somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রিসেন্টলি দেখা আমার প্রিয় কিছু জাপানিজ ড্রামা

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাত্রই Nobuta wo Produce নামে অসাধারণ একটি জেড্রামা দেখা শেষ করলাম। নিজের এই ভাল লাগা সবার সাথে শেয়ার করতে ইচ্ছা করছে; তাই রিসেন্টলি দেখা আমার প্রিয় কিছু জেড্রামা নিয়ে এই পোস্ট :)



Long Vacation
এক উচ্চাকাঙ্ক্ষী পিয়ানিস্ট ও এক বেকার মডেলকে ঘিরে কাহিনী। মিনামি একজন ৩১ বছর বয়স্ক মডেল, যে আর আগের মত মডেলিং-এর কাজ পায় না। একারনে মিনামি সবকিছু ছেড়ে দিয়ে তার বয়ফ্রেন্ডকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং এজন্য তার যাবতীয় জমানো টাকাপয়সা সব তার বয়ফ্রেন্ডের হাতে তুলে। কাহিনীর শুরু হয় যখন মিনামির বয়ফ্রেন্ড বিশ্বাসঘাতকতা করে বিয়ের দিন টাকাপয়সা নিয়ে পালিয়ে যায়। বয়ফ্রেন্ডের খোঁজে তার বাসায় গিয়ে মিনামির সাথে দেখা হয় তার রুমমেট ২৪ বছর বয়স্ক পিয়ানিস্ট সেনার। এরপর ঘটতে শুরু করে নানারকম মজাদার ঘটনা। অসাধারণ এই কাহিনী একবার মনোযোগ দিয়ে দেখতে বসলে আপনার পক্ষে ওঠাই কষ্টকর হবে। অনন্য ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকসমৃদ্ধ জেড্রামাটির আছে একটি অসাধারণ থিম সঙ “La La La Love Song”।



Engine
এক জাপানিজ রেসিং কার ড্রাইভারকে নিয়ে কাহিনী; যে কিনা ইউরোপে কার রেসিং-এ পারফর্ম করার সুযোগ পেলেও বিভিন্ন কারনে জাপানে ফিরতে বাধ্য হয়। কিন্তু জাপানে ফিরেও মাঝখান দিয়ে অনেক সময় পার হয়ে যাওয়ায় সে কার রেসিং জগতে আগের মত সমাদর পায় না। থাকার জায়গা না থাকায় বাধ্য হয়ে সে ফিরে যায় তার পালক বাবার অনাথ আশ্রমে, যেখানে সে বড় হয়েছে। অনাথ আশ্রমে আসার পর তার জীবনে ঘটতে থাকে নানা পরিবর্তন; সে আশ্রমকে সাহায্য করার জন্য আশ্রমের বাস ড্রাইভারের কাজ নেয়, জীবিকার জন্য রেসিং কার ড্রাইভারি ছেড়ে কাজ নেয় রেসিং কারের মেকানিকের, জীবনেও আবার আসে প্রেম। ঘটতে থাকে নানান ঘটনা।
এক রেসিং কারের ড্রাইভার ও অনাথ আশ্রমকে নিয়ে এ কাহিনী অনেক ক্ষেত্রে আপনাকে ভাবতেও বাধ্য করবে।



Bara No Nai Hanaya (The Flower Shop without Rose)
এক ফ্লোরিস্টকে নিয়ে কাহিনী, নিজের বাচ্চা মেয়ে আর ছোট্ট এক ফুলের দোকান নিয়ে যার জীবন। কাহিনীর শুরু হয় যখন একদিন একটি অন্ধ মেয়েকে দোকানের বাইরে দাড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজতে দেখে সে দোকানের ভিতরে আশ্রয় নিতে বলে। মেয়েটি শুরুতে রাজি না হলেও পরে ফ্লোরিস্টের দয়ালু মনোভাব বুঝতে পেরে ভেতরে আসতে রাজি হয়। ফ্লোরিস্টের দয়ালু মনোভাবের কারনেই শীঘ্রই তাদের মধ্যে একধরণের বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। এরপরই ধীরেধীরে বের হয়ে আসতে থাকে মেয়েটির সত্যিকারের উদ্দেশ্য, ফ্লোরিস্টের মেয়ে ও মেয়ের মা সংক্রান্ত বিভিন্ন টুইস্টগুলো। প্রচুর টুইস্টওয়ালা অসাধারন এই কাহিনী আপনি যদি একটু মনোযোগ দিয়ে দেখতে শুরু করেন, তাহলে জাপানিজ ড্রামা দেখার অভ্যাস না থাকলেও দেখতে কষ্ট হবে না; আর একবার দেখে শেষ করার পর এই ড্রামা যে আপনাকে হতাশ করবে না সে নিশ্চয়তাও দেওয়া যায়। আর একটি কথা না বললেই নয় এই জেড্রামাটির এন্ডিং সঙ কিন্তু অসাধারণ।



