মুক্তিযুদ্ধের সময়কার একটি
ঘটনা;-
একটি আর্মিক্যাম্পে একটি মেয়েকে
আটকে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষন
করত পাকিস্তানি সৈন্যরা।
যুদ্ধের পর ঐ মেয়েকে ক্যাম্প
থেকে অর্ধমৃত উদ্ধার করা হয়।
সৌভাগ্যক্রমে মেয়েটির পরিবারকে
পাওয়া যায় এবং মেয়েটিকে তাদের
হাতে তুলে দেওয়া হয়। মেয়ের
পরিবার বাড়ি নিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে
চিকিৎসা করানোর জন্য ডাক্তার
আনেন। ডাক্তার এসে রুমে ঢুকে
দেখেন রুম অন্ধকার। জানালা সব
বন্ধ। তিনি ইশারায় জানালার দিকে
আঙুলি করে একজনকে বললেন খুলো।
মেয়েটি বিছানায় শোয়া ছিল। সবাই
অবাক হয়ে দেখল অর্ধমৃত
অজ্ঞানপ্রায় ধর্ষিতা সেই মেয়েটি
"খুলো" শব্দটি শুনেই তাঁর
পাজামার ফিতা খোলার চেষ্টা
করছে।
কি পরিমাণ নির্মম অমানবিক
অত্যাচার তার উপর হয়েছিল ভেবে
দেখেন। প্রতিদিন তাকে নিজের
ইচ্ছের বিরুদ্ধে এতবার ধর্ষন
করা হয়েছিল এবং এতবাত কাপড় খুলতে
বলা হতো যে যে "খুলো" শুনেই সে
ধরে নিয়েছিল আবার তাকে পাজামা
খুলতে বলা হচ্ছে।
এই ঘটনা স্বাধীন বাংলাদেশের নয়।
এটা করেছে পাকিস্তানিরা।
গারো মেয়েটিকে দেড় ঘন্টা ধর্ষন
করা হয়েছিল। পাক্কা দেড় ঘন্টা!
ঐ দেড় ঘন্টা সময় তার উপর
যে কি গেছে। কল্পনা করতেও পেট
গুলিয়ে বমি আসে।
আমরা শুধু তিন অক্ষরে লিখে দিই
ধর্ষন হয়েছে। লিখে ফেসবুক
ভাসিয়ে দিচ্ছি, লাইক, কমেন্টের
বন্যা বয়ে যাচ্ছে। পিছনে যে কত
বর্বর একটা ঘটনা আছে।
এটা স্বাধীন বাংলাদেশ,
পাকিস্তান নয়। বাচ্চা থেকে বুড়ি
কেউ ধর্ষনের হাত থেকে রক্ষা
পাচ্ছে না। গরুকেও ধর্ষন করা
হচ্ছে লোকমুখে শোনা সোনার
(শোনার) বাংলায়। বিশ্বের সবচেয়ে
ব্যর্থ রাষ্ট্রটি ধর্ষন, মৌলবাদ,
সাম্প্রদায়িকতা, অন্যায়,
অত্যাচার সবদিক দিয়েই পৃথিবীর
অন্যসব রাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে
যাচ্ছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে
রাখতে পারলে আগামী দুই একবছরের
মধ্যে সত্যিই পৃথিবীর সভ্য কোন
একটা দেশের মানুষের সত্যিই
আলাদা করতে কষ্ট হবে। কোনটা
দেশটি বেশি খারাপ?-
বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তান?