“বাবা চেয়েছিল বড় হয়ে হব উকিল,
নয়তো ডাক্তার।
তাই রাস্তার ধারে গিয়ে,কিছু টাকা দিয়ে,
কিনলাম পুরাতন চেম্বার।”
এরকম হাজারো ডিগ্রী ছাড়া ডাক্তার আমাদের দেশে দেখা যায়।যাদেরকে আমরা হাতুড়ে ডাক্তার বলে জানি।খোজ করে দেখুন কেউ হয়ত এস.এস.সিও পাশ করে নি।কিন্তু গ্রামে ডাক্তার বলে তার নামডাক।
কতগুলো টাকা দিয়ে ঔষধপূর্ণ একটা ফার্মেসী হলেই হল।আপনাকে আর কষ্ট করে এম.বি.বি.এস পাশ করতে হবে না।মানুষ এমনিতেই আপনাকে ডাক্তার বলে ডাকবে।আর আপনি যখন রাস্তা দিয়ে হাঁটবেন তখন স্ট্রেথোস্কোপটা গলায় পেঁচিয়ে রাখবেন।চাইলে চোখে একটা চাশমিস চশমাও লাগাতে পারেন।
আমাদের এখানে একজন আছে,যে এস.এস.সির টেষ্টে ফেল করেছিল।কিন্তু একটা ফার্মেসী থাকার খাতিরে মানুষ তাঁকে ডাক্তার বলেই জানে।এমনকি ঐ এম.বি.বি.এস পাশ করা ডাক্তাররা যেরকম ওয়ানের বাচ্চাদের মত করে লেখে।
উনিও ঠিক তদ্রুপ ওয়ানের বাচ্চাদের মত লিখে আমাদের মূর্খ সমাজকে প্রেসক্রিপশন দেন।
যদি উনাকে জিজ্ঞাসা করি যে,এরকম করে লেখেন কেন?
উনি গম্ভীরভাবে উত্তর দেন,এরকম করেই তো ডাক্তাররা লিখে।
আমি শুধু মনে মনে হাঁসি।আর ভাবি, উনি কোন মেডিকেল কলেজ থেকে এম.বি.বি.এস পাশ করেছেন?
যে মহানুভব এদেরকে ‘হাতুড়ে ডাক্তার’ নাম দিয়েছেন,তাকে অন্তত একবার স্যালুট দিতে চাই।এরা রোগ সরানোর জন্য হাতুড়ি ব্যবহার করে না।হয়ত মহানুভব এ নামের মাধ্যমে ওদেরকে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর কথাটাই ব্যক্ত করতে চেয়েছিলেন।
ভেজাল ঔষধের কারণে অনেক রোগীর মৃত্যু হয়।তার চেয়ে বেশি মৃত্যু হয় হাতুড়ে ডাক্তারের ভূল চিকিৎসার ফলে।যার অসংখ্য উদাহরণ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আমাদের চারপাশে।।
সর্বোপরি,একটা কথাই বলতে চাই।মনে রাখবেন,
“হাতুড়ে ডাক্তার,ভেজাল ঔষধের চেয়েও মারাত্মক।”