সহস্র বছর বইতে বইতে আজ একটি নদী মৃত্যুর দ্বার প্রান্তে
অগভীর জলরাশিতে ছিল প্রবল জোয়ার। মৃত্যুহীন শূণ্যতায় ছিল লক্ষ লক্ষ প্রাণ
আরো আধিক্যের কথা বলতে পারি আশরাফ বলে। কত নগন্য আতারাফ রয়েছে হিসেব বিহীন
কেইবা হিসেব যন্ত্র উদ্ভাবন করবে এই মহাসত্যের তলানীতে
ভেবে দেখতে গিয়ে আমি হাড়িয়ে যাই অসীম শূন্যতায়।
সে শূন্যতা মর্তের শূণ্যতা নয় না পাওয়ার বেদনায় হাহাকারের শূণ্যতা
আমি পুরোহিত নই যদিও পূজার আনুষ্ঠানিকতার প্রথম কালিমা আমার কলমের মুখে
আমি কোন মহামানবদের বার্তা বাহকও নই যদিও তা কাল হতে মহাকালে বইয়ে নিয়েছে হৃদয়ধারীরা
হৃদয় সমুদ্রের এই ঐশ্যার্যিক প্রেম কোন কালে স্পর্শ করেনি আমায়
আরে আমিতো প্রেমহীন সমুদ্রে সারাজীবন আবগাহন করা এক বেলাজ প্রেমকাতুর
বহুকাল ধরে আবার স্বপ্ন দেখছি নদীতে প্রবল জোয়ারের
গত রাতেই দেখলাম, সকল বাধা বিপত্তিকে ছিন্ন করে যৌবনের পূর্ণ ত্যাজে এগিয়ে যাচ্ছে প্রাণ ফিরিয়ে দিতে
এগিয়ে যাবে সকল হাহাকারের হৃদয় মন্দিরে; ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতে
ঘুম ভেঙে গেল প্রবল জোয়ারের গর্জনে। এগিয়ে গেলাম মৃতের ফিরে পাওয়া যৌবন দেখতে
হায়! কোথায় সেই চরে ভরে যাওয়া মরা নদী? চারদিকে বিশাল জলরাশির সমুদ্র বইছে...
হাসির কান্নার জল মুছতে মুছতে অপলক চেয়ে দেখি
সব আবালই হাবুডুবু খাচ্ছে মুর্শিদা নাম্মী মহাস্রতে