যদিও ২০০০ সাল হতেই বাংগালীদের মাঝে অশ্লীলতা বাড়তে থাকে কিন্তু বর্তমান ২০১০ সালে এসে মোবাইল ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় বাংগালীদের মাঝে অশ্লীল নাচ, গান ভিডিও আকারে দেখাসহ ছোটখাট অনুষ্ঠানেও রাতভর এসব নাচ গান করতে যে দেখা দেখা যায় শুধু তাই না পর্ন মুভিতে আসক্ত হয়ে এক পর্যায়ে আম পাবলিকরাও নিজে নিজেই দেশী পর্ন তৈরী করে সবাইকে দেখাতে অনলাইনে ছারাসহ অশ্লীল ভিডিও করে অনেককেই ব্লাক মেইল পর্যন্ত করতে থাকে। অতীতকাল হতেই এসব এলাকায় যৌনপল্লী এবং নারী যৌনকর্মী ছিল কিন্তু মোবাইল ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় নারী যৌনকর্মী একদম হাতের নাগালে হলেও এই ধরনের বেশ্যাবৃত্তি পূর্বেও ছিল কিন্তু ইদানিং মোবাইল ও ভার্চুয়াল যোগাযোগ ব্যাবস্থা উন্নত হওয়ায় সচেতন ব্যাক্তিবর্গ ঠিকই বুঝতে পারছে বাংগালী আসলেই মাত্রারিক্ত কু-রুচিপূর্ন একটি জাতি কারন এদের বেশীরভাগই প্রযুক্তিকে ব্যাবহার করছে নিজেদের খুবই নিম্নমানের প্রবৃত্তিগত স্বাধ মেটাতে, যেখানে এইধরনের টেকনোলজি অনেক ভালকাজে ব্যাবহার করা যায় এমনকি কিছুলোক তা করছেও কিন্তু বেশীরভাগ বাংগালীরাই এসবের ব্যাবহার করে অবৈধ,অনিরাপদ এবং খুবই কু-রুচিপূর্ন যৌনকর্মে যেমন- অবৈধ যৌনসম্পর্কমূলক প্রেমের মাধ্যমে সেঞ্চুরিয়ান হওয়া, পরক্রিয়া , পশুকামী বা সমকামী হওয়া এবং এজন্য নিজেদের দল তৈরী করা এমনকি অনলাইনে সচিত্র বিজ্ঞাপনও দেয়া, নারী যৌনকর্মীর পাশাপাশি পুরুষ যৌনকর্মীর সার্ভিস চালু করা, খুবই কু-রুচিপূর্ন পর্ন ছবিগুলো অন্যদের মাঝে ছরিয়ে দিয়ে পশুর চেয়ে নিম্ন পর্যায়ের যৌনকর্মে অভ্যস্ত করা এমনকি অনলাইনে প্রকাশ্যে বিজ্ঞাপন দেওয়া যে – "আমার মুখ ও জিহব্বা আপনার ইচ্ছেমত ক্রিয়া করবে এবং পায়খানাও খাব" আর এই ধরনের বিজ্ঞাপন কোন পেশাদার যৌনকর্মী দিচ্ছে না দিচ্ছে বরং সাধারন ভদ্র যুবসমাজেরই অনেক যুবক, যারা কিনা পরিচয় গোপন রেখে সম্পুর্ন ফ্রিতে যৌনকর্ম করে বেড়ায় আর এই ধরনের যৌনকর্মে বিবাহিতদের পাশাপাশি শিশু ও বয়বৃদ্ধদেরও জরিত করা হচ্ছে। ইদানিং ফোনসেক্স ও সরাসরি ভিডিও কলের মাধ্যমে সেক্স তো এখন খুবই সাধারন ব্যাপার সুতারাং কোন জাতি যদি যৌনসম্পর্কগুলো অবৈধভাবে করা শুরু করে উক্ত পন্থাগুলোর সাহায্যে তবে বিশৃংখলার পর্যায় এমন পর্যায়ে পৌছাবে যে এজন্য হতাহতের ঘটনাই বেশি ঘটবে যেমন বাংলাদেশেরই এক মহিলা পরক্রিয়া প্রেমের কারনে তার নিজের আপন নিরাপরাধ শিশুকে খুনই করে ফেলে উক্ত ঘটনাটি খবরের কাগজে প্রকাশ হলেও এরকম আরও অনেক হৃদয়বিদারক ঘটনা প্রায়শই ঘটছে যেগুলো হয়ত প্রকাশ হচ্ছে না। এসব ঘটনার দ্বারাও বুঝা যায় এই জাতি আজ কত নিম্ন পর্যায়ে চলে এসেছে।
এছারাও এক বিশেষ জরীপে দেখা গেছে বাংগালীরা আয়তনের তুলনায় অতিমাত্রায় ঘনবসতিতে অভ্যস্ত হওয়ায়, পরিবারের সদস্য সংখ্যার তুলনায় ঘর কম নির্মান করায় এবং নারী-পুরুষ খুবই পাশাপাশি থাকার বদাভ্যাসের কারনে শুধুমাত্র এই জাতির মাঝেই অযাচারের মত কু-স্বভাব(রক্তসম্পর্কীয়দের সাথে কু-কর্ম) বেশী দেখা যায় কিন্তু এই হিন্দ দেশেরই অন্নান্য জাতি যেমন- তামিল, তেলেগু, মারাঠী, মনিপুরী, ভোজপুরী, পাঞ্জাবী, হিন্দী বা ঊর্দূভাষী জাতিদের মাঝে এই ধরনের চরম কু-রুচিপুর্ন যৌনস্বভাব অনেক কম। উদাহরনস্বরুপ বাংলাদেশের রাজধানীর এক ক্লিনিকের এব্রোসন সেন্টারে এক মেয়ে এব্রোসন করতে আসলে কিছুতেই তার যৌনসংগীর