somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটি স্থূল,কাহিনী বিহীন SUPER CRAP মুভি- “হৃদয় ভাঙা ঢেউঃThe Heart Breaking Blow”

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রোযোজক : এম.এ. জলিল(অনন্ত)
পরিচালক : গাজী মাজহারুল আনোয়ার
কলাকুশলী : অনন্ত,বর্ষা,রাজ্জাক,দিতি,আলমগীর,কাবিলা,কোবরা প্রমুখ
Genre : কোনো Genre এর আওতায় ফেলা সম্ভব নয়...





দৃশ্য-১: আলমগীর।হাতে বাইনোকুলার।জিপের উপর হেলান দিয়ে বেশ আয়েশী ভঙ্গিতে জমি দেখছে।সাথে কাবিলা।আলমগীর কাবিলারে বলল-‘আমি আলম খান।যে রাস্তায় হাঁটি,সে মাটি আমার।যা,ঐ জমির মালিকের কাছে যা।গিয়া দস্তখত নিয়া আয়,যা।কাবিলা চলে যায়।স্বভাবসুলভ আবাল মার্কা জোক্স করতে করতে জমির মালিকরে বলে জমি বেইচা দিতে।মালিক বলে-‘জমি বেচুম না’।এই কথা আলমগীর রে গিয়া বললে ও কাবিলারে বলে-‘যা,ওর বুড়া আঙুল কাইটা নিয়া আয়।ওই আঙুল দিয়া দস্তখত নিমু।‘কাবিলা ভদ্রমানুষের মতন ওর আঙুল কেটে নিয়ে আসে...



দৃশ্য-২: আলমগীর।এক ছনের ঘরে কুদর্শন এক মহিলার সাথে কথা বলছে।ঘটনা শুনে জানা গেল ঐ মহিলার সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক।সে এক ছেলে বাচ্চা প্রসব করেছে।আলমগীর বাচ্চা পেয়ে খুশি।সে এরপর হঠাৎ গলা টিপে মহিলাকে মেরে ফেলে। কাবিলাকে বলে তার লাশ সমুদ্রে ফেলে দিতে।আর বলে বাচ্চাকে মেরে ফেলতে।কাবিলা প্রস্তাব দেয় তাকে বাঁচিয়ে রাখার,যাতে পরে সে তাকে নিজের স্বার্থোদ্ধারে ব্যবহার করতে পারে।সে বলে-‘এই অঞ্চলে তো সবখানেই আপনার এমন অনেক পোলাপাইন।এরে বাঁচায়া রাখলে কোনো সমস্যা নাই’। আলমগীর তাকে থাবড় মারে...



দৃশ্য-৩: কাবিলার চেলা বাচ্চাকে জঙ্গলে ফেলে আসতে যায়।এমন সময় এক গাড়ি চলে আসে।চেলা ভয় পেয়ে বাচ্চাকে গাড়ীর সামনে রেখে পালিয়ে যায়।গাড়ি থেকে নেমে আসে দিতি,আলমগীরের আসল বউ।সে বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ি আসে।বাচ্চা ফিডারের দুধ খায় না।দিতি চিন্তায় অস্থির হয়ে যায়।এমন সময় রশণি নামের দিতির প্রাইভেট কাজের মেয়ে পরামর্শ দেয় বাচ্চাকে যাতে দিতি নিজের দুধ খাওয়ায়,কারণ দিতির বাচ্চা মাসখানেক আগে মারা গেছে।দিতি ট্রাই নেয়।তার ট্রাই এ কাজ হয়।বাচ্চা দুধ খেয়ে ঘুমিয়ে যায়...



দৃশ্য-৪: দিতি বাড়ির নিচে।মদ্যপ আলমগীর জীপ নিয়ে তার সামনে এসে দাঁড়ায়।Threat দেয় যাতে সে বাচ্চাকে ফেলে আসে নয়তো বাড়ি থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও রাখে।দিতি ব্যাপারটার মধ্যে চ্যালেঞ্জের গন্ধ পায়।সে জাত উকিল।জীবনে কখনো ফেল করেনি।সে বলে এই বাচ্চার ব্যাপারটা সে দায়িত্ব সহকারে দেখবে।



দৃশ্য-৫: আলমগীর কাবিলার সাথে ঐ বাচ্চা নিয়ে তার কু-পরিকল্পনার কথা বলছে।সে কাবিলাকে বলে যাতে সে বাচ্চার হাতে পিস্তল তুলে দেয়।সে কাবিলাকে একটা ব্র্যান্ড নিঊ ওয়ালথার দেয়।কাবিলা আবারো এক জোক্স করে।সে থাবড় খায়...



