশ্বাসের নাম। নিঃশ্বাসের নামে একটা দিনের নাম হতেই পারে 'ভালোবাসা দিবস'। দিবসটির রঙ হতেই পারে লাল।
আজকে সেই লাল রঙের 'ভালোবাসা দিবস'।
যাদের সাথে আমার নিঃশ্বাসের সম্পর্ক আজকের এই 'ভালোবাসা দিবস' এ তাদের প্রতি রইলো আমার এক পৃথিবী সমান ভালোবাসা।