somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুই পাশে দুই তরুণী মাঝে বিপদ

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১২ রাত ১১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তখন এইচ এস সি পাস করলাম মাত্র।তারপর কোথাও তো ভর্তি হতে হবে।তাই নেমে গেলাম ভর্তি যুদ্ধে।যাই হোক অবশেষে একটা প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে গেলাম।আমার সীট পড়ল ঢাকা ইউনিভার্সিটির কলা ভবনে।জীবনে প্রথম ভর্তি পরীক্ষা তাই কিছুটা নার্ভাস আমি।যাই হোক আমি আমার রুমে গেলাম ভর্তি পরীক্ষার জন্য।গিয়ে দেখি আমার বেনচিতে আমরা ৩ জন।আমার দুই পাশে দুই তরুণী আর মাঝে আমি।
ভর্তি পরিক্ষা তখনও শুরু হয় নাই।এর মাঝে ভাবলাম পরিচয় পর্বটা তাদের সাথে সারব কিনা?আমি আবার মেয়েদের সাথে ভাল একটা কথা বলতে পারি না।তাই ভাবলাম দরকার নেই।যা হবার হবে।যাই হোক ওরা নিজেরাই আমার সাথে পরিচিত হতে আগ্রহ প্রকাশ করল।প্রথমে বাম পাশের জন আমাকে বলল আমার নাম ফারিয়া আমি ভিকারুন্নেসা থেকে এইচ এস সি পাশ করলাম।কিছু না বললে আবার কি মনে করে তাই ভদ্রতা করে বললাম,আমি বললাম আমি ইমির ,নটর ডেম থেকে পাশ করলাম।ডান পাশের জনের নামটা মনে নেই।কিন্তু তার কলেজের নামটা মনে আচ্ছে,বদরুন্নেসা কলেজ।
প্রথমে ফারিয়া বলল দেখ ইমির এইটা ভর্তি পরিক্ষা ।এত সিরিয়াসের কিছু নাই।তা ছাড়া তুমি ছেলে তোমার সাথে আমার কোন বিরোধ নাই।সো আমি আশা করব তুমি আমাকে হেল্প করবা।আমি কোন মতে ঢোক গিল্লাম
আমি মনে মনে বললাম এই মেয়ে বলে কি?আমি ওকে বললাম দেখ আমি কিছু পারি না।আমারটা দেখলে তুমি আরও ধরা খাবা।
-তুমি নটর ডেম থেকে পাশ করছ।নিশ্চয়ই ঘাস খেয়ে পাশ করনি।
তুমি যে ঢং করছ তা আমি বুজতে পারছি।সো নো মোড় টক প্লিজ।
ডান পাশের জন তখনও কিছু বলে নি।
ভর্তি পরিক্ষা শুরু হল।আর একটু পর পর ফারিয়া দেখি আমাকে ডাকছে।হায়রে আমার কপাল।এমন সময়েই আমাকে ডাকলা যখন আমি ভর্তি যুদ্ধে ব্যাস্ত।আমি তার কথায় কান দিলাম না।আমাকে বলে এই ইমির।ইমির শোন।
আমি তাও কান দিলাম না।এবার ডান পাশের জন।সে বোরখা পরিহিতা অবস্থায় ছিল।
সে আমাকে বলল এই, এই তোমার হাতটা প্রশ্ন থেকে সরাও না।
এই দিকে আমার মেজাজটাও খারাপ হয়ে যাচ্ছে।
আমি হাতও সরালাম না।যথারীতি লিখতে লাগলাম।হটাত দেখি হাতে নরম কি যেন লাগছে।দেখি ফারিয়া আমার হাত ধরে ফেলেছে।আমার হাতটা খাতা থেকে সরিয়ে নিল।একি একে বারে হাত!জীবনে ফার্স্ট টাইম কেউ আমার হাত ধরল তাও এ অবস্থায়!
ডান পাশের জন আমার শার্ট ধরে টানছে।বলছে
আরেকবার দেখাও।
আমি পড়লাম মর জালা অবস্থায়।খুব বিরক্ত হতে লাগলাম।আমাদের দেশের মেয়েরা যে এত খানি এগিয়ে গিয়েছে যে পর পুরুষের হাত ধরে টানা টানি।আরেকজন আবার জামা কাপড় ধরে টানা টানি।
হটাত আল্লাহ আমাকে রহম করল।আমাদের যেই ম্যাডামটা গার্ড দিচ্ছিলেন তিনি ফারিয়াকে বললেন এই যে মেয়ে ,এসব কি হচ্ছে?তুমি ঐ পিছনের বেনচিতে গিয়ে বস তো।
মেয়েটা গাই গুই করছিল ।যেতে চাচ্ছিল না।ম্যাডাম একটা ধমক দেয়াতে সে ভয়ে ভয়ে চলে গেল।এইটা দেখে পাশের মেয়েটাও একটু সাবধান হয়ে গেল।যাই হোক বাকি সময়টা বেশ আরামেই পরিক্ষা দিলাম।

পরিক্ষার পর মনে হল যদি আজ পরিক্ষার হলে না থেকে অন্য কোথাও থাকতাম ।তাহলে স্মৃতিটা খারাপ না হয়ে মধুর তো হতে পারত।
৮টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×