কেউ বই লিখেছেন তাতে আপনার
ধর্মানুভূতি আহত হচ্ছে। আপনি সেই বই
না পড়ুন। নিজের ধর্মচর্চা নিয়ে
নিজেই থাকুন। বইটি না পড়লে তো
আপনার ধর্মের অনুভূতিতে আঘাত লাগছে
না। তাহলেই হয়ে যায়। আপনি মানুষকে
কোপাতে যাবেন কেন?
আর হ্যাঁ যদি বলেন আমি বইটি পড়ব।
তাহলে পড়ে আপনি বইটির বিরুদ্ধে
আপনার ধর্মীয় যুক্তি দিয়ে লেখালেখি
করুন। কলমের জবাব আপনি কলম দিয়েই
দিন। মানুষ খুন করে কেন? নাকি আপনার
ধর্ম এত নড়বড়ে যে কারো কলমের উত্তর
দেওয়ার মতো যুক্তি আপনার ধর্মগ্রন্থে
নেই? আল্লাহ এবং নবীর আদর্শ কি এতই
দূর্বল যে কেউ লিখলেই তা ভেঙে পড়ে?
নাকি কলমের উত্তর দেওয়ার মতো আদর্শ
আপনার নবী রেখে যান নি?
আপনাদের
এমন মানসিকতা দেখে আল্লাহ নবীর
জন্যই আমার কষ্ট হয়। কি উম্মত উনারা
তৈরি করে গেলেন! যাদের মাথায় এবং
চিন্তা ভাবনায় শুধু জবাই করা আর
মানুষ খুন করা।
আর যদি বলেন মানুষ কেন আমার ধর্ম
নিয়ে লিখবে? আমার অনুভূতিকে কেন
তারা সম্মান করবে না?-
"তাহলে আমি বলব মানুষ চিন্তা করতে
শিখেছে। মানুষ লিখবে। যেটা আপনার
কাছে অনুভূতি সেটা অন্যজনের কাছে
একটা হাস্যকর ব্যাপার যেমন-
হিন্দুদের মূর্তিপূজা কিংবা গৌতম
বুদ্ধকে নিয়ে আপনি হাসাহাসি করেন।
আপনি কোপাকুপি করে যেতে পারবেন
বড়জোর। আর এটা করে নিজের ধর্মটাকে
পৃথিবীর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বর্জ্যে
পরিণত করেছেন আপনারা।
ফ্রান্সের
"শার্লি এবদো" পত্রিকার আগে বিক্রি
ছিল ষাট হাজার। আপনারা খুন করার
পর সেই সংখ্যা হলো ছয় লাখ। এত গরু
খান। তার মধ্যে এক গরুর মগজও যদি
মাথায় থেকে থাকে তাহলে চিন্তা করে
দেখুন।