পরিবারের যিনি ও যারা বড় তাদেরকে ছোটদের স্নেহগুণ এমনভাবে প্রকাশ করতে হবে যেন অন্যরাও এটা শিখে তাদের ছোটদের সাথে তদনুযায়ী ব্যবহার করে। পিতা তার বড় ছেলেকে এ ব্যাপারে সাহায্য করবেন – দেখাবেন ছোট ভাইয়ের প্রতি কিভাবে সে তার মমত্ববোধ প্রকাশ করবে। বড় যদি ছোটকে স্নেহ করতে না শেখে, ছোট কিভাবে তার বড়কে মানতে শিখবে?!
আমরা যেটা করে থাকি – ছোট ছেলেকে দু’টো চকলেট দিয়ে বলি, “একটা তোমার ভাইয়াকে (বা আপুকে) দাও!” বেচারা তখন চিন্তা করে, “আমি ওকে কেন দিব?! ও তো আমাকে কিছু দেয়নি!” কথাতো ঠিকই!
আসলে আমরা ছোটদেরকে আচার-আচরণ না শিখিয়ে তাদের থেকে অনেক কিছু আশা করে ফেলি! সঠিক-বেঠিক না শিখিয়ে প্রথমেই ছোটদেরকে হুকুম করে কাজ আদায় করতে চাই। এটা যে ভুল এবং কার্যকর পদ্ধতি নয় একটুও সেটা ভাবি না। মানুষকে সংশোধনের জন্য চিন্তা করে কাজ করতে হয়। শুধু আচমকা কিছু শাসন ও আদর আদৌ সংশোধনের জন্য যথেষ্ট নয়, বরং অকস্মাৎ যে ‘এ্যাকশন’ আমরা নিয়ে থাকি তার নেতিবাচক ফল বেশি হয়ে থাকে।
ছোটদের শিক্ষাদান, আচার-বিধি প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাদের প্রতি সত্যিকার মমত্ব প্রকাশের এ হল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও একদম প্রাথমিক স্তর – তাদেরকে সুন্দরভাবে, ধৈর্যের সাথে সঠিক শিক্ষাটি আগে দেয়া। শুধু উপদেশের মাধ্যমে নয়, রীতিমত ‘প্র্যাকটিক্যাল’ দেখিয়ে তাদেরকে শেখাতে হবে। ইনশাআল্লাহ এতে ছোটবেলায়ই তাদের মনে গেঁথে যাবে ‘এভাবে কাজ করতে হয়, ওভাবে নয়’।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:২২