সাকিবের শৃঙ্খলা বিধি ভঙ্গের অভিযোগ পুরনো এবং ধারাবাহিক। একজন ভালো খেলোয়ার হিসেবে তাকে ছাড় দেয়া যায় বটে এবং দেয়াও হয়েছে। কিন্তু সাকিব সেই ছাড়ের বেনিফিট চরম মাত্রায় নিয়ে আরও উশৃংখল আর বেপরোয়া হয়েছে। জিনিয়াসের খামখেয়ালি মানা যায়,উশৃংখলতা নয়। আর যেখানে সাকিব 'বাংলাদেশ' এর সিম্বল আর বাংলাদেশের লাখ তরুনের আইকন সেখানে এই ধরনের অ্যাটিচিউড 'বাংলাদেশ' এর ইমেজ আর যারা বড় হয়ে সাকিব হতে চায় উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।সাকিব 'বিসিবি'র হয়ে খেলেনা, সাকিব বাংলাদেশের হয়ে খেলে। বিসিবির উপর রাগ হয়ে সে বাংলাদেশের সাথে উদ্ধত্য দেখাতে পারেনা।
সুতরাং তার শাস্তি কে সমর্থন করছি। শাস্তি কম না বেশি হয়ে গেল সেই বিতর্ক করা যেতেই পারে। গরু চোরেরা সালিশ করার নৈতিক অধিকার রাখে কিনা এইটাও কোটি টাকার কোয়েশ্চেন, করা যেতে পারে। কিন্তু সাকিবের প্রতি 'ডার্ক জাস্টিস' হয়েছে বলা যাবেনা। কম কিংবা বেশি হোক, শাস্তি নামক শিক্ষাটা সাকিবের দরকার ছিলো। পাশাপাশি আকরাম খান সহ যারাই মৌখিক অনুমতি দিয়েছে তাদেরও শাস্তি হওয়া উচিত। শৃঙ্খলা শুধু সাকিবের না বিসিবিরও থাকা উচিত। সাকিবের শাস্তি জাস্টিফাইড বটে কিন্তু সার্বিকভাবে চিন্তা করলে দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ব্যক্তিই যেখানে বিশৃঙ্খল, ক্ষমতা এবং সুবিধার অপব্যবহাররকারী সেখানে সাকিবের একার শাস্তি কিছুটা জুলুমের মত লাগতে পারে। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি একটা অন্যায় কে আরেকটা অন্যায়ের সাথে তুলনা করে জাস্টিফাইড করা যায় না। সাকিবের আচরণগত পরিবর্তন প্রত্যাশা করছি। পরিবর্তিত সাকিব আবার বাংলাদেশের হয়ে খেলুক, আমরা সাকিব সাকিব বলে চিৎকার করবো।