somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

আমার মুভি দর্শন-'মোস্ট ওয়েলকাম'

২২ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১০:১৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

 প্রোযোজক : এম.এ. জলিল(অনন্ত)
 পরিচালক : অনন্য মামুন
 কলাকুশলী : অনন্ত,বর্ষা,স্নেহা উলাল(মুম্বাই),রাজ্জাক,বাপ্পারাজ,সোহেল রানা,আহমেদ শরীফ,মিশা সওদাগর,কাবিলা,রাধিকা,কোবরা প্রমুখ
 চিত্রগ্রাহক : চেন্নাইয়ের তাইগু
 সংগীত পরিচালনা : হৃদয় খান, আরেফিন রুমি, মাহমুদ সানি, সুমন কল্যাণ ও শওকত আলী ইমন
 নৃত্যপরিচালক : শংকর আন্নাই
 ফাইট ডিরেক্টর : হর্ষ বাবু,থাইল্যান্ডের জাইকা ও মনজ
 শুটিং স্পট : মুম্বাইয়ের ফিল্ম সিটি, রামোজি স্টুডিও, হায়দরাবাদ ও থাইল্যান্ডের মনোরম লোকেশনে
 প্রযোজনা সংস্থা : মুনসুন ফিল্মস
 Genre : হার্ডকোর অ্যাকশন ফিল্ম


দৃশ্য-১: ‘বাবা,বাবা...চল না আমরা বাইরে কোথাও খেতে যাই!চল না...চল না!’
‘ঠিক আছে,মা।‘(ভেটকি হাসি)
‘এই চল,আজই যাই’

এমন সময় হঠাৎ আসমান থেকে তিন ষণ্ডামার্কা ভিলেনের আগমন।ভদ্রলোকের জামার কলার চেপে ধরে-
‘এই শুয়োরের বাচ্চা,আমার টাকা কই?’
‘টাকা কোত্থেকে দেব?টাকার অভাবে গত কয়েক মাস ধরে গার্মেন্টসের শ্রমিকদের কাউকে বেতন দিতে পারছি না।টাকা নেই’।

অমনি তিনজন মিলে টেনে হিঁচড়ে বের করে নিয়ে নিয়ে গেল তাকে।
স্ত্রীঃ ‘না,না,না...ছেড়ে দাও...ওকে ছেড়ে দাও’
গুণ্ডাঃ ‘হে হে হে,ছেড়ে দেবার জন্যই তো নিয়ে যাচ্ছি।আর চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ৪০ লক্ষ টাকা নিয়ে আমাকে না দিলে এর লাশ ফেরৎ পাবি।এর লাশ! হা হা হা!’

‘না..................’


দৃশ্য-২: ‘ম্যানেজার সাহেব,আমার এক্ষুনি ৪০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।‘
‘এত টাকা তো আমাদের ফান্ডে নেই ম্যাম’
‘এক্ষুণি লাগবে,নয়ত আপনাদের এমডিকে গুন্ডারা মেরে ফেলবে,দরকার হলে ফ্যাক্টরী বেচে দিন’
‘তা তো সম্ভব নয় ম্যাম,সময় লাগবে’

হঠাৎ স্প্রিংয়ের মত লাফ দিয়ে-‘তবে আমাকে অন্য রাস্তা দেখতে হবে...’

দৃশ্য-৩: ‘মুশকিল-আসান’ বাবার মাজার।স্ত্রী কাঁদতে কাদতে ছুটে এসে হুমড়ে পড়ে বাবার দরবারে।লোকে বলে বাবার দরবারে এসে কেউ খালি হাতে ফেরত যায় না।চিৎকার করে কেঁদে বলে-‘বাবা,আমার স্বামীকে রক্ষা কর বাবা।আমার টাকার জোগাড় করে দাও।‘
অমন সময় মেয়ের বয়সী মহিলার কান্না দেগে ছুটে এলেন মাজারের একনিষ্ঠ খাদেম নায়করাজ রাজ্জাক।
‘কি হয়েছে,মা?’
‘আমার স্বমীকে ওরা ধরে নিয়ে গেছে।ওকে বাঁচান বাবা।‘
‘বাঁচানোর মালিক তো আমি না রে।তুই একটা কাগজে তোর মনের ইচ্ছা লিখে ঐ “দান বাক্সে” ফেলে যা।বাবা চাই তো,তোর মনের ইচ্ছা পূরণ হবে’

বাচ্চা কাঁদতে কাঁদতে কাগজে লিখে-‘আল্লাহ,আমার বাবাকে বাঁচানোর জন্য আজ রাতের মধ্যে তুমি ৪০ লাখ টাকা দিয়ে যাও’

দৃশ্য-৪: মানি এক্সচেঞ্জ।
দুই ষণ্ডা লোক গিয়ে পিস্তলের মুখে একাউন্ট্যান্টকে বলে-‘এই এক্ষুণি দুই লাখ ডলার বের কর।‘
‘আপনারা যা করছেন,ঠিক করছেন না’
‘চুপ শালা।তুই ফাঁকি দিচ্ছিস সরকারকে,আমরা ফাঁকি দিচ্ছি তোকে।হা হা হা!’

