২০১৪সালে জেএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট অনেক ভালো হয়েছিলো।বর্তমানে যেরকম চারদিকে পানির অভাব নেই,ঠিক তদ্রুপ ঐ সালে জিপিএ-৫ এর কোন অভাব ছিলো না।
তো একজন জুনিয়র ভাই খুব ভালো রেজাল্ট করেছিল।তার নাম আনোয়ার।পড়ালেখা এতটাই কাঁচা যে,ঠিকমত ব্যঞ্জনবর্ণ কয়টি বলতে পারবে না।আনোয়ার সেবারের পরীক্ষায় ৪.৮৬ পেয়েছিল।
ওকে(আনোয়ারকে) একদিন ওর নাম লিখতে বললাম।কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে,এতো ভালো রেজাল্ট নিয়ে ক্লাস নাইনে পড়া ছেলেটি এখনো তার নাম ঠিকমত লিখতে পারে নি।‘Anwar’ বদলে লিখেছিলো ‘Anwer’।
আরেকজনের কথা বলি।ও আমার ফুফাতো বোন।ক্লাস এইটে একবার ফেল করেছিল।এমনকি ‘Tea-Stall’ অনুচ্ছেদ শিখতে ওর ১০দিন লেগেছিল!!কিন্তু জেএসসি পরীক্ষা ঠিকই ও জিপিএ৪ পেয়েছিল।
আমার একজন আঙ্কেল নাম,এ.রাহমান(আতাউর রহমান)।
উনি একদিন আমায় বললেন,এইচএসসি পরীক্ষায় এক ছাত্র জিপিএ-৫ পেয়েছে।তো উনি না কি দেখেছেন।ছেলেটি ফেবুতে স্ট্যাটাস দিয়েছে এরকম,
“Vondhora, ami a palas piace”(ভন্ডরা,আমি এ পালাস পিয়াছে )
যে ‘বন্ধুরা’ লিখতে গিয়ে ‘ভন্ডরা’ লিখে এবং ৫ শব্দের একটা সেন্টেন্স লিখতে ৩টা ওয়ার্ড ভূল লিখে সে কি করে এইচএসসি তে প্লাস পায়?
‘Anwar’ কে ‘Anwer’ লিখে,১০দিনে ‘Tea-Stall’রচনা শিখে বা ‘বন্ধুরা’কে ‘ভন্ডরা’ বলে যদি ওরা প্লাস পায় তাতে আমার কোন মাথাব্যথা/সমস্যা নেই।কিন্তু সমস্যা তো অন্য জায়গায়।
কথায় আছে,“শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড।আজকের শিক্ষার্থী,আগামী দিনের ভবিষ্যৎ।
এই চাকচিক্যময় সিটি গোল্ডগুলো যদি আগামী দিনের ভবিষ্যৎ হয়। তাহলে একবার চিন্তা করে দেখুন, আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ কতখানি নড়বড়ে হতে পারে?