স্বাধীনতার ঘোষক প্রশ্নে বিচারপতি খায়রুল হকের দেয়া একটি রায় নিয়া আওয়ামীরা ও এর অনুগত মিডিয়া বেশ মাতিমাতি শুরু করছে। এই রায় নিয়া এত মাতামাতির করনের কিছু নাই।
হাইকোর্ট কি রায় দিছে হেইডা নিয়া মাতামাতি করনের আগে হাইকোর্ট এ জাতীয় রায় কেন দেয় হেইডা ভাবন দরকার।
হাইকোর্টের জজদের নিয়োগ দেয় সরকার। মূল সংবিধান অনুযায়ী হাইকোর্টের বিচারক নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির পরামর্শ নেয়া বাধ্যতামূলক ছিল। জঘন্য চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে মুজিব এই ভাল বিধানটা বাদ দিয়া বিচারকদের নিয়োগ দেয়ার ক্ষমতা পুরোপুরি সরকারের হাতে নিয়া নেয়। বিচারবিভাগের স্বাধীনতার কবর রচিত হয় এই সংশোধনীর মাধ্যমে। এর পর থেকে সংবিধানের এই পরিবর্তনের সুযোগ নিয়া বিভিন্ন সরকার বিভিন্ন সময় তাদের দলীয় বিবেচনায় অনেক জজদের নিয়োগ দিয়েছে। ফলে অনেক জজই রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট।
আর এই সুযোগ কাজে লাগাতেই রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সুবিধামত জজদের কোর্টে মামলা করে এবং অনেক সময় আদর্শগত মিল থাকার কারনে চাহিদা অনুসারে রায় পায়।
আমি যা কইবার চাই তা অইল এই যে, এই একই মামলা অন্য বিচারপতির কোর্টে করলে রায় অন্যরকম হইতে পারত। কিন্তু অনেক ভেবেচিন্তেই মামলাটা খায়রুল হকের কোর্টে করা হয়েছে।
বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক স্বীকৃত মতেই আওয়ামী ঘরানার লোক। এই বিচারপতিই আগে অন্য একটি মামলায় অপ্রাসঙ্গিকভাবে পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে রায় দিয়েছে।
পঞ্চম সংশোধনী বাতিলের রায় আমি পড়েছি। পুরো রায়ে জিয়ার ক্ষমতাগ্রহণ ও তার শাসনামল সম্পর্কে বিষদগারে ভরা। পড়ে মনেই হয় না এটা কোন বিচারপতি লিখেছেন। মনে হয় গাফফার চৌধুরী বা মুনতাসির মামুন জাতীয় কোন আওয়ামী কলামিস্টের লেখা।
ফলে এই খায়রুলের রায় নিয়া এত মাতামাতি করনের কিছু নাই।
হাইকোর্টের বিচারকদের সম্বন্ধে যাদের কিঞ্চিত জানাশোনা আছে তারা জানেন খায়রুল হক আদর্শিকভাবে অন্ধ আওয়ামী লীগার।
আমি নিশ্চিত অবসর নেয়ার পর এই খায়রুল আরেকটা কে এম সোবহান বা গোলাম রব্বানী অইব। অথবা হাসিনার আইন বিষয়ক উপদ্ষ্টো। বিশ্বাস না অয় তার সম্পর্কে জানে এমন ব্যক্তিদের কাছ থেইকা খোঁজ নিয়া জানতে পারেন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুন, ২০০৯ রাত ১১:৫২