এরপর দু-চার রাঊন্ড গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে মারুতি নিয়ে ষণ্ডাদের প্রস্থান।
হঠাৎ কোত্থেকে ফেরেশতার মত আগমন হল ‘খোদার খাসি’ জলিল এর।মুখে ‘কৃষ’ স্টাইলের মুখোশ পরে বাইক নিয়ে ভুম ভুম কররতে করতে ষণ্ডাদের পিছু নিল ও।ষন্ডাদের লাইট মেশিনগান,AK-47,ওয়ালথারের হাজার হাজার গুলি এদিক ওদিক চ্যাং-চ্যুং করে কাটিয়ে রাস্তা কাঁপিয়ে,পাতা উড়িয়ে ধ্রুম করে তাদের গাড়ির ওপর বাইক তুলিয়ে দিল সে।এরপর সে কি মারামারি!বলিঊডের অ্যাকশন ফেইল।হাতে,ঠ্যাং এ,বুকে,মাথায়,দু পায়ের চিপায়-ধুম ধাম পিটিয়ে দশ বারোজনকে ঢাকা মেডিকেলের রাস্তা দেখিয়ে দু লাখ ডলারের বস্তা নিয়ে নায়ক জলিলের প্রস্থান।

দৃশ্য-৫: বাসায় বেল বাজে।স্ত্রী বাচ্চা মেয়েকে সাথে নিয়ে দরজা খুলে দেখে কে যেন এক ব্যাগ ফেলে গেছে।খুলে দেখে তা ডলারে ভর্তি।দু’হাত জোড় করে বলে-‘মুশকিল আসান বাবা,তুমি মহান!’
এরপর টাকা নিয়ে গুন্ডাদের ওয়্যারহাউস থেকে স্বামীকে ছাড়িয়ে আনে সে।

দৃশ্য-৬: গুন্ডাদের আস্তানা।এইমাত্র ৪০ লাখ টাকা পেয়ে সবার মাথায় মাল।মদ-টদ খেয়ে ধুন্ধুমার অবস্থা।অমনি দেয়াল টেয়াল ভেঙে কোত্থেকে আবার সেই মুখোশধারী ‘কৃশ’ জলিলের আগমন।গুন্ডারা চিৎকার দিয়ে বলে-‘এই,কে তুই?ভূত?’
‘না,আমি ভূত না।আমি সৃষ্টির সেরা জীব।আমি মানুষ।যে টাকা তোরা অন্যায়ভাবে নিয়েছিস,সে টাকা আমাকে ফেরত দে।আমি সবাইকে অন্যায় করার পর ভালো পথে আসার সুযোগ দেই।সবাইকে ভালো হবার আহবান জানিয়ে জানাই “মোস্ট ওয়েলকাম”
‘হা হা হা!আর আমি তোর মত চিড়িয়াকে মেরে শেষ করে দেই।যারা আমাদের মোস্ট ওয়েলকাম জানায়,তাদের আমি “গুডবাই” করে দেই’

ওম...ঢিসুমাইট!ঢিসুমাইট!!(আবার মারামারি।স্বভাবতই জলিল সবাইরে পিটায়া আঙ্গার বানায়া দিয়া টাকা নিয়া বাইর হইয়া আসে)

দৃশ্য-৭: দুর্নীতি দমন কমিশনারের অফিস।চেয়ারম্যান তার বিশ্বস্ত অফিসার আরিয়ান(এম.এ.জলিল) এর সাথে বসা।ভারি ভারি মুখ।
‘বুঝেছ আরিয়ান,আমাদের সমাজে অনেক বিত্তশালী অন্যায়ভাবে ব্যাংকের কাছ থকে লোন নিয়ে নিজেদের কাজে ব্যায় করে,পাচার করে পরে টাকা জমা দেবার সময় নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করছে।তারা সরকারের সাথে দুর্নীতি করছে।তাদের অবৈধ ব্যবসা আইডেন্টিফাই করা অনেক কঠিন কাজ।আর এ কাজে ঝুঁকি অনেক।আমি তাই কেবল তোমাকেই এ কাজের জন্য যোগ্য বলে মনে করি।‘
‘ওকে চার(স্যার),আমি এদেরকে ধরে আইনের আওতায় আনবই।তবে এ কাজ আমি কেবল একা নই,এ কাজে আমি সব অফিচারকে একসাথে নিয়ে কাজ করব।আমি ওদের সব আস্তানায় একসাথে হানা দেব।ওদের পালানোর কোনো রাস্তা রাখব না।‘
‘তবে এতে ইনফর্মেশন লিক হবার ভয় আছে।ঠিক আছে,তুমি যা চাও।আমি সব অফিসারকে নিয়ে মিটিং ডেকেছি,চল...’

এরপর দুর্নীতি নিয়া জলিল মামা বিশাল এক লেকচার দেয় মিটিংয়ে।হঠাত দেখে এক অফিসার মাথা নীচু করে মোবাইলে কি যেন করছে।
‘হেই ইউ!লাউডইচপিকার অন করে কাকে আমাদের মিটিংয়ের কথা শুনাচ্ছেন,দেখি...এটা কার নাম্বার?01735334153?’
ওদিক থেকে চেয়ারম্যান সাহেব বলে ওঠেন-‘এ তো মব বস ABC(আব্দুল বাকের চৌধুরী) এর নাম্বার’
‘ওকে,আমরা একেই প্রথমে অ্যাটাক করব’
এরপর অফিসারদের পাঁচ ভাগে ভাগ করে ABC এর বাসা,আফিস,জি এম এর বাসা,কারখানা,হোটেলে পাঠিয়ে নিজে যায় ABC’র বাড়িতে।

দারোয়ান গেট খুলবেনা সাফ জানিয়ে দেবার পর আরিয়ান গাড়ী নিয়ে যেই না বুলেটের গতিতে দরজা ভাঙতে যাবে,অমনি গেট খুলে যাই।গেটে দাঁড়ানো মব বস ABC(আহমেদ শরিফ) দারোয়ানকে ঠাবড় দিয়া বলে-‘এরা হল কম পয়াসার বেতনের সস্তা অফিসার।বড়লোকের বাড়ী যখন তখন ঢুকে তাদের হেনস্থা করাই এদের কাজ।'। এরপর হেসে আরিয়ান আর অফিসারদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
সব অফিসার যখন অবৈধ জিনিস খুঁজছিল,তখন আরিয়ানকে ABC মদ সাধলে সে বলে-‘না,আপনি খান।এসব খেলে আমার আবার মাথায় মাল ঊঠে যায়।কোনোকিছু ঠিকঠাক কাজ করে না’

অফিসাররা সারা বাড়ী চইষাও কিছু খুঁইজা পায় না।ABC এর চ্যালা কাবিলা জোকস কইরা কয়-‘স্যার,এই বাড়ি ক বোতল মাল ছাড়া আর কিচ্ছু খুঁইজা পাইতেন না’
ABC এবার টেনশন ফ্রি হইয়া জলিলরে শাসাইয়া কয়-‘কি?পেলিনা তো কিচ্ছু।বের হ আমার বাড়ী থেকে’
জলিলের তো মাথা আউলা।বাইর হইয়া যাবে যাবে,এমন সময় এক সাদা কুকুর ঘেউ ঘেউ কইরা ডাইকা ওঠে দোতলা থেইকা।
জলিল কয়-‘চামথিং ইজ রং’
সে দোতলায় কুকুরের কাছে গিয়া দেয়ালে বড়ী দিয়া দেখে ফাঁপা দেয়াল।হাতুড়ি দিয়া দু বাড়ি দিয়া দেখে ভেতরে একগাদা টাকা।অফিসারদের টাকা বের করে এনে গুনতে বলে সে।গুণে দেখা যায় ১০ কোটি ৩৩ লাখ।জলিল এবার চোখ বাঁকিয়ে বাকী টাকার হিসাব দেবার জন্য ABC রে টিজ করে।
এমন সময় বেজে উঠল বাড়ির ফোন।কাউকে ধরতে মানা করে নিজেউঠে গিয়ে রিসিভ করে।এক মেয়ে।
‘হ্যালো,কে?’
‘তুমি কে?আমার বেডরুমে কি করছ?আমার বাবা কোথায়?’
কথা শুনে জলিল তো পুরা বক্কু হইয়া যায়।তাকায়া দেখে আসলেই এক মেয়ের বেডরুম।ছবি দেইখা তো পুরাই মাথা আউলা।বর্ষা।

ফেরত আসার পর ABC টিজ কইরা বলে-‘কিরে?ফোন পেয়ে প্যান্ট ভিজে গেছে?কে করেছে?কোন মন্ত্রী?’
‘মন্ত্রী না,করেছে তোর মেয়ে।আর প্যান্ট ভেজেনি।ভিজেছে আমার হৃদয়’