দৃশ্য-৬:
খেলনা পিস্তল নিয়ে ৮-১০ বছরের এক বাচ্চা ঢিশুম ঢিশুম করতে করতে বাচ্চা দিতির কাছে আসে।দিতি বলে-‘পিস্তল কে দিয়েছে?’।বাচ্চা বলে সে এটা দিয়ে বড়লোক হবে।দিতি তাকে থাবড় মারে...



দৃশ্য-৭: রাত।আলমগীর।আবারো জমি মাপছে।কাবিলাকে বলে,যা জমির মালিককে গিয়ে বল দস্তখত করতে।কাবিলা জমির মালিককে আলমগীরের Message Pass করে।স্বভাবগতভাবে মালিক বলে-‘জমি বেচুম না’।আলমগীর বলে তারে বস্তায় ভরে সমুদ্রে ফেলে দিতে।সে তাকে ফেলে দেয়।কোত্থেকে এক ধাড়ি জোয়ান ছেলে সমুদ্রে লাফ দেয়।সে বস্তা তুলে আনে।বস্তা থেকে বের করে ঐ কৃষককে(এই ছেলেই নায়ক)।জিজ্ঞেস করে কে তাকে মেরেছে।সে বলে-‘আলম খান’।ছেলে বিশ্বাস করে না।হঠাৎ কোত্থেকে এক গুলি এসে কৃষকের মাথা ফুটো করে দেয়।নায়ক তাকিয়ে দেখে তার মা এর স্বামী-আলম খান।আলম খান এবার অনন্ত(নায়ক) কে Threat দেয় যে এই ঘটনা যদি ওর মা কে বলে তাহলে ওর মা কে সে মেরে ফেলবে।অনন্ত তার ক্যাবলাকান্ত মার্কা চেহারা নিয়ে চিৎকার দিয়ে ওঠে-‘নাআআআআ......’।আলমগীর আরো বলে যে ওকে তার হয়ে কাজ করতে হবে,সব কথা মেনে নিতে হবে।অনন্ত দঁড়িয়ে থাকে...



দৃশ্য-৮ : আলমগীর দিতির কাচে গিয়ে বলে তার ছেলে গুন্ডা,বদমাস।দিতি বিশ্বাস করে না।সে বলে-‘না,আমি বাজীতে হারতে পারি না...’।আলমগীর হাসে।হঠাৎ অনন্ত চলে আসে।সে মা এর কাছে হাসতে হাসতে ভাত চায়।মা ছেলেকে চার্জ করে।সে কিছু বলতে পারে না।মেনে নেয়,কারন সামনে আলমগীর দাঁড়িয়ে।দিতি তাকে থাবড় মারে...



দৃশ্য-৯ : অনন্ত হতাশ হয়ে পড়ে।সে চায় মদ খেতে।আলমগীর কাবিলাকে দিয়ে মদ আর মেয়ে পাঠিয়ে দেয়।অদ্ভুত বাংলা ছবি টাইপ এক বানিজ্যিক গান হয়।অনন্ত মদ খেতে খেতে হা হুতাশ করতে থাকে।গোলাপী জামা পরা ইয়া মোটা এক মেয়ে তার দলবল নিয়ে অনন্তকে ঘিরে উদ্দাম নৃত্য করতে থাকে।পাশ দিয়ে হেঁটে যায় দিতি।সে ছেলেকে দেখে ফেলে এ অবস্থায়।অনন্ত আবারো থাবড় খায়...