নাম বলতে চাচ্ছিল না এখানে উল্লেখ্য যে বাংলাদেশের এব্রোসন সেন্টারে এব্রোসন করাতে আসলে শিশুটির পিতার নাম অথবা যৌনসংগীর নাম বলা বাধ্যতামূল নয়ত এব্রোসন সাধারনত করা হয় না তাই অনেক চাপাচাপির পর মেয়েটি বলেছিল – তার যৌনসংগী আর কেউই নয় স্বয়ং তার আপন বাবা। যদিও বাংগালী জাতির মাঝে পূর্ব হতেই সমকামিতা, পশুকামিতা, ঘেঁটুপুত্রের নামে শিশুকামিতাসহ পালাক্রমে ধর্ষনের ঘটনাও ঘটত কিন্তু এই বর্তমান যুগে এসে বাংগালীদের মাঝে বাংলাদেশীরা হটাৎ করেই স্বাধীনতা পাবার পর যেন একটু বেশিই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারই ধারাবাহিকতায় মোটামুটি ২০১৯ সালের দিকে দৈনিক পত্র-পত্রিকার সংবাদে উঠে আসা বিভিন্ন অশ্লীলতা এবং অত্যাচারের ঘটনা শুনে এক সাধারন নিরিহ বাংলাদেশীর সরাসরি অভিব্যাক্তি লেখনী আকারে প্রকাশ পায় ইন্টারনেট ফেসবুকে যা অনেকেরই নজরে আসে, এখানে তার লেখনীটি দেয়ার উদ্দেশ্য হল বর্তমানে বাংগালী জাতির অপরাধ প্রবনতা কি পর্যায়ে পৌছেচে তা জ্ঞানী মহলে আঁচ করানো। অনলাইনে জৈনক ব্যাক্তির সরাসরি লেখনী হতেঃ-
"- বিশ্বের এক নম্বর নষ্ট ও বোকা জাতির নাম হচ্ছে বাঙালী_যাদের বসবাস এই বাংলাদেশে
এটা এমন এক দেশ ৪/৫ দিন আগে-
যেখানে মা হারা ১৩ বছরের মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণ করে বাবা।
এটা এমন এক দেশ যেখানে ব্লেড দিয়ে কেটে যৌনাঙ্গের প্রবেশ পথ বড় করে ৫ বছরের শিশুকে রাতভর ধর্ষন করা হয়।
এটা এমন এক দেশ যেখানে মা কে অচেতন করে রাতভর মেয়ে কে ধর্ষন করে বাবা।
এটা এমন এক দেশ যেখানে ছোট্ট শিশুকে ধর্ষন করায় বাবা থানায় বিচার চাইতে গেলে ১০০০ টাকা দিয়ে পুলিশ কিনতে চায় বাচ্চাটির হারানো ইজ্জত।
এটা এমন এক দেশ যেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক পুলিশ এক গরীব মেয়েকে পরপর ২ রাত টানা ধর্ষন করে।
এটা এমন এক দেশ যেখানে ১১ বছরের বাচ্চাকে আটকে রেখে ৮ জন জানোয়ার সারা রাত ধর্ষন করলো, অথচ পাশে ফ্লাটে থাকা মানুষগুলো টেরই পায়না।
এটা এমন এক দেশ যেখানে জন্মদিনের পার্টির কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীদের বিলাস বহুল হোটেলে নিয়ে বন্দুকের মুখে জিম্মি করে ধর্ষন করা হয়।
এটা এমন এক দেশ যেখানে ৮০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষন করতে দ্বিধা বোধ করেনা মানুষ নামের পশুগুলো।
এটা এমন এক দেশ যেখানে ধর্ষনের পরে ২য় বার আবার নগ্ন হতে হয় ধর্ষিতার প্রমান দিতে।
এটা এমন এক দেশ যেখানে একজন ধর্ষিতাকে সহমর্মিতার পরিবর্তে ‘বেশ্যা’, ‘নষ্টা’,চরিত্রহীন’ ...... ইত্যাদি উপাধি নিয়ে সমাজে বেঁচে থাকতে হয়।
এটা এমন এক দেশ যেখানে ধর্ষন মামলা হয় কিন্তু ৯৯.৯৯% ই বিচার হয়না।
এটা এমন এক দেশ যেখানে মান সম্মান ও সামাজিক নিরাপত্তার কথা ভেবে ৯০% পরিবারই ঘটে যাওয়া ধর্ষন নিরবে সহ্য করে।
এটা এমন এক দেশ যেখানে সহ্য করতে হয় বিচারের নামে নানা প্রহসন।
এটা এমন এক দেশ যেখানে ধর্ষনের বিচার না পেয়ে বাবা মেয়েকে নিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেয়।
এটা এমন এক দেশ যেখানে আছে মানবতাবাদী, প্রগতিশীল, সভ্য মানুষ। তাদের কাছে ধর্ষন আধুনিক যুগের সামান্য দুষ্টামি মাত্র।
এটা এমন এক দেশ যেখানে ফেসবুকের প্রোফাইলে ২ দিন কালো ছবি ঝুলানো হয় কিংবা 'Justice for অমুক, তমুক' স্ট্যাটাসের ঝড় উঠে কয়েকদিন...তারপর আর কোন সাড়া-শব্দ থাকেনা....