দৃশ্য-৮ : বর্ষা গাড়ী ছুটিয়ে বাড়ি আসে।এদিকে জলিলের এমন দশ কোটি টাকার কোপ খাইয়া ABC এর তো পুরাই মাথা খারাপ অবস্থা।তার ওপর মেয়ে।মেয়েরে মুখ দেখাইতে পারবে না বইলা অসুস্থ হবার ভান ধরে।বাপের ভং ধরা বুঝে না বর্ষা।সে বলে-‘কে আমার বাবার এ এবস্থা করেছে?’
কাবিলা ওরে দুদকে গিয়া আরিয়ানের খোঁজ নিতে কয়।বলে যে আরিয়ান আইসা তার সৎ বাবার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ পায়নাই বইলা তারে শাসায়া গেছে বইলাই এই অবস্থা।

দৃশ্য-৯ : আরিয়ানের অফিস।বর্ষা ঢুকে বলে-‘তোর কত বড় সাহস তুই আমার বাবার এ অবস্থা করেছিস?জানিস আমি কে?জানিস আমি চাইলেই তোকে এ অফিস ছাড়া করতে পারি?জানিস?’
জলিল হেসে বলে-‘চেষ্টা করে দেখ’
এরপর কথা নাই বার্তা নাই বর্ষা হঠাৎ কইরা তার জামা ছিঁড়তে ছিঁড়তে ‘বাঁচাও!বাঁচাও!’ বলে চিৎকার করতে থাকে।
অফিসের সব অফিসার,পুলিশ,সাংবাদিক ক্যামেরা নিয়া জড় হয়ে যায়।সবাই কাছে সাহায্য চাইলেও কেই বর্ষারে বেইল দেয় না।তাকায়া থাকে।বর্ষা কয়-‘কি?আপনারা আরিয়ানকে গ্রেফতার করছেন না কেন?’
এক বুড়া চাচা কয়-‘গ্রেফতাক করতে হলে তো স্যারকে না,আপনাকে করতে হয়।আমাদের সব রুমে সি সি ক্যামেরা আছে।এই একে অ্যারেস্ট করেন’
অনন্ত ভালো মানুষ হইয়া কয়-‘থাক,তোমাকে আজ অ্যারেস্ট করা হবে না।আমি সবাইকে ভালো হতে বলি।তোমাকেও তাই ভালো হবার জন্য জানাই মোস্ট ওয়েলকাম।খেক খেক খেক!’বইলা বর্ষার জামা ছেঁড়া বইলা নিজের কোট ওরে পরায়া দেয়।বর্ষা ওর কোট ছুঁড়ে ফেলে জলিলরে জায়গায় দাঁড়ায়া ডাম্প কইরা চইলা যায়।

দৃশ্য-১০ : মুশকিল আসান বাবার মাজার।জলিল গান ধরে।দুই দিনের দুনিয়ায় পয়সা নিয়া ভাব দেখানোর কিছু নাই,গরীবের হক আদায় করা উচিৎ-এমন টপিক নিয়া সামাজিক শিক্ষামূলক গান।
গানের ধরণঃ ডেথ মেটাল,হিপ-হপ,বাউল গানের ফিঊশন।সাথে হট হট রমণীর ড্যান্স ও আছে।

দৃশ্য-১১ : অফিসার জলিলের কাছে খবর আছে গুলশানের এক ওয়্যারহাউজে কি জানি এক অবৈধ মাল পাওয়া গেছে।ও একা বাইক নিয়া কাহিনী হ্যান্ডেল করতে যায়।যাবার পর দেখে মাইক্রো নিয়া পাঁচ গুন্ডা দাঁড়ায়া আছে।গুন্ডাদের নেতা পাঁচ ফিট চার।সে বলে-‘এই,আমি তো এর চেহারা দ্যাখতে পাই না।চেয়ার আন’
চেয়ারের ওপর দাঁড়িয়ে জলিলের চেহারা দেইখা কয়-‘আমি ছোট্টু মিয়া।আমি তো তোরে মাইরা শেষ কইরা দিব’
‘ওকে।চেষ্টা করে দেখ’
'কিন্তু তোরে তো মারব না,খালি ভাঙার অর্ডার আছে'
এরপর চার চারড়া গুন্ডা জলিলের উপরে ঝাঁপায়া পড়ে।ওদিকে ছোট্টু মিয়া মাইর ভিডিও করতে থাকে চেয়ারে বইসা।এদিকে জলিল সবগুলারে মাইরা চিকেন গ্রীল বানাইয়া ছাড়ে।পরে ক্যামেরা ছোট্টু মিয়ারে দিয়া কয়-‘নে,এই ভিডিও গিয়ে তোদের বর্ষা ম্যাডামকে দিস।আর তাকে ভালো হতে বলিস’

এদিকে বর্ষা ভিডিও পাইয়া তো আমোদে বাকবাকুম।ডিভিডি চালাইয়া বাপরে কয়-‘বাবা,দেখ আরিয়ান তোমার এ অবস্থা করেছে।আমি অর সব ভেঙে গুঁড়ো করে দিয়েছি’
পরে ভিডিও দেইখা তো পুরাই চো..চো...চো* অবস্থা বাপ-মাইয়ার।

দৃশ্য-১২ : মিশা সওদাগর।স্যুটেড-ব্যুটেড ভালো মানুষ।Marcedez এর এক প্রাইভেট বাসে সাত-আটটা হট স্যূটেড রমণী নিয়া বসা।হট রমণীরা ল্যাপটপ নিয়া বিশাল মনযোগ দিয়ে কাজ করতেছে।কাহিনী বুঝলাম না।মিশা পীর হইয়া গেল নাকি?
তাকায়া দেখি এক রিপোর্টার লাইভ সাক্ষাৎকার নিতেছে মিশার।অতি সফল ব্যবসায়ী সাকিব চৌধুরী।সে সাক্ষাৎকারে বলে-'এই দেখুন।আমি যেখানে,কাজ সেখানে।এজন্যই তো আমার আজকের এ অবস্থা।'এরপর লাইভ সাক্ষাৎকার নিয়া রিপোর্টার চইলা যাবার পর শুরু হইয়া গেল কেরামতি।পুরা বাস রে নোঙ্গরখানা বানাইয়া হট মেয়েগুলারে শর্ট ড্রেস পরাইয়া সে কি পার্টি!

এদিকে লাইভ সাক্ষাৎকার দেইখা জলিল বুইঝা গেছে যে এই ব্যাটা ভন্ড।সে ‘কৃশ মাস্ক’ পইরা ‘মুশকিল আসান বাবার লোক’ হইয়া হামলা চালায় মিশার মার্সিডিজে।মাইরা লাল বানাইয়া পরে মিশারে ভালো হবার জন্য মোস্ট ওয়েলকাম জানাইয়া ভাইগা যায়।

দৃশ্য-১৩ : এদিকে বর্ষা কোনোকিছু দিয়াই জলিলরে কাবু করতে না পাইরা চিন্তা করল প্রেম-প্রেম খেলবে।সে জলিলের অফিসে যায় আবার।এবার অফিসের লোকগুলার পুরাই লোল অবস্থা।
কয়-‘ভাই,ম্যাম তো আজ আবার আসছে।ক্যামেরা নিয়া রেডী থাকেন।আজ আবার কি না কি দেখায়!’
আরেকজন কয়-‘আরে মিয়া ক্যামেরা নিয়া কি করবেন?চলেন live দেইখা আসি’

বইলা জলিলের ট্রান্সপারেন্ট দেয়ালে চোখ দিতেই দেখে বর্ষা জলিলের টাই টাইনা ধইরা জলিলের ইচ্ছারে বেইল না দিয়া সমানে kiss কইরা যাইতেছে।নাউজুবিল্লাহ মিন জালেক!

দৃশ্য-১৪ : অনন্তের কাছে মাফ চাইতে বর্ষা ম্যালা ভং ধরে।গাড়ী নিয়া অনন্তের বাইক তাড়া কইরা ওরে কয়-‘আমাকে মাফ করে দাও আরিয়ান।আই লাভ ইউ।প্লীজ!প্লীজ!প্লীজ!চলনা আমার সাথে,কফি খেয়ে আসি’
আরিয়ান(জলিল/অনন্ত) বেইল দেয় না।মুখ বুইজা বাইক চালাইতে থাকে।
বর্ষা ক্ষেইপা গিয়া অনন্তরে সিগনালে গিয়া আটকায়।অনন্ত সবুজ বাতি জ্বলতেই ভুমমম কইরা টান দেয়।বর্ষা যায় আরো চেইতা গাড়ী থুইয়া দৌড়ায়া অনন্তরে ধরতে যায়।বাইকের speed বাড়াইয়া accelerate করার পরও উসাইন বোল্টের শিষ্য-বর্ষা দৌড়াইয়া চ্যাং দিয়া বাইকে চইড়া বইসা নগদে একের পর এক চুম্মা দিয়া অনন্তের মুখ লিপস্টিক দিয়া ভরায়া ফেলে।
অনন্ত অসহায়,কিছু করার নাই।কয়-‘চল যাই,কফি খেয়ে আসি’
এরপর কফি খাওয়াইতে গিয়া আরেক জোকস।বর্ষা অনন্তরে ওর প্রাইভেট প্লেনে চড়ায়া থাইল্যান্ডের Beach-side অ্যাপার্টমেন্টে নিয়া কফি ঢাইলা দেয়।বলে-‘আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি আরিয়ান!’

