টিআইবি ও পরিবেশ আন্দোলন বাপার প্রধান অধ্যাপক ড. মোজাফফর আহমদ বলেছেন, ইনডিয়ান হাইকমিশনার অবশ্য পালনীয় কূটনৈতিক রীতিনীতি, শিষ্টাচার ও কনভেনশন ভঙ্গ করেছেন। একটি সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনির উপস্থিতিতে পিনাক বাংলাদেশী বিশেষজ্ঞদের 'তথাকথিত বিশেষজ্ঞ' বলার পরিপ্রেক্ষিতে অধ্যাপক মোজাফফর এ মন্তব্য করেন।
আমাদের পরিবেশবিদ, রাজনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তার বক্তব্য আপত্তিকর। একজন হাইকমিশনার হয়ে তিনি কোনো অবস্থায়ই এ ধরনের বক্তব্য দিতে পারেন না।
আমি সবচেয়ে অবাক হয়েছি আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নীরবতায়। তিনি টিপাইমুখি বাঁধ নিয়ে কিছুই বললেন না। তিনি বরাক নদীর ন্যায্য হিস্যা ও বাঁধের সম্ভাব্য ক্ষতির দিকগুলো তুলে ধরতে পারতেন।
টিপাইমুখি বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলন নতুন নয়। এর ক্ষতিকর দিকগুলো সবাই এখন বুঝতে পারছে। ফারাক্কার মাধ্যমে বাংলাদেশের কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে, এটি বাংলাদেশের কারো অজানা নয়।
ফারাক্কার ভয়াল ছোবল থেকে আমরা দেশের একটি বৃহৎ অংশ বাঁচাতে পারিনি। এখন যদি আবার ভারত টিপাইমুখ বাঁধ দিয়ে ফেলে তাহলে দেশের অবশিষ্টাংশও ধ্বংস হয়ে যাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা কী রেখে যাব?
সিলেটসহ গোটা দেশে টিপাইমুখ বাঁধের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। কারো কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে আমাদের উচিত, টিপাইমুখ বাঁধ ইস্যুতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা।