মুহাম্মদের বাবা আব্দুল্লাহ কোন
ধর্মের মানুষ ছিলো? তার মা আমিনা?
তারা তো কেউ মুসলিম ছিলো না!
মুহাম্মদ যেখানে জন্ম নিয়েছিলো
সেটা তো মূর্তিপূজকদের বংশ ছিলো।
এটা তো কেউ অস্বীকার করতে পারবেন
না, তাই না?
আব্দুল্লাহ, আমিনা তাদের ছেলের নাম
রেখেছিলো মুহাম্মদ। আপনার কি
ধারনা মুহাম্মদ ইসলামিক নাম দেখেই
তারা মুহাম্মদ নাম রেখেছিলো তাদের
ছেলের? নাকি আব্দুল্লাহ, আমিনা
এগুলাও মুসলিম নাম!!!!
কমন সেন্স লাগান। কূপের মধ্যে বসে
থেকে শুধু বলবেন আব্দুল গাফফারের
কল্লা চাই, তিনি কি বলতে চেয়েছেন
সেটা মাথায় ঢুকান নি। মুহাম্মদ,
আব্দুল্লাহ, আমিনা এসব ই মূর্তিপূজকদের
নাম। "আল্লাহ" নামটাও তাদের এক
দেবতার নাম ছিলো। ক্বাবা ঘরে যে
৩৬০ টা মুর্তি ছিলো তার মধ্যে আল্লাহ
নামেও এক দেবতা ছিলো। তার যে
বাকি নামগুলো দেয়া হয়েছে তাও এরকম
ই কাফির, পৌত্তলিকদের ই। এই সত্যটা
আপনারা উপেক্ষা করতে পারবেন
চাপাতির জোরে? একজন জ্ঞানি লোককে
আপনারা গালাগালি করছেন অথচ
জানেন ই না সত্যটা কি!!!
অথচ এই সত্য কথাগুলো বলার জন্য আব্দুল
গাফফার চৌধুরিকে কত গালাগালি,
হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। তার লেখা গান
"আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে
ফেব্রুআরি " ছারা আমরা আমাদের
মাতৃভাষা দিবসটা চিন্তাও করতে
পারি না, বাঙলা ভাষাটার প্রতি
ভালোবাসা বাড়াতে যেই গানের
ভূমিকা ব্যাপক। সেই লোকটাকে আপনি
গালিগালাজ করছেন কারনটা আপনার
মূর্খতা, আপনার ধর্ম আপনাকে অন্ধ করে
দিয়েছে তাই। সত্যকথাগুলো আপনার
ধর্মবিরোধী বলেই কেউ সত্য বলবে না?
আব্দুল গাফফার চৌধুরি সাহস করে
বলেছেন, লতিফ সিদ্দিকী সাহস করে
বলেছেন, লেখক, ব্লগার, বিজ্ঞানমনস্ক,
মুক্তমনারাও বলছেন ; সত্য বলার লোক
দিন দিন বাড়তেই থাকবে, এ জন্য কারো
অনুভুতির দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে
না। কারন আপনার ধর্মের সাথে সত্যের
দূরত্ব আকাশ-পাতাল, তাই সকাল বিকাল
অনুভুতিতে আঘাত লাগবেই। এ নিয়ে
বাড়াবাড়ি করলে দেশ পাকিস্তান,
আফগানিস্তান, ইরাক, ইয়েমেন, মিশর,
লিবিয়া, তিউনিসিয়া, মরক্কো এসব
দেশের মত ধ্বংস ই হবে। আমরা নিশ্চয়
চাইবো না আপনার ধর্মটা অন্য
দেশগুলোর মত আমাদের সোনার
বাঙলাটাকেও ধ্বংস করে দেক!!!
অনেক হইছে, একটু ক্ষান্ত দেন। আপনার
খোদা আপনার মাথায় কমবেশি কিছু ঘিলু
নিশ্চয় দিয়ে পাঠাইছে! ঐটা কাজে
লাগান।।