এরপর গান।‘প্রেম দে না রে...’
Hollywood এ দুই চ্যাংড়া ড্যান্সার,বর্ষা,অনন্ত...মাস্টারপীস!
গানের লিংকঃhttp://www.youtube.com/watch?v=WZSFhltajxA

দৃশ্য-১৫ : এদিকে পুলিশ কমিশনার সোহেল রানা বিশাল চ্যাতা মানুষ।সে আইজি,ইন্সপেক্টরদের মিটিংয়ে ডাইকা কয়-‘এই মুশকিল আসান বাবার জন্য আজ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ পর্যায়ে।যে যা চায়,তাই পূরণ হয় এ বাবার দরবারে।লাখ লাখ মানুষ ডেইলি বাবার দরবারে যায়।বাবার দরবারে যাবার রাস্তায় বিশাল জ্যাম।পুলিশের কাজে কারো আস্থা নাই’
এ অবস্থায় সে ডাকে তার বিশ্বস্ত ইন্সপেক্টর বাপ্পারাজ রে।বাপ্পারে বলে যে করেই হোক,এ মুশকিল আসান বাবার লোকরে ধইরা আইনের আওতায় আনতে হবে।বাপ্পা জাঁদরেল লোক।সে এইটারে চ্যালেঙজ হিসেবে নেয়।।

মুশকিল আসান বাবার দরবারে গিয়া খাদেম রাজ্জাকরে জিজ্ঞেস করলে সে কিছু বলে না।এদিকে বাপ্পা হাজার ট্রাই কইরাও ‘বাবার লোক’ রে ধরতে পারে না।সে শেষ চেষ্টা হিসেবে বাবার দরবারে চারটা CC ক্যামেরা লাগাইয়া মনিটর করতে থাকে।

দৃশ্য-১৬ : বাপ্পা হঠাৎ এক ফোন পাইয়া বাড়ী ছুইটা যায়।হঠাৎ নাউজুবিল্লাহ টাইপ বাথটাব scene…বাপ্পার নায়িকা রাধিকা বাথটাব থেইকা শর্ট ড্রেসে উইঠা বাপ্পারে নিয়া সোজা থাইল্যান্ড দৌড়।লুতুপুতু গান।তবে মেয়ের চেহারা মাশাআল্লাহ!


দৃশ্য-১৭ : এদিকে মিশা বাংলাদেশে চইলা আসে।সে ABC’র আপন ভাতিজা।তার টাকার ৮০% এর মালিক ABC।সে আইসা চাচার বাজে অবস্থা শুইনা ক্ষেইপা ফায়ার।এদিকে দেশে আইসা ওর প্ল্যান হইল বস্তি ভাইঙা ফাইভ স্টার হোটেল বানাইয়া তার নীচে অবৈধ ইয়াবার কারখানা দিবে।৫০ মিলিয়ন ডলারের কারখানা।ইনভেস্ট করবে মিশার বিজনেস পার্টনার ইন্টারন্যাশনাল গ্যাংস্টার এক জাপানীজ।ABC টাকার গন্ধ পাইয়া নাইচা উঠে।কিন্তু তার চিন্তা আরিয়ানরে নিয়া।এই ব্যাটাই সব গ্যাঞ্জামের মূল।


দৃশ্য-১৮ : হঠাৎ মিশার কানে খবর আসে ওর বিজনেস পার্টনার জাপানীজ চ্যাংড়ামি কইরা ওর সব টাকা মাইরা দিছে।এখন কি করা?ওই জাপানীজ আবার ইন্টারন্যাশনাল জিনিস।তার বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারবে না।তাই এখন অন্য রাস্তা ধরতে হবে।মিশা কয়-
‘এরে শায়েস্তা করার একটাই উপায়।একজনই এবল পারে ওই জাপানীজের সব ব্যাংক একাউন্টের হিসাব রাখা Personal hard drive কাইড়া আনতে।সে হইল গিয়া মুশকিল আসান বাবার ওই লোক।কিন্তু কে এই লোক?তার ওপর আরেক সমস্যা তো আছেই।দুদক অফিসার আরিয়ান’
ABC জিগায়-‘কিন্তু ওকে দিয়ে কাজ করাবে কিভাবে?’
‘ওর মুখোশ খুলে দিলেই ও আমাদের হয়ে কাজ করবে।ফাঁদ পাততে হবে’


