somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আজ মনটা অতোটা খারাপ লাগছে না।কারণ আমি বুঝতে পারছি বাংলাদেশ ক্রিকেট টীম অনেক উচ্চতায় যাচ্ছে।যে দেশের মানুষ ক্রিকেটকে এতোটা ভালোবাসে তাদের এমন খেলায় বাঞ্ছনীয়।যখন লেখাটা লিখছি তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট টীম অলরেডি ইন্ডিয়ার কাছে হেরে গেছে।তবে খেলাটা অনেক উপভোগ্য ছিলো।চেয়েছিলাম বাংলাদেশের বিপক্ষে বাজি ধরবো,কিন্তু মনের সাথে হেরে গেলাম।হ্যা এই টী-২০ বিশ্বকাপে অনেক কিছু শিখছি।এক মাশরাফি কে নিয়ে কতো নাচানাচি,সেই মাশরাফিকে নিয়েই অনেক উল্টাপাল্টা কথা উঠছে যখন পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে গেলো।কেও আবার বলে বসবেন না,আমি পাকিস্তানের নাম আগে লিখছি বলে পাকিস্তানের সাপোটার।আমি ধারাবাহিকতা মেইন্টেইন করছি।এই কথাটা বললাম বাস্তবতার প্রেক্ষিতে।আমি ভাই বাংলাদেশের ছেলে,আমার একটাই দল সেটা হলো বাংলাদেশ।একটা মজার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি।এই টী-২০ বিশ্বকাপ ২০১৬ তে ইন্ডিয়া বনাম পাকিস্তানের ম্যাচে ইন্ডিয়া জিতে যাই।হ্যা ইন্ডিয়া জিতুক বা হারুক অথবা পাকিস্তান জিতুক বা হারুক এটাতে আমাদের কোন যাবে আসবে না।কারন আমাদের নিজস্ব আন্তর্জাতিক সম্পদ আছে সেটা হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট টীম।এই কথাটা বলার কারন হলো-ইন্ডিয়া জিতার কারনে বাংলাদেশের অনেক সমর্থক খুশি হতে পারে নাই।ব্যাক্তিগত ভাবে আমি নিজেও খুশি হয় নাই।খুশি না হওয়ার অনেক কারন আছে তার মধ্যে অন্যতম কারন বাংলাদেশ ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পর এখনো ভারতের মাটীতে যেয়ে টেস্ট খেলতে পারে নাই।আমাদের পরম বন্ধুদের সাথে আমাদের এটাই মধুর সম্পর্ক।এবার আসা যাক প্রাকৃতিক ভাবে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে ভারতের ক্রিকেটের বৈরিতার সম্পর্ক।২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ বনাম ভারত ম্যাচে বাংলাদেশ ন্যাচারালি যে বঞ্চনার শিকার হলো সেটা বাংলাদেশের সমর্থকদের মেনে নেওয়া ছিলো অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার।বাংলাদেশের দর্শকরা মনের দিক থেকে এতোটাই আহত ছিলো যে তারা স্টেডিয়ামে বসে আইসিসির বিরুদ্ধে স্লোগাণ দিলো।আইসিসিকে তারা ইন্ডিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল বলতেও ছারলো না।আমিও একমত গ্যালারিতে বসা ওইসব দর্শকদের সাথে।



আমার এইসব কথা শুনে অনেকে বলতে পারেন যে আমি আওয়ামীলীগ করি না এবং আমি পাকিস্তান ক্রিকেট টীমকে সমর্থন করি।তাহলে আমি বলবো আমি দুঃখিত,আমি আপনাদের ভালো করে বুঝাতে পারি নাই অথবা আপনারা আমার লেখা বুঝেন নাই।আপনারা বলবেন ভারত আমাদের বন্ধু,তারা ১৯৭১ সালে আমাদের সহোযোগীতা করছে।তাদের আমি বলবো ডিয়ার এখানে ক্রিকেট নিয়ে কথা হচ্ছে এখানে রাজনীতি নিয়ে কথা হচ্ছে না।ভারতের সাথে আমাদের রাজনৈতিক সম্পর্ক ওই ১৯৭১ সালেই ভালো ছিলো।তারপর থেকে এই পর্যন্ত ভারত আমাদের শোষণ করে যাচ্ছে।যারা ভারত ক্রিকেট টীমকে সমর্থন করেন তাদের একটাই যুক্তি ভারত বাংলাদেশকে যুদ্ধের সময় সাহায্য করেছিলো।আবার যারা বলে আমি ভারতকেও সাপোর্ট করি না এবং পাকিস্তানকেও সাপোর্ট করি না,শুধু বাংলাদেশকে সাপোর্ট করি তখন আপনারা(ভারতের সমর্থক) বলবেন যে আপনি(বাংলাদেশের সমর্থক)মনে মনে পাকিস্তানকে সাপোর্ট করেন।আপনাদের ভাবখানা এমন যে তারাই বাংলাদেশের রিয়াল সমর্থক যারা ভারতকে সমর্থন করেন।বাংলাদেশ এখন একাই ১০০।এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট টীম আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থন পাওয়ার যোগ্য।আমি এটা মানি যে,আপনারা যারা ভারতকে সমর্থন করেন ঠিক আপনাদের মতোই তারাও পাকিস্তানকে সমর্থন করে ধর্মের কারনে।বলে পাকিস্তানও মুসলমান বাংলাদেশও মুসলমান এই কারনে পাকিস্তানকে সাপোর্ট করি।তাই বলে আপনারা(ভারতের সমরথক)আমাদেরকে(বাংলাদেশের সমরথক)এদের(পাকিস্তানের সমর্থক) কাতারে ফেলবেন না।আমরা সত্যিকার অর্থেই বাংলাদেশকে সমর্থন করি।আমরা তরুণ প্রজন্ম,আমরা জানি পাকিস্তান,ভারত দুই দেশই আমাদের শত্রু।কিন্তু,আমাদের নিজেদের স্বার্থে আমারা সবার সাথে মিলেমিশে থাকবো।একটা মজার কথা বলে লেখাটা শেষ করি- বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানের খেলা হলেই আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনি মাঠে খেলা দেখতে যাবেন ই।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৪৩
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×