আর এখন আমার এইটা ভাবতেও ঘৃন্ন্যা হয় যে আমিও এই দেশেরি একজন নাগরিক,
আমার জন্ম টাও এই দেশেতেই হয়েছে,,,
আমরা নামে মাত্র মানুষ হয়ে জন্মেছি, এখনও আদর্শ মানুষ হিসাবে হয়ে উঠতে পারেনি। সমাজ ধ্বংস হচ্ছে । নারী লাঞ্চিত হচ্ছে। শিশু ধর্ষিত হচ্ছে। অনেক লাশ মাটির নিছে পচে গলে গেছে কিন্তু আজো বিচার চলছে, আমরা কেন আমাদের নিজের বিচারটা নিজেরাই করতে পারি না? এই ভাবে আর কত দিন চলবে???? জাতির কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম?? সবার কাছে এই পোস্ট টা ভালো না ও লাগতে পারে, কিন্তু কিছু করার নাই। হুম,,,,,এটাই আমার আপনার সবার সোনার বাংলা……।"
৭) সাম্প্রদায়িক এর সরাসরি শাব্দিক অর্থ করলে যা বুঝায় তা হল নিজ সম্প্রদায়ের প্রতি বেশি আসক্তি কিন্তু বর্তমানে সাম্প্রদায়িক বলতে বুঝানো হচ্ছে যেকোন ধর্মের ধার্মিক হওয়া এমনভাবে যে সেই ধর্মের মৌলিক নীতি মেনে চলার পাশাপাশি নিজ ধর্ম নিয়ে বেশি গর্ববোধ করা তথা মৌলবাদী হওয়া আর অসাম্প্রদায়িক বলতে বুঝানো হচ্ছে- যে ধর্মের মাঝেই বেড়ে উঠুক না কেন সকল ধর্মকে সমান ভাবার অন্তরালে নিজ ধর্মসহ সকল ধর্মকে পেছনে ফেলে আধুনিকতার নামে পশ্চিমা কালচারকে সভ্যতা হিসেবে সবচেয়ে বড় ধর্ম মানা, এমনকি ধর্মহীনতার পাশাপাশি নাস্তিকতাকে প্রশ্রয় দিয়ে শুধু মুখে উদারপন্থী অসাম্র্াদায়িকতার বুলি আওরানো। এতকিছুর পরও সাধারন মানুষগুলো এই ধরনের অসাম্প্রদায়িকতাকেই বেশী ভালবাসে আর একেই সত্যিকারের অসাম্প্রদায়িকতা ভাবে, এর কারন বর্তমান সমাজে বিভিন্ন ধর্ম তথা সম্প্রদায় পাশাপাশি একইসাথে বসবাস করতে বাধ্য হয় কিন্তু এক ধর্মের লোক যদি অন্য ধর্মের লোককে মনে মনে প্রচন্ড ঘৃনা করে এবং কিছুক্ষেত্রে তার প্রকাশও ঘটায় তবে কিন্তু অবশ্যই সমাজে স্বাভাবিক শান্তি ব্যাহত হয়। তাই অনেক মানুষ সকল ধর্মকে পেছনে ফেলে পশ্চিমাদের প্রচারিত মানবতাকে সামনে রেখে শান্তি খোঁজে, আর যারা এমন করে বা এসবে বিশ্বাসি তাদের প্রায় সকলেই হয় নাস্তিক মনসম্পন্ন নয়ত নিজ ধর্মের পাশাপাশি অন্নান্য ধর্ম সন্মন্ধেও হয় অজ্ঞ। তাই এদের কেউই ভালভাবে জানে না যে সকল ধর্ম একই ঈশ্বর হতে এসেছে বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্নভাবে তবুও সকল ধর্মেরই কিন্তু মর্মকথা প্রায় একই আর যেসব ক্ষেত্রে বৈসম্য দেখা যায় তার প্রায় সব কিছুই স্বার্থবাদী ধর্মীয় পন্ডিতরা বিকৃত করেছে। আর এসব কারনেই সাধারন মানুষগুলোর মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয় যে এসব ধর্ম হয়ত মানুষেরই বানানো তাই ধর্মীয় বিভাজন ত্যাগ করে অসাম্প্রদায়িকতাকেই প্রশ্রয় দিতে চায়। আর এধরনের অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা করতে গিয়ে তারা পশ্চিমা অধর্মের চর্চা করে সমাজে অন্য ধরনের বিশৃংখলার সৃষ্টি করে আধুনিকতার নামে যা কিনা মানব জাতির জন্য আরো বেশি হুমকি, এমন না করে যদি সর্বসাধারন নিজ নিজ ধর্মকে গোঁড়ামীর মতও মানত তবু সমাজের স্বাভাবিক ভারসম্য এতটা নষ্ট হত না।
যাইহোক আসল কথা হল – সব ধর্ম যদি একই ঈশ্বর হতেই এসে থাকে তবে কি ঈশ্বরই ধর্মিক ব্যাক্তিবর্গকে ঐ ধরনের সাম্প্রদায়িক হতে বলেছেন ? এর সঠিক উত্তর সরাসরি নাবোধক নয় কারন সব ধর্মগ্রন্থেই ঈশ্বর বলেছেন সমস্ত মানবকে একই সম্প্রদায়ভুক্ত হতে পাশাপাশি এও উল্লেখ করেছেন যে এমনটি তিনি নিজেই করবেন না তাই সমস্ত মানব সম্প্রদায় প্রধান দুটি সম্প্রদায়ে সর্বদাই বিভক্ত থাকতে বাধ্য যেমন- ১) ধার্মিক সম্প্রদায় ২) অধার্মিক সম্প্রদায়। পাশাপাশি তিনি এও বলে দিয়েছেন যে- সকলেই একই মানব গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত যাদের কিনা তিনিই সৃষ্টি করেছেন তাই যারা ঈশ্বরের ধর্মে বিশ্বাসি হয়ে ধার্মিক হবে তারা নিজেদেরকে নিয়ে অবশ্যই গর্ববোধ করবে এবং নিজেদের মাঝে স্বতন্ত্র ধর্মীয় ভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলবে আর নিজ ধর্ম বা সম্প্রদায়ের লোকদের প্রতি তুলনামূলক বেশি ভালবাসা প্রদর্শন করবে আর অন্য সম্প্রদায়ের লোকদেরকে নিজ সম্প্রদায়ের প্রতি আহব্বান করবে যদি সাড়া না দেয় তবে আফসোস করবে এবং তাদের প্রতি অপেক্ষাকৃত কম ভালবাসা প্রদর্শন করবে আর তাদের মন্দ কর্মকে ঘৃনা করে নিজেরা তা হতে দূরে থাকবে। এখন যারা ধার্মিক সম্প্রদায়ে আসবে না তারাও স্বজাতীয় ভাই আর তাদের প্রতি কতটুকু কম ভালবাসা প্রদর্শন করবে আর তাদের মন্দ কর্মকে কতটুকু ঘৃনা করবে তারও একটা সীমা ঈশ্বরই নির্ধারন করে দিয়েছেন । ঈশ্বর নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে অন্য সম্প্রদায়কে মাত্রারিক্ত ঘৃনা বা ভালবাসা ও অধিকারের ক্ষেত্রে বঞ্চিত করলেই তাও পাপে পরিনিত হয় এবং তা ধর্মীয় দৃষ্টিতে অহংকার হিসেবে গন্য হয় যা উক্ত ধার্মিক ব্যক্তিকে নরক পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারে। সত্যিকারার্থে যারা সাধারন মানুষ তারা ধর্ম সম্পর্কে অজ্ঞ হওয়ায় সাম্প্রদায়িকতা প্রদর্শনের উক্ত সীমা সম্পর্কে মোটেও জ্ঞান রাখে না তাই এক সম্প্রদায়ের সাথে অন্য সম্প্রদায়ের দ্বন্দ্ব লেগে যায়। আর সাম্প্রদায়িকতা প্রদর্শনের এই সীমা সকল ঐশ্বরিক ধর্মগ্রন্থেই একইভাবে নির্ধারন করা আছে এর একটা সাধারন উদাহরন সবচেয়ে প্রাচীন সনাতন ধর্মের দ্বারা নিচে দেয়া হল-
ধরা যাক এক দম্পত্তির মোট ৫টি সন্তান হল এখন সব সন্তানই প্রাপ্ত বয়স্ক হবার পর উক্ত দম্পত্তি লক্ষ্য করল যে তাদের ১ম সন্তান বাদে বাকী ৪জনই অন্য ধর্ম গ্রহন করে মেনে চলা শুরু করেছে অর্থাৎ তাদের ১জন হয়েছে মুসলিম, ২য় জন হয়েছে খ্রিষ্টান, ৩য় জন হয়েছে বৌদ্ধ আবার ৪র্থ জন হয়েছে নাস্তিক পশ্চিমাবাদী শুধুমাত্র ১ম বড় সন্তানটি বাপ দাদার হিন্দু ধর্মে রয়েছে। এখন স্বাভাবিক অবস্থায় উক্ত পিতামাতার অবশ্যই ১ম সন্তানটির উপর বেশী ভালবাসা থাকবে আর বাকী সন্তানদের প্রতি রাগ আর ঘৃণা এমন পর্যায়েও পৌছুতে পারে যে তাদেরকে হত্যা করতে মন চাইবে নয়ত জোর করে নিজ ধর্মে ফিরে আনতে মন চাইবে নয়ত সাস্তি দেবার পাশাপাশি এমনভাবে ত্যাজ্য করতে মন চাইবে যেন তারা নিজেদের পিতামাতার