somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নাস্তিক ও ইসলামবিরোধীদের প্রশ্নোত্তর

০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পর্ব-২
নাস্তিকঃ- বিজ্ঞানীরা কোনকিছু আবিস্কার করলেই মুসলিমরা বলে এটা তো আমাদের কুরানে আগে থেকেই ছিল !

আস্তিকঃ- বিজ্ঞানীরা যে হাবিজাবি বিভিন্ন জিনিস আবিস্কার করেছে তার সবই কুরানে আছে তা কেউ বলে না । বরং বিজ্ঞানীরা যেসব সত্য খুজে খুজে পেয়েছে যেমন- বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্যের মত কিছু বিষয় , কেবল সেসব বিষয়েই কুরানে মিল পাওয়া যায়। আর বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই অমিল যেমন- রাষ্ট্রবিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান, ব্যাবসা-বিজ্ঞান, ডারউইনের মত পিকুলিয়ার সব থিউরী ।

জৈনক নাস্তিকঃ- মুসলিমদের মধ্যে লাখ লাখ হাফেজ, কুরান বিশেষজ্ঞ আছে তারা বিজ্ঞানীদের পূর্বে নিজেরাই কিছু আবিষ্কার করতে পারেনা কেন?
উত্তরঃ-কে বলেছে তারা আবিষ্কার করেনি । তারা তো আসল জিনিসই আবিষ্কার করে ফেলেছে যে-কিছুদিন পরই সবারই এই দুনিয়া ছারতে হবে , কেউ স্থায়ি না, যতদিন বেচে থাকে মানুষ, এটা তার জন্য পরীক্ষা এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে। সুতারাং অল্পকদিনের এই লাইফে খুব বেশি প্রয়োজনীয় জিনিস ছারা অপ্রয়োজনীয় জিনিসের পিছে ছুটার তাগিদে ডক্টরেড ডিগ্রি নিতে গিয়ে বা সফদার আলীর মত মহা মহা আবিষ্কারের নেশায় মাথার চুলে পাক আর টাক ধরানো নির্ঘাত বোকামী কেননা পরকালের পরীক্ষায় তবে ফেল নিশ্চিত, দুনিয়ার অপ্রয়োজনীয় ভোগ বিলাসে সময় অপচয় করার জন্যে। ……আবিস্কার অবশ্যই করতে হবে কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ি, পাগল হলে তো আর চলবে না। বিজ্ঞানীদের সার্স,মার্স, করোনার মত মানবজাতী ধংসের জন্য জৈবিক ভাইরাসসহ অযোথা কম্পিউটারের ভাইরাস তৈরী করার দরকার কি ? আবার সেটি ঠেকাতে হাজারও এন্টিভাইরাস তৈরী। মানুষের মূল্যবান সময় এসব অপ্রোয়জনীয় কাজে ব্যয় না করে অনন্ত্য জীবনে ভাল থাকার সিস্টেমগুলোই কুরান বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন আবিস্কার করে যাচ্ছে এবং প্রচারও করছে। আর সত্যিকারের তথ্য হল বর্তমান বিজ্ঞান যে বেসিক এর উপর দ্বারিয়ে এতকিছু করে যাচ্ছে সেই বেসিক অংশটুকু এসেছে সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যের মূসলিমদের কাছ থেকে যেটা পশ্চিমারাও স্বিকার করে এমনকি আজও মুসলিমদের বইগুলো তাদের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ানো হয়, যেটা শুধুমাত্র যারা সেখানে ডক্টরেড প্রাপ্তির আশায় আছেন তারাই ভাল বলতে পারবেন।

জৈনক নাস্তিকঃ- মুমিনরা কয় অদের কুরানে নাকি সবই উল্লেখ আছে । তাইলে অগো কুরানে কি আমাগো বাদামতলীর ল্যাংড়া আমের দরসহ লিখা আছে ?

