২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি বন্দুকের নলের মুখে ইয়াজউদ্দিনকে দিয়ে জরুরী অবস্থা জারির পর পর্যায়ক্রমে দেশের ক্ষমতা দখল করতে চেয়েছিল বিতর্কিত বিদায়ী সেনাপ্রধান মইন। এ লক্ষ্যে তিনি প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থাকেও কাজে লাগাতে শরু করেন। রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা, তাদের জনসমক্ষে হেয় করা এবং দেশে নেতৃত্বশূন্য পরিবেশ সৃষ্টি করারও চেষ্টা করেন মইন। রাজনীতিবিদ ও ব্যাবসায়ীদের উপর নানা অত্যাচার নিপীড়ন চালানো হয়। রাজনীতিবিদরা দেশকে ৩৬ বছর পিছিয়ে দিয়েছে এমন অভিযোগ তুলে নিজস্ব স্টাইলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও করেন তিনি।
কিন্তু তার এই সিদ্ধান্ত পরবর্তীতে বাস্তবায়িত হয়নি দুইটি কারনে।
এক. আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে গ্রিন সিগনাল না পাওয়া
দুই. বেআইনি ভাবে জোর করে ক্ষমতা দখলে সেনাবাহিনীর সংখ্যা গরিষ্ঠ অফিসারদের অনাগ্রহ।
ক্ষমতা দখলের মিশনে ব্যর্থ হয়ে মইন পরবর্তীতে রাষ্ট্রপতি হওয়ার চেষ্টা চালান। পরবর্তীতে তার সে ইচ্ছাও পূরুণ হয়নি।
এদেশের অনেক লোকই মইনেই এসব কীর্তি কমবেশি জানি। বিতর্কিত এই জেনারেল অবসর নিয়েছে। শোনা যাচ্ছে বর্তমান সরকার তাকে আমেরিকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত করার কথা ভাবছে। সরকারের এই সিদ্ধান্ত সমর্থন যোগ্য নয়। সরকারের উচিত মইনকে পুরস্কৃত না করে শাস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করা। তা না করলে আর্মির অবৈধ ভাবে ক্ষমতা দখলের ইচ্ছা আগামীতে আবারও মাথাচারা দিয়ে উঠতে পারে।
বেড়া বারে বারে ক্ষেত খাবে।