পরিচয় দিতেও না পারে। কিন্তু এসবের যেকোন একটিই হল নিজের অস্থির মনের দুষ্ট বাসনা এগুলোর কোনটিই ঈশ্বর প্রেরিত ধর্মে অনুমতি নেই তবে প্রাপ্ত বয়স হলে তাদেরকে পিতৃ সম্পত্তি হতে বরখাস্ত করাসহ আলাদা বসবাসের বিধান যেটা আছে তা শুধুমাত্র যুগোপযোগী বা পূর্নাংগ ধর্ম ত্যাগ করে অধর্ম বা পেছনের বিকৃত ধর্মে গেলেই তা প্রযোজ্য হবে আর হত্যা বা সাস্তির যে বিধান আছে তা বিশেষ ঘটনার প্রেক্ষিতেই শুধু প্রযোজ্য যাকে ধর্মীয় গুরূরা সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য করে ফেললেও এটা ভুল অথচ ঈশ্বর ধর্ম মানা বা না মানার ক্ষেত্রে সকলকেই স্বাধীনতা দিয়েছেন সুতারাং ধর্ম মানা সম্পুর্ন মানষিক ব্যাপার এখানে জোর-জবর দস্তি চলে না, আর নিজের সন্তান বা ভাই বলে পরিচয় না দিয়ে ঘৃনা করার পাশাপাশি বিপদে সাহায্য না করা বা বিভিন্নভাবে শত্রুতা করা এগুলো হল অহংকার বশত মানুষের নিজেদের তৈরী আচরন এসবের সাথে ধর্মের কোন সম্পর্ক নেই ।
উপরের উদাহরন দেয়া হয়েছে শুধুমাত্র নিজ ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের সাথে সাম্প্রদায়িক আচরন কেমন হবে তা নিয়ে আর যদি নিজ ঘনিষ্ঠ আত্মীয় না হয়ে অন্য কেউ হয় বা পাড়া প্রতিবেশির মাঝে কেউ হয় বা পূর্ব হতেই অন্য সম্প্রদায়ের হয়ে থাকে তবে তাদের সাথেও সদ্বব্যাবহার এবং তাদের মৌলিক অধিকারকে বঞ্চিত না করার নিয়ম সকল ধর্মেই আছে কিন্তু নিজ সত্য ধর্মের লোকদের প্রতি বেশি আন্তরিক হবার পাশাপাশি অন্য ধর্মের লোকদের প্রতি তুলনামূলক কম ভালবাসা আর সহায়তা থাকবে এটাই স্বাভাবিক, ধর্মীয় সীমা মেনে এই ধরনের সাম্প্রদায়িক হলে সমাজে মোটেও অশান্তি বা দাঙ্গা লাগার সম্ভাবনা থাকে না বরং বিভিন্ন মতবাদের মানুষ পাশাপাশি থাকায় একধরনের ভারসম্য বজায় থাকে। কিন্তু বর্তমান দেশ রাষ্ট্র অধর্মের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় তাদের দাবী হল সাম্প্রদায়িক কিছুতেই হওয়া যাবে না। তাদের কথা হল কেন তোমরা সকল ধর্মের লোককেই সমানভাবে ভালবাসতে পার না ? আসলে তাদের এই দাবী সম্পূর্ন অবাস্তব কেননা স্বয়ং পিতামাতাই তার নিজের সকল সন্তানকে একদম সমানভাবে ভালবাসতে পারে না, তবে তাদের দাবীতে সকল ধর্মের লোককেই সমান মনে করা তখনি সম্ভব যখন সে পশ্চিমা চেতনায় নাস্তিক হয় বা অধার্মীক হয়, তখন কিন্তু তার কাছেও শুধু নাস্তিকদের প্রতি নিজ মতবাদের হওয়ায় বেশী ভালবাসা আসে আর অন্য সকল ধর্মের প্রতি সমান ঘৃনা থাকে যাকে তারা মুখে মুখে বলে- সকল ধর্মের প্রতি আমাদের সমান ভালবাসা আছে । আসলে তারা ঘৃণার নাম দিয়েছে ভালবাসা। আর এসব করার তাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে পৃথিবী হতে সকল ধর্মকে সমূলে উৎখাত । তাদের সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়ন করতে তারা অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা বলে আর সাধারন মানুষ তাদের ফাঁদে পা দেয় শুধুমাত্র নিজ ধর্মকে ভালভাবে না জানার জন্য। তাই নিজ ধর্মসহ অন্নান্য ধর্ম সম্পর্কে একটূ জ্ঞান রাখলেই বুঝা যায় যে অসাম্প্রদায়িকতা বলতে পরস্পরের প্রতি যে সৌজন্যমূলক আচরন করার যে বিষয়টি মানুষ আকাংখা করছে তা আসলে ভালভাবে সাম্প্রদায়িক হবার মাঝেই খুজে পাওয়া যায় আর সকল ধর্মেই অন্য ধর্মের প্রতি কেমন আচরন হবে তারও একটা সুন্দর সীমারেখা দেয়া আছে উক্ত সীমা অতিক্রম করলেই কিন্তু সাম্প্রদায়িকতা একটি বিষাক্ত বিষয়ে রুপান্তরিত হয়ে যায় আর আমাদের এই ধরনের সাম্প্রদায়িকতার বিষাক্ত ছোবল হতে বাঁচতে অবশ্যই ধর্ম ভালভাবে নিজে জানার পাশাপাশি ধার্মিক বা সাম্প্রদায়িকও হতে হবে।
কিন্তু বাংগালী জাতির মাঝে এই দুটোরই বড়ই অভাব অর্থাৎ এরা অতীত হতেই ধর্ম সম্পর্কে কম জানাকেই অতি উত্তম জেনে আসছে আর বাংগালীর মাঝে সর্বসাধারনেরও ধার্মীক হওয়াটাও যেন একটা অপরাধ হিসেবে গন্য হয় কেননা তারা মনে করে ধর্ম-কর্ম হল ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের ব্যাপার সাধারন মানুষের এত বেশী ধার্মীক হওয়া লাগবে না তাদের শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের কথামত চললেই পার পাওয়া সম্ভব । বাংগালী জাতির মাঝে যখন ইসলাম ধর্ম আসল তখনও তারা মুসলিমদের মাঝে দুই শ্রেনী তৈরী করে ফেলল ১ম শ্রেনী হল ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের মত হুজুর সম্প্রদায় যারা শুধু ধর্মের কথা বলবে ২য় শ্রেনী হল আম মুসলিম শ্রেনী যারা শুধু ধর্মের কথা হুজুরদের কাছ থেকে শুনবে কিন্তু নিজেরা ধর্মগ্রন্থ বুঝে পড়বে না যেমন- এরা পবিত্র কুরান অর্থ না বুঝেই পড়াকে সমপরিমান পুন্যের কাজ মনে করে। বাংগালী জাতিরা যে জাতিগতভাবে ধর্মীয় অজ্ঞ সেটা নিচের ধর্মীয় টপিকের আলোচনায় প্রমান দেয়া হয়েছে। এখন আসল কথা হল- যেহেতু এই জাতি ধর্মীয়ভাবে বড়ধরনের অজ্ঞ তাই এদের মাঝেই সাম্প্রদায়িকতার বিষ লক্ষ্য করা যায় উদাহরনস্বরুপ- এই বাংগালী সনাতন ধর্মালম্বীরাই ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের মাথায় করে রাখত তারা যা বলত তাই করত আর এখানকার অত্যাচারী রাজাদের চামচামি করত কিন্তু মুসলিমরা এসে যখন এসব অত্যাচারী রাজাদের পরাজিত করে ইসলাম ধর্ম প্রচার শুরু করল তখন কিন্তু বেশিরভাগ নিম্ন শ্রেনীর হিন্দুরাই বেশী অত্যাচারিত হওয়ায় দলে দলে মুসলিম হওয়া শুরু করল কিন্তু সমস্যা হল তারা ধর্মান্তরিত হবার পূর্বেও সনাতন ধর্ম সম্পর্কে তেমন কিছুই জানত না তাই তারা কেন বাপ দাদার ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম হচ্ছে বা তাদের হিন্দু ধর্মে কি ভুল তা তারা খুব ভালভাবে বুঝত না বরং তাদের মুসলিম হবার মুল কারনই ছিল হিন্দু রাজাদের দ্বারা বেশী অত্যাচারিত হওয়া, ব্রাহ্মণ পুরোহিতদের মতমাদ অনুযায়ি নিম্ন বর্নের হিন্দুদেরকে বঞ্চিত করা, মুসলিমদের বীরত্ব, সৌন্দর্য, মানবতা, সমতা, দান-দয়া প্রদর্শন, আর মুসলিমদের প্রচারিত তথ্য “মূর্তির কোন ক্ষমতা নেই” ইত্যাদি সব কারন । সবচেয়ে বড় সমস্যা হল তারা মুসলিম হবার পরেও তাদের চিরায়ত আদি-স্বভাব অনুযায়ি ইসলাম ধর্ম সম্পর্কেও কম জেনে