দৃশ্য-১০ : অনন্ত খারাপ হয়ে যায়।জমি দখল করতে থাকে।একদিন এক শহুরে লোক এসে আলম খানের চা বাগান কিনতে চায়।আলম খান তাকে গুলি করে।ওই লোকের ড্রাইভার পালিয়ে যায়।অনন্ত এসে পড়ে।সে বলে-‘এটা কি করলেন?’আলমগীর বলে-‘তুই এর খুনী।তুই পুলিশকে এ কথা বলবি’।আনন্ত মানতে চায় না।তার মা এর কথা মনে পড়ে।সে মেনে নেয়...



দৃশ্য-১১ :
কোর্টরুম।অনন্ত স্যান্ডোগেঞ্জী পরে ডায়াসে দাঁড়ানো।সরকার পক্ষের উকিল তার Opposition এ সব বলে যাচ্ছে।অনন্তের কোনো উকিল নেই।দিতি দৌড়ে আসে।সে বলে অনন্তকে সে রক্ষা করবে।দিব্যচখে অনন্ত দেখে আলমগীর তার মা কে খুন করছে।সে চিৎকার করে বলে ওঠে-‘আমি খুনি,আমি খুনি...’।অনন্তের ‘বয়স কম’ বিধায় জজসাহেব তাকে যাবজ্জীবন জেল দেয়।দিতি চিৎকার দেয়।অনন্তকে বলে কেন সে মিথ্যা বলল।ও বলে-‘একটা মিথ্যা যদি আমার সবচাইতে প্রিয়জনকে বাঁচাতে পারে,তবে আমি বার বার মিথ্যা বলব’।



দৃশ্য-১২ : জেলখানা।অনন্ত দেখে এক ভুড়ীওয়ালা লোকের গা টিপে দিচ্ছে সবাই।অনন্তকেও সে টিপতে বলে।সে টেপে না।মারামারি লাগে।অনন্ত একেক লাথিতে সবাইকে পরপারে পাঠাতে থাকে।হঠাৎ কেঊ এসে তার হাত ধরে।সে জেলার।আর কেউ না,নায়করাজ রাজ্জাক।সে অনন্তের সাথে কথা বলে বোঝে ছেলে অনেক মা ভক্ত।এ কাঊকে মারতে পারে না।সে খুশি হয়ে নিজের বাড়ি থেকে আনা মোরগ পোলাও অনন্তকে খেতে দেয়...



দৃশ্য-১৩ :
অনন্ত মাটি কাটছে।হঠাৎ এক নতুন কয়েদী এসে ঘোষণা করে যে সে আলম খানের বৌকে মেরেছে।অনন্ত আগুন হয়ে যায়।তাকে মেরে জেল থেকে পালিয়ে যায়।জেলখানার ৫০-৬০ জন পুলিশ AK-47 দিয়ে ব্রাশ ফায়ার করে দেড়-দুই হাজার রাঊন্ড গুলি খরচ করেও তাকে ঠেকাতে পারে না।ব্যাপারটি চোখে পড়ে কোবরা এর।এই ব্যাটাও আলমগীরের ভাড়াটে গুন্ডা।



দৃশ্য-১৪ : অনন্ত বাড়িতে গিয়ে দেখে তার মা বহাল তবিয়েতে আছে।তার মা তাকে বলে ‘আসল পুলিশ’ এর কাছে ধরা দিতে।ইতোমধ্যে কোবরা পুলিশের জ্বিপ নিয়ে নকল পুলিশ হয়ে আসে।এসে অনন্তকে ধরে নিয়ে যায়।পুলিশের গাড়ী কক্সবাজার থেকে ছেড়ে ঢাকার বসুন্ধরার রাস্তায় চলতে থাকে।অনন্ত গাড়ীতে যেতে যেতে দেখে যে কন্সটেবলদের পায়ে কেডস।সে বুঝে ফেলে এরা নকল পুলিশ।তার মনে পড়ে যে তার মা তাকে বলেছে আসন পুলিশের কাছে ধরা দিতে।সে এরপর কন্সটেবলের পিস্তল কেড়ে নিয়ে সবাইকে গুলি করে মারে।দুটো গুলি করে গাড়ীটাও ঊড়িয়ে দেয়।



দৃশ্য-১৫ : অনন্ত আসল পুলিশ খুঁজতে খুঁজতে ক্যামনে ক্যামনে জানি ব্যাংকক চলে আসে।সেখানে কোবরার চ্যালা ‘ব্রুসলি’ তাকে অ্যাটাক করে।সে সবাইকে মেরে এক বিদেশী স্পীডবোটে চড়ে বসে।তার পিছু নেয় গুণ্ডারা।এমনকি হঠাৎ দেখি বোট নিয়ে থাইল্যান্ডের সমুদ্রে বাংলাদেশের নীল ড্রেস পরা পুলিশও তার পিছু নিয়েছে।অনন্ত সব গুণ্ডাকে তাদের বোট থেকে ফেলে দেয়।আর নিজে গিয়ে এক লঞ্চে ওঠে।ওই লঞ্চের এক লোকের জামা চুরি করে সে আবারো সমুদ্রে ঝাঁপ দেয়।



দৃশ্য-১৬ : অনন্ত এক দ্বীপে সাঁতরে গিয়ে ওঠে।সে চিৎকার দেয়-‘এ দ্বীপে কি কোনো মানুষ নেই?’ কেঊ জবাব দেয় না।সে তার হলুদ রঙের জামা খুলে ফেলে।এক কালো স্যাণ্ডোগেঞ্জী বেরিয়ে আসে।

পরের দৃশ্যেই দেখা যায় গেঞ্জীর রঞ সাদা।সে লঞ্চ থেকে ঝাঁপ দেবার সময় স্পেয়ার কোন গেঞ্জী নিয়ে ঝঁপ দিয়েছিল বলে মনে পড়ে না।যাই হোক,মা ভক্ত অনন্তের তার মা এর কথা মনে পড়ে।সে তার মাকে চিঠি লিখতে চায়,কারণ তার মা তাকে বলেছে দূরে গেলে চিঠি লিখতে।সে ওই সমুদ্রতীরে কলম আর কাগজ খুঁজতে থাকে।পায় না।পরে পাতায় লিখে-‘মা তুমি কেমন আছ?’।লিখে বাতাসে উড়িয়ে দেয়।পাতা ভাসতে থাকে।অনন্ত বাল+আম এর গান ধরে-

‘বুকের ভেতর কষ্ট এত,জানল না তো কেউ,

চারিদিকে দেখি কেবল হৃদয় ভাঙা ঢেউ...’



দৃশ্য-১৭ : অনন্ত নির্জন দ্বীপে ভ্যাবলার মত বসে থাকে।সে ডাল কেটে এক বর্শা বানায় মাছ ধরার জন্য।প্রথম চান্সেই বড় এক মাছ ধরে ফেলে।কাঁচা খেতে গিয়ে ওয়াক বলে ফেলে দেয়।বুদ্ধি আঁটে আগুন জ্বালিয়ে মাছ পুড়িয়ে খাবে।আগুন পাবে কই?তার মনে পড়ে তার মা তাকে ছোটকালে শিখাইছিল পাত্থর ঘৈষা আগুন জ্বালাইতে হয়।সে দুইটা প্রমাণ সাইজের পাথর নিয়া ডলা মারে।দিয়াশলাইয়ের মত ভুস কইরা অলৌকিক উপায়ে আগুন জ্বইলা উঠে।সে মাছ পুড়ায়া খায়...



দৃশ্য-১৮ :
অনন্ত মাছ ধরতে সমুদ্রে নামে।এক ডিপ ফ্রিজ খুঁইজা পায়।তালা মারা।সে তালা ভাঙে।এক বৈদেশী মেয়েদের ড্রেস তার মধ্যে।ওই ড্রেস দেইখাই অনন্ত খায় ক্রাশ।Then,বাংলা গান...



