একটা মেয়েকে সবচেয়ে বেশী কিউট লাগে যখন সে caring হয়। জানে কি করে care নিতে হয়। একটা ছেলের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো এই জায়গাটা। মেয়ে সুন্দর হোক আর না হোক, যদি দেখসে কোনো মেয়ে care নেয়া শুরু করসে, তাইলেই হইসে। এইবার সে যত শক্ত হৃদয়ের অধিকারী হোক না কেনো, মন গলতে বাধ্য। আপুদের উদ্দেশ্যে বলতেসি, যদি কোনো ছেলেদের উপর ক্রাশ খেয়ে থাকেন, এটা অ্যাপ্লাই করে দেখতে পারেন। it will surely work…100% guaranteed.
.
.
.
এখন সমস্যাটা হয় এই জায়গাতেই। যেই ব্যাপারটা একটা ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে সবথেকে বেশী expect করে, আজকাল কার ম্যাক্সিমাম মেয়েরা সেই ব্যাপারটা “ন্যাকামো” মনে করে। ইভেনও এমনও ঘটনা দেখসি, বিএফ-জিএফ তো পরের হিসাব, স্ত্রী পর্যন্ত জামাইয়ের care নেয়ার ব্যাপারে বলে উঠে “ভাল্লাগে না, অভ্যাস নাই, এইসব ভন্ডামি আমারে দিয়ে হয় না।“ হয়তোবা “খাইসো” “খাও নাই কেন” “যাও খেয়ে নাও” ব্যাপারগুলো আপনার কাছে ভন্ডামি মনে হতে পারে, বাট এই একটা বা কয়েকটা শব্দ যে একটা ছেলের মনে কি পরিমান আন্দোলনের সুচনা করে, এটা কোনো মেয়ের পক্ষে বোঝা সম্ভব না। কেয়ারিং এর ক্ষেত্রে খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারটা জাস্ট ছোট্ট একটা এক্সাম্পল দিলাম।
.
.
নারীসমাজের একটা কমন অভিযোগ থাকে তার বিএফ অথবা জামাইদের ব্যাপারে। “তুমি অনেক চেঞ্জ হয়ে গেছো” ।অনেকে হতাশ হয়ে যায় তার বিএফের চ্যাঞ্জের ব্যাপারটা নিয়ে। বাট খেয়াল করে দেখবেন ছেলেদের কাছে কিন্তু এমন অভিযোগ খুব কমই শুনতে পায় মেয়েরা। খুব কম। খুব কম ছেলেই তার জিএফকে বলে “তুমি চেঞ্জ হয়ে গেছো”। বরং ছেলেদের ক্ষেত্রে কাজ হয় উল্টোটা। একটা বিএফ হতাশ হয় তখনই যখন সে জিএফের ভিতরে কোনো চেঞ্জ আনতে পারে না। মেয়েটা শুরুতে যেই নিরামিশ ছিলো, এখনও ওই নিরামিশই আছে। কেয়ারিং তার কাছে ন্যাকামো লাগতো,এখনো লাগে, ইভেন তাদের ইগো লেভেল এতোটাই বেশী থাকে যে বিএফের কেয়ার নিতেও গেলেও তাদের সেটা ন্যাকামো বা অপ্রয়োজনীয় মনে হবে।
.
.
বলা হয়ে থাকে রিলেশনশীপের শুরুতে ছেলেরা অনেক বেশী caring হয়ে থাকে, কালের বিবর্তনে যা নাকি হারিয়ে যায়। না, তা হারায় না, বরং ক্লান্ত হয়ে যায়। একটা ছেলে তার প্রিয় মানুষকে পাওয়ার জন্য শুরুতেই পারলে তার ক্ষমতার বাইরে গিয়ে অলৌকিক কিছু করার চেস্টা করে। এটা সব বিএফই করে। “পাগলা” ভাবটা মেয়েদের থেকে ছেলেদের বেশী থাকে। আস্তে আস্তে সে এটা কন্টিনিউ করবে, বাট অ্যাট এ টাইম ছেলেটা যখন গিয়ে দেখবে সে কেয়ার ব্যাপারটা আপনার থেকে আরেক মেয়ের কাছে বেশী পাচ্ছে, তখন সে ঠিকই কেঁটে পড়বে, এইবার আপনার চেহারা সুরুত যতই সুন্দর হোক না কেনো। ছেলেরা প্রেম করা শুরু করে সৌন্দর্য দেখে, আর এটা কন্টিনিও রাখবে নাকি সেটা বিবেচনা করে মেয়েদের কেয়ার করার লেভেল দেখে। যদি কন্টিনিও করেও, তাও কোনো লাভ হয় বলে আমার কোনো মনে হয় না, সেই রিলেশন শুধুই একটা প্রতিজ্ঞার উপর দাড়িয়ে থাকে তখন,যেখানে ভালবাসা শুন্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৩৫