শুধুমাত্র হুজুরদের কথামত চলাকে মহৎ কাজ মনে করতে লাগল। অতীতে তারা পুরোহিতদের কথামত সংস্কৃত ভাষা না শিখে না বুঝেই মন্ত্র পাঠ করত আর মুসলিম হবার পরে হুজুরদের কথামত আরবী ভাষা না বুঝেই মন্ত্রের মতন দুয়া এবং সুরা পাঠ করা শুরু করে ফলে তারা মুসলিম হলেও পূর্বের মতই অজ্ঞ শ্রেনীরই থেকে যায় আর এতে তাদের কোন সংশয় লাগা তো দূরের কথা তারা আরো মনে মনে গর্ববোধ করত যে হুজুর শ্রেনীর মত এত কষ্ট করে ধর্ম কর্ম ত্যাগ তিতিক্ষা আমাদের করতে হচ্ছে না আমাদের এত কিছু বুঝার দরকার নেই অল্প কিছু ধর্ম কর্ম করলেই আমরা পার পেয়ে যাব কিন্তু দুনিয়াদারী আমাদের খুবই ভালভাবেই করতে হবে। আর এই ধরনের নিম্ন বর্নের হিন্দুর সংখ্যা ছিল বেশী এরা যখন অজ্ঞ হিন্দু হতে অজ্ঞ মুসলিমে ধর্মান্তরিত হয় তখনই তাদের মাঝে চরমভাবে সাম্প্রদায়িকতার বিষ দেখা যায় অথচ কিছুকাল পূর্বেই যারা পুরোহিতদের কথায় নিজের আপন বোনকে সতীদাহের মাধ্যমে পুরিয়ে হত্যা করতে একটুও দ্বিধা করত না তারাই আবার মুসলিম হবার পর পরই চরম আত্মঅহংকারে নিজেদের আপন আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশীকে চরমভাবে ঘৃনা-অবজ্ঞা করা শুরু করে যা কিনা ইসলাম ধর্মে মোটেও অনুমতি নেই বরং এটা হল অন্য ধর্মের প্রতি মুসলিমদের আচরনের চরমভাবে সীমা অতিক্রম, যাকে আমরা বলতে পারি সাম্প্রদায়িকতার সীমালঙ্ঘন বা সাম্প্রদায়িকতার বিষাক্ত ছোবল। আজও বাংগালী জাতির মাঝে এই স্বভাবের তেমন কোন পরিবর্তন তো নেইই বরং এক ধর্ম এর সাথে অন্য ধর্ম এর সংঘর্ষ বেধে নিজেরা নিজেরাই যেন ধ্বংস হয়ে যায় এজন্য সরকারি পর্যায় হতে শুরু করে ধর্মীয় গোষ্ঠীর মাঝ পর্যন্ত ব্যাপকভাবে আন্দোলিত করা হচ্ছে যা কিনা পশ্চিমাদের গোপন পরিকল্পনার একটি অংশ। আর অজ্ঞ শ্রেনীর ধার্মীকেরা নিজেদের পুরোহিত-হুজুরদের কথামত ধর্ম বুঝে বড় ধরনের সাম্প্রদায়িক দাংগা লাগানোর পায়তারা করছে। আর এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যাবলি একমাত্র বাংগালী জাতির মাঝেই জনপ্রিয়তা পেতে পারে বলে বাংগালী জাতিকে সবচেয়ে বর্বর জাতি হিসেবে আখ্যা দেয়া যায় সুতারাং বর্তমানে বাংগালী জাতি বড় ধরনের হুমকির মাঝে অবস্থান করছে অতএব আমাদেরকে অধর্মের পাশাপাশি এই ধরনের অজ্ঞ শ্রেনীর বর্বরতাকেও কঠোর হস্তে দমন করতে হবে। আর তাই আমাদের শ্লোগান হল- “বাঁচাও দেশ বাঁচাও বিশ্ব মানবতা… মুছে যাক সকল প্রকার সাম্প্রদায়িকতার বন্ধন”।
৮) সাধারনত কোন জাতির অপরাধ প্রবণতা এক পাক্ষিক হয়ে থাকে কিন্তু বাংগালী জাতির অপরাধ প্রবণতা উভয় পাক্ষিক । উদাহরনস্বরুপ- যাতায়াতের পরিবহনের ক্ষেত্রে বাস-মিনিবাস-সিএনজি-রিকশা ওয়ালা পক্ষরা সব সময়ই চায় যে যাত্রীকে ঠকিয়ে নিজেরা অধিক মুনাফা করতে। এক্ষেত্রে প্রায়ই দেখা যায় যে কারনে-অকারনে ভাড়া বৃদ্ধিসহ ঝড়- বৃষ্টি বা একটু রাত্রী ঘনিয়ে আসার মতও বিপদে যদি কোন যাত্রী পরে যায় তবে তার অবস্থা হয়ে যায় একদমই মজলুম ব্যাক্তির মত, এক্ষেত্রে ১ম পক্ষ যাত্রীদের কাছ থেকে এমনভাবে মাত্রারিক্ত ভাড়া