somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রেম (দ্বিতীয় অংশ)

১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রেম (প্রথম অংশ)
তিনি তৃতীয় প্যারায় লিখেছেন ‘‘অশিক্ষিত সমাজ যুবক-যুবতীকে হাটের গরুর মতো বিক্রি করে জীবনে তাকে পঙ্গু-অলস পশু করে ফেলে। ফলে তা জীবনে কোনো রসানুভূতি থাকে না। বলহীন, সাধনাহীন, পশু সে কামনা করে। গোবেচারী বোকা সহজ মানুষ যারা,- তারা জীবনকে অবস্থার সঙ্গে মানানসই করে নেয়। আত্মায় যাদের আগুন আছে তারা এ জগতের আশা, বাসনা, আনন্দ, আকাঙক্ষা ত্যাগ করে মহত্ত্বের শান্তি পেতে পরকালের জন্য সহিষ্ণু হয়ে অপেক্ষা করেন। অথবা একটা বৃহৎ ত্যাগ ও বৈরাগ্য তাদের জীবনকে কঠিন যন্ত্রণা দেয়। না হয় সে উচ্ছৃঙ্খল, বেশ্যা, বেশ্যাসক্ত, পথহারা, বাঁধনহারা যথেচ্ছাচারী জীবন যাপন করে। শেষকালে হয় পথে, না হয় ঘরে সান্ত্বনাহীন, আনন্দহীন, দুঃখের মরণ মরে।’’

বয়ঃসন্ধিকালের পূর্বেই মায়ের (মা না থাকলে যিনি অভিভাবক) বলা উচিত তাকে যেন সব কথা জানায়। তা না হলে যে কোন সময় বিপদ ঘটতে পারে। যার ভোগান্তিতে মায়ের যতটা না আঘাত লাগবে তার চেয়ে সন্তান ফল ভোগ করবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে। এ সময় ছেলে ও মেয়ে বিভিন্ন দিক চিন্তা করে লজ্জায় প্রেমের কথা বা ভাল লাগার কথা বলতে চায় না। আত্নদ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত হয়। মানসিক চাপ ভর করে। সাহস দিলে বলতে পারে। এ কাজটা মা করতে পারলে সব চেয়ে ভাল হয়। তবে কখনো রাগ করে নয়। এতে করে হিতে বিপরীত হবে। এ সময় ছেলে মেয়ের মধ্যে যেমন রাগ ও জেদ বেশি থাকে। তেমনি কোমল স্বভাবও থাকে।

এ সময় প্রেম নিয়ে ছেলেরা এক জন অন্যজনকে ক্ষেপায়। এমনও হয় যাকে সে অপছন্দ করে তাকে নিয়েও ক্ষেপায়। মেয়েদেরকে ছেলেরা বেশি বিরক্ত করে। কোন কোন সময় বড়রা মেয়েদেরকে প্রেম করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। মেয়েরা সমস্যায় শিকার হওয়ার পর সচরাচর বলতে চায় না। বলার কারণে আরও সমস্যার শিকার হবে ভেবে। মা যদি সাহস দিয়ে সব কথা খোলাখোলি জানতে চায় তবে বলবে। এক্ষেত্রে মা ভাল সিদ্ধান্ত দিতে পারে এমন উদাহরণ থাকতে হবে। না হয় কিছু কথা বলবে না। এজন্য মাকে সব সময় সতর্ক থাকতে হয় অযথা কাউকে কিছু যেন না বলে। আজকাল অনেক ছেলে ও মেয়ে দেখছি কোন ছেলে বা কোন মেয়ে বা এলাকার কে কি বলছে অথবা চিঠি দিয়েছে আদর্শ মা হওয়ার কারণে সব দেখাতে ও জানাতে সাহস পাচ্ছে এবং দেখাচ্ছে ও বলেও দিচ্ছে। যা-ই হোক, মা সন্তানকে ভবিষ্যতের কথা স্মরণ করিয়ে উৎসাহ দিতে পারে।
ছবিঃ ইন্টারনেট থেকে।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৯
১টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস শুধু দেশের রাজধানী মুখস্ত করার পরীক্ষা নয়।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:১৪

"আমার বিসিএস এক্সামের সিট পরেছিলো ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ, প্রিপারেশন তো ভালোনা, পড়াশুনাও করিনাই, ৭০০ টাকা খরচ করে এপ্লাই করেছি এই ভেবে এক্সাম দিতে যাওয়া। আমার সামনের সিটেই এক মেয়ে,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×