somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পৃথক বেতন কাঠামোর আশা পূরণ হলো না ব্যাংকারদের

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পৃথক বেতন কাঠামোর আশা পূরণ হলো না রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। একই অবস্থা কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও। প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের পর আশায় বুক বেঁধেছিলেন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারি চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের (সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ১৪ নভেম্বর নতুন বেতন কাঠামো চূড়ান্ত অনুমোদনের পর ব্যাংকারদের আশা ছিল দু-এক দিনের মধ্যে তারা ঘোষণা পাবেন। জারি হবে প্রজ্ঞাপন। কিন্তু ১৯ দিন পেরিয়ে গেলেও তার কিছুই হয়নি। নীতিনির্ধারকরা জানান, এখনই তা বাস্তবায়নের সম্ভাবনা নেই। পৃথক পে-স্কেলের জন্য দীর্ঘ আট বছরের চেষ্টা শেষে আটকে গেছে নির্বাচনী আচরণবিধির ফাঁদে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলম জানান, সব কিছুই চূড়ান্ত। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদনও দিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচনী বিধির কারণে পৃথক পে-স্কেলের প্রজ্ঞাপন জারি করা সম্ভব হচ্ছে না। একই কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর প্রজ্ঞাপন জারির সম্ভাবনা নেই বলে জানান সচিব। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বতন্ত্র এবং রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পৃথক বেতন কাঠামো নির্ধারণ করার জন্য ২০০৫ সাল থেকেই চেষ্টা চলছে। কিন্তু এ উদ্যোগ সীমাবদ্ধ থেকেছে সচিবালয়-ব্যাংকের চিঠি আদান-প্রদানের মধ্যে। চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতার শেষের দিকে তা বাস্তবায়নের ঝুঁকি নেয়নি। সাবেক গভর্নর ড. ফখরুদ্দীন আহমদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হয়ে এলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা আবারও আশায় বুক বাঁধলেন নিজেদের মানুষ পেয়ে। কিন্তু তিনিও আমলাদের বোঝাতে ব্যর্থ হলেন। শেষে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর পদে ড. আতিউর রহমান যোগ দেওয়ার পর আবারও এ নিয়ে আশায় বুক বাঁধেন তারা। গত পাঁচ বছরে এ নিয়ে একাধিকবার ড. আতিউর রহমান প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেন। গত ২৭ এপ্রিল সরকারের চার বছরে বাংলাদেশ ব্যাংকের অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভিন্ন বেতন কাঠামোর আশা করেছিলেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত ওই অনুষ্ঠানে যাননি। অতঃপর মহাজোট সরকারের মেয়াদ শেষে ১৪ নভেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও রাষ্ট্রায়ত্ত চার বাণিজ্যিক ব্যাংকের পৃথক বেতন কাঠামোর চূড়ান্ত অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অর্থ বিভাগ জানিয়েছিল দু-এক দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারির কথা। ২৪ নভেম্বর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, 'কিছু জটিলতার' কারণে ব্যাংকের পৃথক পে-স্কেলের প্রজ্ঞাপন জারি করা যাচ্ছে না। দু-এক দিনের মধ্যে তা হবে বলে ওই দিন সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছিলেন মন্ত্রী। কিন্তু তা আর হয়নি।
চূড়ান্ত অনুমোদনের পর পৃথক বেতন কাঠামো বাস্তবায়নে কী এই জটিলতা? ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব জানান, 'ব্যাংক কর্মকর্তারা যেহেতু নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন, তাই নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী এ মুহূর্তে তাদের কোনো সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো যাবে না। এখন পৃথক পে-স্কেলের ঘোষণা দিলে আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে,' জানান সচিব। তিনি বলেন, 'নির্বাচনের পর নতুন সংসদকেই এটা করতে হবে। অথবা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমেও করা যেতে পারে।'
প্রসঙ্গত, সর্বোচ্চ ৯৩ হাজার ৭৫০ এবং সর্বনিম্ন ১২ হাজার ৫০০ টাকা নির্ধারণ করে গত মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত চার বাণিজ্যিক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের পৃথক বেতন কাঠামোর চূড়ান্ত অনুমোন দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুমোদিত বেতন কাঠামোয় ১১টি স্কেল রয়েছে। এখন চালু আছে ১৯টি স্কেল। ১৯টি বেতন-স্কেলকে সমন্বয় করে ১১টি স্কেলে রূপান্তর করা হয়েছে।


১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×