দৃশ্য-১৯ : গ্রেনেড লাঞ্চার,বাজুকা,M16,AK-47 নিয়া মিশা আর তার চ্যালাব্যালা যায় বস্তির জমি দখল করতে।এদিকে বস্তির গরীব মানুষের একমাত্র বন্ধু সেই ‘মুশকিল আসান বাবার লোক’
তাদের দৃঢ় বিশ্বাস,সে আসবে তাদের বাঁচাতে।মিশা কয়-‘আসবে না’
এরপর বস্তির বুড়া,কম বয়সী মেয়েদের মাইরা ফূর্তি করতে থাকে।হঠাৎ আল্লার বান্দা হাজির!আকাশ থেইকা উইড়া লং জাম্প মাইরা সব ধসায়া দিয়ে থাকে মাস্কড জলিল।কিন্তু এক প্রেগন্যান্ট মহিলারে ধইরা বাচ্চা মাইরা ফেলার হুমকি দিতেই জলিলের মাথায় রক্ত উইঠা যায়।তারে বাঁচাইতে গিয়া caught খায় চ্যালাদের কাছে।


দৃশ্য-২০ : অফিসার আরিয়ানই যে ‘কৃষ মাস্কড মুশকিল আসান বাবার লোক’-একথা জাইনা ABC আর মিশা সে কি খুশি!এখন আরিয়ানের কাছ থেইকা স্বীকারোক্তি নিয়া ভিড্যু করতে চাইলে জলিল কয় যে ও স্বীকার করবে না।এইবার শুরু হইল টর্চার।কারেন্ট শক,ওয়াটার থেরাপিতেও মুখ খুলে না।এরপর বর্ষা লাইমলাইটে।ওর ইজ্জত নিয়া ছিনিমিনি খেলতেছে দেইখা ওরে বাঁচাইতে পরে জলিল ভিড্যুতে স্বীকার করে যে ও ই সেই মুশকিল আসান বাবার লোক।পরে বর্ষা হাসতে হাসতে বের হইয়া কয় এ সবই ছিল অভিনয়।ও জলিলের সাথে জোকস করছে।এরপর জলিল ওরে বেশ অনেকগুলা নীতিবাক্য শুনায়।

মিশা জললরে এইবার ডাইকা কয় যে ওরে থাইল্যান্ড গিয়া মব বস জাপানীজের কাছ থেইকা তার সব ব্যাংকএকাউন্টের গোপণ তথ্য ভরা HDD জোগাড় কইরা আইনা দিতে হবে।নাইলে সে নেটে ভিড্যু ছাইড়া দিবে...সে রাজী হয়।

দৃশ্য-২১ : অনন্ত প্লেনে উইঠা থাইল্যান্ড যাচ্ছে।হঠাৎ কোত্থেইকা বর্ষা আইসা হাজির।সে অনন্তের পাশে বইসা আবার লুতুপুতু ভালোবাসার কথা কইতে থাকে।অনন্ত বাথরুমে যায়,বর্ষাও দৌড়ায়া যায়।প্লেনভর্তি সবাই বাথরুমের দিক তাকাইয়া চোখ পিট পিট কইরা রসের কথা বলতে থাকে।
মেলাক্ষণ পর অনন্ত বাইর হইয়া আসে।পেছন পেছন বর্ষা।সিটে বইসা বর্ষা অনন্তরে কয়-‘এতক্ষণ আমরা জেগে ছিলাম,সবাই ঘুমিয়েছে।এখন আমরা ঘুমাব,ওরা জেগে থাকবে।হি হি হি!’

দৃশ্য-২২ : হোটেলে গিয়া জাপানীজের চ্যালারে মাইরা ভূত বানাইয়া ধ্বসাইয়া দিয়া আইসা তার কাছ থেইকা জাপানীজের ঠিকানা নেয় জলিল।এই জায়গার মারামারির scene ধুন্ধুমার প্রকৃতির,না দেখলে মিস!

জাপানিজরে ধরার জন্য এখন টেকি কাউরে দরকার।সে লোক খুঁইজা পায় না।বর্ষা ওরে এক টেকি মাইয়ার খবর দেয়।জলিল দেখা করতে গিয়া পুরাই চোদনা হইয়া যায়।এ যে উ-লা-লা স্নেহা উলাল।জলিলের আগের গার্লফ্রেন্ড।জলিল ওরে সব খুইলা বলে।উলালা উলাল বলে যে জলিলের জন্য ও সব করতে রাজি।