উত্তরঃ-কুরানে মুল থিম না দিয়ে যদি বাদামতলীর ল্যাংড়া আমের দর সহ লিখা থাকত তবে কুরান হত পৃথিবী হতে মংগল গ্রহ পর্যন্ত লম্বা আর ভর হত কত বেশী। আর শুধু একটি আমের ইনফরমেশন জানার জন্য পৃষ্টা উলটাতে উলটাতে মৃত্যুই এসে যেত । তবে সব কিছুই লেখা আছে শুধুমাত্র আসমানের লওহে মাহফুজে । আর কুরানে আছে সবকিছুর মুল থিম শুধু ।আর মানুষকে আরেকটু ধরিয়ে দিতে নবী সঃ এর হাদিসে আরেকটু বিস্তারিত এসেছে বাদবাকী নিজের জ্ঞান দিয়েই প্রকৃতির মাঝে সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রানী মানুষ বুঝে নিতে সক্ষম বলে ঈশ্বর নিজের বানীকে সংকুচিত করলেও বোধগম্য ও সরল সাধ্য ঠিকই করেছেন।

জৈনক নাস্তিকঃ- কুরানে আছে-তিনি রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত করেন এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন । তাছাড়াও দিনের মধ্যে রাতে প্রবিষ্ট হওয়ার কথা বলা হয়েছে, রাতের মধ্যে দিনের প্রবিষ্ট হওয়ার কথা বলা হয়েছে! বস্তুত, দিনের মধ্যেও রাত প্রবিষ্ট হয় নাহ এবং রাতের মধ্যেও দিন প্রবিষ্ট হয় নাহ। দিন দিনের অবস্থানেই থাকে এবং রাত রাতের অবস্থানেই থাকে!

আস্তিকঃ- আপনাকে কে বলেছে যে দিন দিনের অবস্থানেই থাকে এবং রাত রাতের অবস্থানেই থাকে এবং হটাত করেই দিন থেকে রাত এবং রাত থেকে দিন হয়? কুরানে আল্লাহ সুবঃ তায়ালা রাত্রিকে দিবস দ্বারা আচ্ছাদিত এবং দিবসকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত এবং দিনের মধ্যে রাত প্রবিষ্ট, রাতের মধ্যে দিনের প্রবিষ্ট হওয়ার কথার দ্বারা বুঝিয়েছেন যে দিন রাতের পরিবর্তন হল একটি ধীর প্রক্রিয়া যেমন- ১মে সকাল হতে হয় এর পর দুপুর বিকেল এবং সন্ধ্যা পেরিয়ে তারপর একসময় গভীর অন্ধকার নেমে আসে, ঠিক একইভাবে রাত হতেও ১মে সুবহ সাদিক হতে হয় এর পর ধীরে ধীরে আলো বাড়তে থাকে আর দিনের মাঝে রাতের প্রবিষ্ট দ্বারা বুঝিয়েছেন এক ধরনের অবস্থার(আলো) মাঝে অন্য অবস্থা(অন্ধিকার) আনায়ন করেন অর্থাৎ শুধুই যে দিনই থাকবে একাধারে তা নয় বরং রাতকেও প্রত্যক্ষ করতে হবে আর এসব তিনিই করেন। ঈশ্বরের এই ধরনের ভাবগাম্ভির্য্যপূর্ন বানীকে অবিশ্বাসীরা পিকুলিয়ারভাবে বুঝবে এটাই স্বাভাবিক।
আলোর মধ্যে অন্ধকার আনয়নটাই হয় ধীরে আর দিনের ভেতর রাত্রি প্রবেশ দ্বারা ধীর প্রক্রিয়াতে অন্য অবস্থার আগমন বুঝায় এখানে প্রবেশ বলতে আপনারা বুঝেন শাব্দিক অর্থে অনেকটা এরকম- পানির মাঝে রঙ দিলে যেমন পানিও থাকে আবার রঙও দুটির কারনে রংগিন পানি দেখা যায় কিন্তু রঙ দেওয়ার ফলে তো পানি দূরিভুত হয় না। অথাৎ দুটিই থাকা বুঝছেন। হে হে হে! কিন্তু আল্লাআহ সুবহানা তায়ালা তা বুঝাননি বরং একটির আগমনে অন্যটির বিদায় ঘটে ধীর প্রক্রিয়াতে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা এপ্রিল, ২০২০ রাত ১১:১২
৬টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:২৫

বন্ডাইর মত হত্যাকাণ্ড বন্ধে নেতানিয়াহুদের থামানো জরুরি...

বন্ডাই সৈকতের হামলাস্থল। ছবি: রয়টার্স

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডাই সৈকত এলাকায় ইহুদিদের একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সমবেত মানুষের ওপর দুই অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী অতর্কিতে গুলি চালিয়েছে। এতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমাণ নন বলা কুফুরী

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১৪



সূরাঃ ২ বাকারা, ২৫৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৫৫। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই।তিনি চিরঞ্জীব চির বিদ্যমাণ।তাঁকে তন্দ্রা অথবা নিদ্রা স্পর্শ করে না।আকাশ ও পৃথিবীতে যা কিছু আছে সমস্তই... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×