দৃশ্য-১৯ : গান শেষ হলে অনন্ত দেখে তীরে এক মেয়ে।এ হল গিয়া নায়িকা।এরে তুলে অনন্ত পেটে আস্তে দুইটা চাপ দেয়।ভুস ভুস কইরা মিনারেল ওয়াটার ট্যাপের মতন একগাদা পানি বাইর হয়।নায়িকার জ্ঞান ফেরে না।তা নিয়ে অন্মন্তরে তেমন চিন্তিত হইতেও দেখা গেল না।সে ওরে নিয়া তার বানানো পাথরের ঘরে আসে।মেয়ে বাঁইচা আছে কি মইরা গেছে তা নিয়া তার কোনো খেয়াল নাই।তার চোখে পড়ে মেয়ের শরীর ময়লা।সে পাতা দিয়া পরিষ্কার করতে থাকে।এরপর দেখে মেয়ের শরীর ভেজা।সে কাপড় খুলতে যায়।হল ভর্তি সবার শিষ,চিৎকার।But অনন্ত হারামজাদার মনে তার মা এর কথা এসে পড়ে।তার মনে পড়ে-মা ওরে বলছিল,মেয়েদের সম্ভ্রম অনেক বড় জিনিস।ও নায়িকারে ফালায়া চইলা আসে।পাতা নিয়া মাঊথ অরগ্যানের মতন নির্ভেজাল সাউন্ডের বাঁশি বাজাইতে থাকে...



দৃশ্য-২০ : নায়িকা জাইগা ঊঠে।সে অনন্তরে দেইখা ভয় পায়,দৌড় দেয়।অনন্ত ওরে আটকায়।বলে যে ওরে দেইখা ভয়ের কিছু নাই।হঠাৎ অনন্ত দেখে দূর সমুদ্রে এক জাহাজ ভাইসা যাইতেছে।অনন্ত ওইটারে থামাইতে চায়।এক ছোট গাছের ডাল ভাইঙা দোলাইতে দোলাইতে গরুর মতন চিৎকার করতে থাকে।জাহাজ ওরে দেখে না...

এরপর শুরু হয় কাহিনী।নায়িকা ক্রাশড,অনন্ত পাত্তা দেয় না।সে খালি নায়িকারে মাছপোড়া খাইয়া ঘুম দিতে কয়।নায়িকা ক্ষেপে।একদিন নায়িকার জ্বর হয়।সে অনন্তরে জানায় না।অনন্ত পরে জানার পর কি করবে বুঝে না।মনে পড়ে-ওর মা ওরে বলছিল জ্বর হইলে জল্পট্টি দিতে।অ নিজের জামা ভিজাইয়া নায়িকারে জল্পট্টি দেয়।



দৃশ্য-২১ : অনন্ত মাছ ধরতেছে।সে নিজেরে গালি দিতে থাকে যে সে নায়িকার নাম জানে না।নায়িকা পেছন দিক দিয়া খিল খিল করতে করতে আইসা বলে তার নাম বর্ষা।অনন্ত এরপর নায়িকারে তার কাহিনী বলতে কয়।ক্যামনে ঐ দ্বীপে আসল জানতে চায়।Backflash…

নায়িকার গল্প শুরু।এক লাউঞ্জে বর্ষা নাচতেছে।সাথে গান-

‘আজ শুক্র,শুক্র,শুক্র,শুক্রবার।

শনি,রবি,সোম হলে-

তোমায় আমি কাছে পেলে-

হাঁটতাম দুজনে রমনা পার্কে।‘


(এটা DJ টাইপ গান।ছবির একমাত্র আইটেম সঙ।নায়িকারে বেশ হট দেখা যায় এখানে।



দৃশ্য-২২ : বর্ষার নাচ দেইখা মুগ্ধ ৭-৮ টা বখাটে ছেলে।তারা কু প্রস্তাব দেয়।বর্ষা থাবড় দিয়া চইলা আসে।এরপর বাড়ি গিয়া তার বাপ রে বলে ব্যবস্থা নিতে।বাপ পুরা Clown… সে নানা ফালতু ফালতু জোকস করে।বর্ষা ক্ষেপে।বাপ এবার ব্যাপারটার গুরুত্ব বুইঝা মেয়েরে নিয়া থানায় যায়।OC রে বলে।বাড়ি ফেরার সময় ওইসব বখাটে তাদের অ্যাটাক করে।বাপরে গুলি মারে।বর্ষা পালায় যায়।সমুদ্রে ঝাঁপ মারে।এই হইল গিয়া কাহিনী।



দৃশ্য-২৩ : রাজ্জাক যায় আলমগীরের কাছে।সে বলে অনন্তের জন্য আর চাকরি গেছে।তাই একটা কাজ চায়।আলমগীর তারে নিজের চ্যালা বানায়া নেয়।থাইল্যাণ্ডের সমুদ্রে ইয়টে চারটা মেয়ে নিয়ে আলমগীর,কাবিলা,রাজ্জাক ফুর্তি করে।