দৃশ্য-২৩ : নাইটক্লাব।
স্নেহা উলাল তার বলিউডি,আমেরিকান হট হট ড্যান্সার নিয়া ঐ চাইনিজ মবস্টারের ক্লাবে পুরাই উ-লা-লা ড্যান্স করতেছে।ড্যান্সের ধরন উলালা হইলেও গানের লিরিক্স শুইনা মাথা ক্র্যাক করবে শিওর।স্নেহা উলাল-জলিল যখন পোল ড্যান্স দিতেছে,তখন বর্ষা ওই চাইনিজের সাথে রঙ-ঢং করতেছে।গান শেষ,অমনি চাইনিজের HDD চুরি কইরা জলিল-বর্ষা নাইটক্লাবের ছাদ থেইকা লাফ দিয়া পালায়।ছাদ থেইকা লাফ দেবার দৃশ্যটা অস্থির।আমার দম আটকাইয়া গেছিল।
স্পোর্টস কার নিয়া পালাবার সময় পেছনে চার-পাঁচটা বাইক আর ফোর্ড নিয়া চাইনিজ পিছু নেয় জলিল-বর্ষার।হাজারখানেক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লেও একটাও জলিলের গাড়ীতে/গায়ে কিছুতেই লাগে না।এদিকে জলিল উল্টাদিকে না তাকাইয়া গুল্লি কইরা সব শুয়াইয়া দিতে থাকে।পরে ম্যালা ঢিশুম-ঢিশুম করার পর জাপানীজরে মাইরা দেশে ফির্যা আসে জলিল।
গানঃhttp://www.youtube.com/watch?v=cwGxuhGaUM0

দৃশ্য-২৪ : এইদিকে মিশা জানতে পারে যে অনন্ত ওরে Double cross করতেছে।সে HDD নিয়া পুলিশ কমিশনারের কাছে গেছে।সে বর্ষারে আটকাইয়া জলিলরে কয় HDD দিয়া যাইতে।এইবার জলিল মিশার ওয়্যারহাউজে যাইতে গিয়া একগাদা গ্রেনেড বাজুকা সামলাইয়া মিশার সব চ্যালারে কবরে পাঠাইতে থাকে।মিশা উপায় না দেইখা বর্ষারে নিয়া হেলিকপ্টারে উইঠা পালাইয়া যাইতে চায়।জলিল স্পোর্টস বাইক নিয়া পিছু নেয়।টনখানেক ধোঁয়া উড়াইয়া বাইক নিয়া লাফ দিয়া হেলিকপ্টারে উঠে।উইঠা মাইরা মিশারে ভচকাইয়া সাগরে বর্ষারে নিয়া ঝাঁপ দেয়।

পাড়ে ওঠার পর দেখা যায় বাপ্পা পুলিশ নিয়া হাজির।জলিল নিজে ধরা দিতে চায়।কিন্তু বাপ্পা জলিলের মনুষ্যত্ব দেখে অর উপরে পুরাই ক্রাশড।সে ওরে ধরবে না।কিন্তু জলিল আইনের ওপর সম্মান জানাইয়া ওরে ধইরা নিয়া যাইতে কয়।বাপ্পার আর কিছু করার থাকে না।

ট্রেডিশনাল নিয়মে হাইকোর্টের রায়ে জলিল বেকসুর সাড়া পাইয়া যায়।মুভি শ্যাষ।


ছবির খারাপ কোন দিক বলব না।ভালো দিকগুলো হল-
 অ্যাকশন দৃশ্যগুলো অনেক ভালো হয়েছে
 হৃদয় ভাঙা ঢেউ/স্পীড দেখে যে গালিগালাজ করার করেছেন,এটার মান আগের তিনটা থেকে অনেক ভালো
 ছবিতে ক্যামেরার কাজ বেশ কিছু জায়গায় অনেক ভালো হয়েছে
 ভিলেনদের অভিনয় ছিল দেখার মত।সবাই ভালো অভিনয় করেছে।মিশার অভিনয় দুর্দান্ত
 ছবিতে এনিমেশনের ব্যবহার ভালো হয়েছে
 সাইটগুলো বস ছিল
 সাউন্ড ইফেক্ট মোটামুটি,তবে ভালো



সবাই হলে গিয়ে ছবিটি দেখবেন।এই এম.এ.জলিল লোকটারে আমি এক কারণে বেশ পছন্দ করি।সে ট্রেডিশনাল ধারা থেকে বের হয়ে কিছু করার চেষ্টা করে।যদিও সে নিজেকে নায়ক,বৌকে নায়িকা বানানোর জন্য জান প্রান দিয়া খাইটা যাচ্ছে,এটা আসলে খারাপ কিছু না।সে টাকা ঢালতেছে,ভালো করার চেষ্টা করতেছে।হয়ত তার কথা বলার স্টাইল জীবনে চেঞ্জ হবেনা,তাতে কি যায় আসে?এত হাই লেভেলের হিউমার আর কই পাব ভাই,কন?






২২ আগস্ট,২০১২


২৭টি মন্তব্য ১১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×