মুক্তিযোদ্ধা জিয়া, প্রেসিডেন্ট হবার কিছুদিন পর মিসেস গান্ধীর আমন্ত্রণে স্বপরিবারে ইন্ডিয়া সফরে যান। স্বাধীনতার ঘোষক জিয়া বনাম ৭১ এর প্লে মেকার ইন্দিরা'জীর আলোচনা দেখতে উদগ্রীব ছিলেন তৎকালীন রাজনীতি সংশ্লিষ্টরা।
জিয়ার শাষনে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রভাব হারানো ইন্ডিয়ান প্রধানমন্ত্রী খুব ভালভাবে জানতেন রাষ্ট্রের প্রতি জিয়ার ডেডিকেসন ও সততার কথা। জিয়ার শাষনে রাষ্ট্র ভারত ক্ষতিগ্রস্থ হলেও অক্সফোর্ড স্কলার ইন্দিরা গান্ধীর ব্যক্তিগত মুগ্ধতা ছিল জিয়ার সততা ও দেশপ্রেমের প্রতি।
ইন্দিরা জানতেন রাষ্ট্রীয় উপহারের সব টুকুনই বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সংগ্রহশালাতে জমা হবে। ব্যক্তি #জিয়া কোনটাই নিজ জিম্মাতে নেবেন না। তাই অফিসিয়াল ডিনার প্রগ্রামের পর সম্পূর্ণ অনানুষ্ঠানিক পরিবেশে #ইন্দিরা গান্ধী জিয়াকে একটি ঘড়ি উপহার দিলেন। আরো তিনটি ঘড়ি নিজের হাতে বেগম জিয়া, পিনো ও কোকো'র হাতে পড়িয়ে দিলেন। বললেনঃ
'লিসেন জিয়া, এগুলো রাষ্ট্রীয় নয়, আমি একান্ত ব্যক্তিগত ভাবে সংগ্রহ করেছি এবং খুব ব্যক্তিগত ভাবে ঘড়ি তিনটি তাদের উপহার দিলাম। ঢাকাতে ফিরার পরেও এগুলো ওদেরই থাকবে, ওরা ব্যাবহার করবে'।
ঢাকাতে ফিরে যথারীতি নিজের উপহার পাওয়া ঘড়ি রাষ্ট্রীয় #সংগ্রহশালাতে জমা দিয়ে ব্যাস্ত দিন শুরু করলেন জিয়া। পিনো, কোকো ছুটি শেষে নতুন ঘড়ি হাতে স্কুল যাত্রা শুরু করল।
মাস খানিক পর হটাৎ পুত্রদ্বয়ের হাতে দেখতে পেলেন সেই ঘড়ি। সাথে সাথে হুংকার ছাড়লেন প্রেসিডেন্ট জিয়া। বেগম জিয়াকে জিজ্ঞাস করলেন এই #ঘড়ি বাড়িতে কেন? বেগম জিয়া স্মরণ করিয়ে দিলেন ইন্দিরা জী'র ব্যক্তিগত উপহার ছিল এগুলো..
রুদ্রমূর্তি ছেড়ে মূহুর্তে স্মিত হাসলেন পুরুষ জিয়া, বললেন এই রাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট না হলে কি ব্যক্তিগত উপহার গুলো পাওয়া যেত বলতো?
বেগম জিয়া যা বুঝার বুঝে নেন। নিজের সহ তিনটি হাত ঘড়ি প্যাকেট করে তুলে দেন
Zia: The Patriot - দ্যা প্যাট্রিয়ট এর হাতে..
[sb]https://dminefield.blogspot.com/2019/05/blog-post_23.html?m=1