দৃশ্য-২৪ : এইদিকে অনন্ত-বর্ষা মনোমালিন্য হয়।অনন্ত সারারাত পাতার বাঁশি বাজায়।নায়িকার তো ক্রাশের পর ক্রাশ।অনন্তও ক্রাশ খাইয়া যায়।বর্ষা গোসলে যায়।হাঙর ওরে অ্যাটাক করে।অনন্ত কয়টা ঘুষি মাইরা নায়িকারে বাচায়া আনে।অনন্তের কিছু হয় না।খালি হাতের কাছে একটু কাইটা যায়।

বর্ষা আইসা অনন্তের হাত মুইছা দেয়,নানা ভাবের কথা বলে।অনন্ত গইলা যায়।বর্ষারে নিয়া পাথরের ঘরে যায়।অনন্ত-বর্ষা বিছানার Scene…অনন্ত এর মুখ বর্শার কাছাকাছি...হল ভর্তি টান টান উত্তেজনা...অনন্ত আরো কাছে যায়...আরো...আরো...ক্যামেরা সরে যায়...হঠাৎ পাতার আড়ালে আপত্তিকর Scene চাপা পইড়া যায়...



দৃশ্য-২৫ : সকাল।অনন্ত ঘুম থেকে ঊঠে বর্ষাকে রেখে সাগরে নামে।আনন্দে লালনগীতি গাইতে থাকে।আবার সেই হাঙর।অ্যাটাক।আবার ধস্তাধস্তি।এইবার অনন্তরে একটু আহত মনে হইল,কারণ তার জামা এক জায়গায় ছিঁড়ে গেছে।বর্ষা এসে ওরে উঠাইয়া ঘরে নিয়া গিয়া শার্ট খুইলা ফেলে।সে তারে গেঞ্জী পরায়া দেয়।কান্নাকাটি করে রক্ত বন্ধের জন্য ‘অ্যাল্কা’ পাতার রস খুঁজতে যায়,অথচ অনন্তের শরীরে রক্তের ছঁটে ফোঁটাও দেখা যায় না...



দৃশ্য-২৬ : আলমগীর পেপার পইড়া জানতে পারে সাগরে এক নতুন দ্বীপ জাগছে,সে ঐটার দখল নিতে কাবিলা আর সাঙ্গোপাঙ্গো নিয়ে লঞ্চ নিয়ে চিটাগং থেইকা রওনা দিয়া থাইল্যান্ডের ঐ দ্বীপে চইলা আসে যেখানে কিনা অনন্ত-বর্ষা প্রেম-পীরিতি চালায়া যাচ্ছে।আলমগীর তীরে নাইমা বাঁশের আগায় অর নাম লেখা পতাকা সারা দ্বীপে ঊড়ায়া দিতে বলে ওর চ্যালাদের।হঠাৎ সে দেখতে পায় বর্ষারে।বর্ষা আলমগীর রে দেইখা ওর কাছে রক্ত বন্ধের ঔষধ চায়।আলমগীরের পীরিত চ্যাগায়া উঠে।সে ওরে ধইরা লঞ্চ নিয়া ব্যাক করে।অনন্ত চিৎকার দিয়া ঊঠে।প্রতিশোধ নিতে চায়।কিন্তু কিছুই করতে পারেনা...

