অবশেষে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। এবং প্রেস ব্রিফিংয়ে ডিবি জানিয়েছে সে ছোটবেলা থেকেই বদমাইশ ছিল। নিজের বাপকে পিটিয়েছে, এবং যে ওষুধের দোকানে কাজ করতো, সেখানেই ওষুধ চুরি করে ধরা খায়।
তাহলে বুঝা যাচ্ছে সে শুরু থেকেই বদমাইশ ছিল।
এখন তাহলে সন্দেহ করাই যায় যে ওর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠছে, সেসবের কিছুটা সত্যতা অবশ্যই আছে।
এই ধরনের বাটপারদের কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি দেয়া উচিত। মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলেছে, মানুষের অসহায়ত্বের ফায়দা তুলেছে। যদি সে আসলেই কিডনি বিক্রির ব্যবসা করে থাকে, তাহলে ওর ন্যূনতম শাস্তি হওয়া উচিত মৃ&ত্যু&দ*ন্ড। এর কমে কিছুতেই ছাড়া উচিত না। ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের উচিত অন্যদেরও কঠোর বার্তা পৌঁছে দেয়া। আমরা ম্যানা গাইয়ের মতন আচরণ করি বলেই সমাজে অপরাধ কমে না।
এখন যেহেতু পুলিশি রেফারেন্স আছে, এখন অবশ্যই ব্যাপারটাকে সবার ভাইরাল করা উচিত।
এর আগে যেটা কেবল গুজবের ভিত্তিতে লোকে করছিল, সেটার সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল এই যে যদি বাই এনি চান্স সে নির্দোষ হতো, তাহলে একজন নিরপরাধীর বিরুদ্ধে গুজব রটানোর পাপে লিপ্ত হতো সমাজ। যেটা প্রচন্ড রকমের অন্যায়।
আর দ্বিতীয়ত, সে যদি অপরাধী হয়ে থাকে, যেই মুহূর্তে ওর কাছে খবর পৌঁছবে যে ওর বিরুদ্ধে লোকে জেগে উঠতে শুরু করেছে, সেই মুহূর্তে সে সাবধান হয়ে যাবে। অপরাধের ট্রেস মুছে ফেলার চেষ্টায় নামবে। কে জানে, এর মধ্যে কয়টা কুকর্মের ট্রেস নিশ্চিহ্ন করে ফেলেছে!
এই কারণেই বলি, পুলিশকে পুলিশের মতন তদন্ত করতে দিয়ে পুলিশি রিপোর্ট সামনে আসার পরে লাফঝাঁপ করা উচিত। নাহলে লাভের চেয়ে ক্ষতির পরিমানই বেশি হয়।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ৩:০৬