আদায় করে থাকে যে তা জুলুম হলেও দিতে বাধ্য থাকতে হয় আবার বিপদ-আপদ ছারাও সাধারন অবস্থায় যদি কেউ ভাড়া পুর্বেই না মিটিয়ে সিএনজি-রিকশাতে যায় এইভেবে যে, যা প্রচলিত ভাড়া তাই দেয়া হবে তবে সে যেন স্বইচ্ছায় ঝগড়া-ফাসাদের নিমন্ত্রণ জানাল ১ম পক্ষের সাথে। শুধু তাই না ঝগড়া-ফাসাদ করার পরেও অনৈতিক অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে তারপর গরম মাথা নিয়ে বাসায় ফিরতে হয়। আবার যদি ভাড়া পূর্বে মিটিয়েও যাওয়া হয় তবে দেখা যায় বেশিরভাগ সিএনজি-রিকশা ওয়ালারাই সামান্য অতিরিক্ত দূরত্ব এর অযুহাত তুলে অতিরিক্ত ভাড়া আবদার করে এমনভাবে ঝগড়া বাধিয়ে দিবে যে তা আর না দিয়ে উপায়ই থাকে না। এছারাও রয়েছে অযোথাই বকশিস নেওয়া এবং লজ্জায় ফেলে কারন ছারাই অতিরিক্ত ভারা আদায় করার প্রবণতা। বাস-মিনিবাসের লোকেরা সর্বদাই চায় এমনভাবে গাদাগাদি করে যাত্রী উঠাতে যে কারো নড়াচড়া করার মত জায়গা থাকে না আর এক্ষেত্রে সবসময় যাত্রীদের উঠা-নামায় মাত্রারিক্ত কষ্ট হয় আর সবচেয়ে কষ্ট হয় নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের আর যুবতী নারীদের শ্লীলতা হানীও হয়ে থাকে যা অনেক ক্ষেত্রে গোপনই থেকে যায় আর এতে ১ম পক্ষের কোন ভ্রুক্ষেপ তো নেইই উলটো কেউ কিছু বললে চরম অপমানসহ প্রহারের ভয়ও থাকে সবচেয়ে বড় কথা হল বাস- মালিকসহ হেল্পার পর্যন্ত সকলেই চায় যাত্রীর যত কষ্টই হোক বাস যেন সবসময় প্যাকেট অবস্থায় থাকে কিন্তু ভাড়া কিছুতেই কম নেওয়া যাবে না বরং সর্বদাই বেশী আদায় করার আশা থাকে এমনকি টিকিট কাউন্টারেও এমন দূর্নীতি চলে তবে যেসব পরিবহন এসব সমস্যা হতে মুক্ত সেগুলোর ভাড়া হয় বেশি ফলে সাধারন মানুষের পক্ষে সেসবে যাতায়াত করা সম্ভব হয় না। এতো গেল এক পক্ষের অপরাধ প্রবণতা কিন্তু আরেক পক্ষ অর্থাৎ সাধারন যাত্রী পক্ষরা যে খুবই সাধু স্বভাবের তা কিন্তু না বরং এরাও বিভিন্নভাবে দোষী যেমন- সাধারণ যাত্রীর স্বভাব অনেকটাই এমন যে তারা সর্বদাই চাইবে স্বাভাবিক যে ভাড়া তার চাইতেও কম দিতে অনেকে ফাঁকিও দেয় এরপরও তারা চাইবে যেন বাস-মিনিবাস গুলো একটু ফাঁকা ফাঁকা থাকুক অর্থাৎ কম যাত্রী উঠুক, নিজের পার্শ্বের ছিটে যেন কেউ না বসে, নিজের ছিটটা যেন একটু বেশী ভাল হয়, বাস যেন সাধারন স্টপিচ গুলোতেও না দ্বাড়ায়, লোকাল গাড়িই যেন গেটলক গাড়ির ন্যায় চলে, খুব দ্রুত যেন চলে আবার এক্সিডেন্টও যেন না হয় এমনকি খুব বেশী ঝাঁকিও যাতে না লাগে, অহেতুক কন্টেকটর- ড্রাভারকে বকাঝকা করে মনের ঝাল মিটায়, ছাত্র পরিচয়ে গুন্ডাদের ন্যায় ভাড়া কম দেওয়া ইত্যাদি। এগুলোই হল বাংগালী জাতির বৈশিষ্ট্য। আর সবচেয়ে বড় বিষয় তা হল এই সামান্য ভাড়া নিয়েই মানুষ খুন পর্যন্ত করা হয় এই দেশে এমনভাবে যে আশপাশের সকলেই তা চেয়ে চেয়ে দেখে কিন্তু কেউ কিচ্ছু বলে না নিজেদের সামান্য ক্ষতির ভয়ে এমনকি প্রশাষনও এখানে নিরব ভূমিকা পালন করে এমন প্রমানও আছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০২১ রাত ২:৪২