অনন্ত তার স্থূল বুদ্ধি দিয়া পতাকার বাঁশ সংগ্রহ কইরা এক ভেলা বানায়া আলমগীরের লঞ্চের পিছু নেয়।এমনকি তার বাঁশের ভেলা ঐ লঞ্চের আগে চিটাগং ল্যাণ্ড করে।সে ঐখানে কোবরার সাথে অ্যাটাকে যায়।কোবরার সুমো কুস্তিগীর টাইপ গ্যাংরে অনন্ত ফুঁ দেবার মতন উড়ায়া দেয়।এরপর আসে তার নিঞ্জা বাহিনী।তারা নিনজা ড্রেস পইরা তলোয়ার নিয়ে অনন্তরে অ্যাটাক করে।এদেরও অনন্ত উড়ায়া দেয়।এর পর কোবরার এক মাসলম্যান চ্যালা আসে X-Men এর চার ফলা ছুরি নিয়া।অনন্ত এরেও ঊড়ায়া দেয়।এরপর কোবরা।কোবরার সাথে অনন্তের বেশ ভালো ফাইট হয়।নিনজা তলোয়ার দিয়া সে কি ফাইট।হঠাৎ দুইজনের ই তলোয়ার ভাইঙা যায়।এফ.ডি.সি এর তলোয়ার।এইটা ভাঙার পেছনে ওদের Skill এর কোনো হাত নাই...যাই হোক,অনন্ত কোবরারে মাইরা এক ছনের ঘরে দৌড়ায়া আসে।এইখানে আলমগীর বর্ষারে নিয়া লীলাখেলা করতে যাচ্ছিল।আলমগীর অনন্তরে গুলি মারে।অনন্ত পিস্তল ফালায়া আলমগীররে বাঁচায়া রাইখা বাইর হইয়া আসে বর্ষারে নিয়া।হঠাৎ আলমগীর পিস্তল কুড়ায়া নিয়া তাক করে আবার।গুলি করতে চায় অনন্তরে।দিতি কোত্থেইকা জানি উইড়া আইসা আলমগীরের হাত ধইরা অনন্তরে বলে পালায়া যাইতে।অনন্ত বেশ কয়েকটা চ্যালার সাথে মারামারি কইরা তিন-চারটা গুলি খাইয়া বর্ষারে নিয়া সমুদ্রে ঝাঁপ দেয়।এদিকে রাজ্জাক চইলা আসে।সে আইসা আলমগীররে আটকায়।এখানে তার আসল পরিচয় পাওয়া যায়,সে আসলে Double Cross করতেছিল,গোপনে অনন্তের কেস এর কাজ করতেছিল।সে আলমগীর,কাবিলারে গ্রেফতার করে।



দৃশ্য-২৭ : অনন্ত-বর্ষা আবার এক দ্বীপে আইসা পড়ে।দুইজনেরই জামাকাপড় ছেঁড়া।এদিকে রাত হইয়া যায়,তারা ঘুমায়া পড়ে।দিন হইয়া গেলে যখনই তাদের ঘুম ভাঙ্গে,এক পুলিশ অফিসার বইলা উঠে-‘Hands Up’…ভাবটা এমন যেন ওদের ঘুম ভাঙার জন্য Wait করতেছিল।এদিকে রাজ্জাক আলমগীররে নিয়া অনন্তের কাছে আসে।আলমগীর অনন্তের কাছে মাফ চায়।দিতি ও আসে।সে বর্ষারে ছেলেবৌ হিসেবে মাইনা নেয়...





এই হইল গিয়া Heart Breaking Blow…একটা ছবি যে কতটা অখাদ্য হইতে পারে,তা এ না দেখলে বোঝা Possible না।পুরা ছবিটাই কাহিনীবিহীন।Search:দ্য খোঁজ এর সাথে তুলনাতে গেলে এই জিনিস দাঁড়াইতেই পারবে না।পুরা ছবিতেই কোন কাহিনীর পর কোন কাহিনী,মেলাইতে গেলে মাথার তার ছিঁড়া যাবার অবস্থা।আর কাহিনী ও তো মাশাল্লাহ টাইপ।

নায়কের ইয়া ‘আন্দার রাস্কালা’ টাইপ ভুড়ি আর নায়িকার ‘বাবল টক’-এ দুইটা বিরক্তির চূড়ান্তে নিয়া যাবে যে কাউরে।



দেখতে কাউরে মানা করার কিছু নাই।যার ইচ্ছা,দেখবেন।তবে সাথে এক পাতা Aspirine অথবা ঘুমের বড়ি থাকলে কিছুটা উপকার পাবেন বলে আশা করা যায়।High Blood pressure এর সবাইকে সিনেমাহল থেকে নিরাপদ দূরত্বে থাকার অনুরোধ করা হল...











১৬ ডিসেম্বর,২০১১
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:৩৩
১৯টি মন্তব্য ১৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×