Nobuta wo Produce
মজাদার একটি হাইস্কুল ড্রামা। তিনজন প্রধান ক্যারেকটার এবং তদের হাইস্কুল লাইফকে ঘিরেই কাহিনী। তিনজনের একজন সুজি হচ্ছে স্কুলের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছেলে, আরেকজন একিরা হচ্ছে অন্যদের থেকে আলাদা কিন্তু অত্যন্ত ধনী পরিবারের সন্তান, আর নোবিকো হচ্ছে চুল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখা অন্তর্মুখী একজন মেয়ে যে মাঝেমাঝেই তার ক্লাসমেটদের দ্বারা উৎপীড়নের স্বীকার হয়। ঘটনা ঘটতে শুরু করে যখন সুজি ও একিরা সুজির জনপ্রিয়তা ও একিরার টাকাপয়সা কাজে লাগিয়ে নোবিকোকে জনপ্রিয় করার সিদ্ধান্ত নেয়। মজার অনেক ঘটনা অনেক সময় হাসতে হাসতে আপনার পেটে খিলও ধরিয়ে দিতে পারে। অসাধারণ কাহিনী আর অনন্য অভিনয় এই জেড্রামাটিকে নিয়ে গেছে অন্য উচ্চতায়।



Kekkon Dekinai Otoko (He Who Can't Marry)
একজন সফল ৪০ বছর বয়সী আর্কিটেক্টকে নিয়ে কাহিনী, যে সহজে কারও সাথে মিশতে চায় না। জীবিকার কাজের বাইরে তার দৈনন্দিন কাজ হচ্ছে স্টেক খাওয়া আর উচ্চস্বরে ক্লাসিক্যাল মিউজিক বাজিয়ে প্রতিবেশীদের বিরক্ত করা। কাহিনী শুরু হয় যখন একদিন এইকাজ করার সময় তার এক মহিলা প্রতিবেশী তার কাছে কমপ্লেন করতে আসে। সবসময় উল্টাপাল্টা খাওয়ার কারনে ঠিক ঐ মুহুরতেই সে পেটব্যথায় আক্রান্ত হয় এবং ঐ প্রতিবেশীর মাধ্যমে হসপিটালে যায়। হসপিটালে তার সাথে পরিচয় হয় সমবয়সী এক মহিলা ডাক্তারের সাথে যে এখনও পছন্দসই কাউকে না পাওয়াতে বিয়ে করতে পারেনি। আর্কিটেক্ট, তার প্রতিবেশী এবং ঐ মহিলা ডাক্তারকে ঘিরেই মজাদার এই কাহিনী Kekkon Dekinai Otoko। প্রধান অভিনেতা/অভিনেত্রীদের মধ্যে জনপ্রিয় হিরোওসি ছাড়াও আছেন জাপানের সবচেয়ে এলিগ্যাণ্ট অভিনেত্রীদের একজন নাতসুকাউয়া ইউয়ি B-)


এছাড়াও আমার প্রিয় আরও কিছু জেড্রামা:
*1 Litre of Tears
*Konna Koi no Hanashi
*Namida wo Fuite
*Beautiful Life
*Pride
*Crying out Love, in the Centre of the World
*Proposal Daisakusen
*Over Time
*Hero
*Double Kitchen
*A Million Stars Falling From The Sky
*Osen

এই পোস্টটি আপনাদের ভাল কিছু জেড্রামা খুজে বের করতে সাহায্য করলে, সামনে কোরিয়ান ড্রামা আর জাপানিজ ও কোরিয়ান মুভি নিয়ে আরেকটি পোস্ট করার ইচ্ছা আছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৫ বিকাল ৩:১৫
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×