আর কতো লাশ হলে পাবে ক্ষমতার বাহন
আন্দোলনের নামে জ্বালাবে জীবন্ত দেহ?
সূর্য ওঠে চাঁদ নেভে দিন যায় রাত আসে
হাতবোমা পেট্রোল বোমার আঘাতে রক্ত ঝরে
সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো;
ধূলিকণা রক্তে ভিজে গড়িয়ে পড়ছে পচা নর্দমায়
তবুও মানুষ যাচ্ছে কাজে প্রাণটি হাতে নিয়ে
বিপদ যেন পিছু ছাড়ে না ধুকধুক হৃদয় আতঙ্ক ভয় শঙ্কায়!
রক্তের দাগ মুছতে না মুছতেই আর কতো রক্ত ঝরবে এই বাঙলায়?
মা গেছে বোন গেছে ভাইও আজ হাসপাতালের বিছানায়
তবুও কী তোদের হুশ হবে না
রক্ত নিতে এতো উদগ্রীব কেন কখনো কি থামবি না?
চেয়ে দেখ ওই দিগন্তে আজ রক্তিম আভা জেগেছে
বাঙালি পুড়ছে দোজখের আগুণে
তবু বুনো শকুনেরা আনন্দে মেতেছে; গঙ্গার জলে রক্ত ভাসে
আরো ভাসে খালে বিলের লোনা জলে
ষাড়েরাও আজ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে,
পিপাসা নিজেও নিস্তেজ দাঁড়িয়ে
চেয়ে আকাশের পানে; জমেছে কালো মেঘ
মাঝেমধ্যে হুঙ্কার দিয়ে যাচ্ছে, আশায় বসে রাখাল বালক
প্রকৃতি করাবে লাশের গোসল
সে প্রতীক্ষাতে নিরব নিভৃতে
ক্ষত বিক্ষত হৃদয় ডুকরে কাঁদছে।
শেওড়াপাড়া
রাত ২.২৭ মিনিট
২১.০১.'১৫