১। মেডিসিন ক্লাসে মানুষের যকৃত, প্লীহা কিভাবে স্বাভাবিক আকারে আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে শেখাচ্ছেন । রোগীর পেটে এজায়গায় ওজায়গায় টিপে টিপে স্যার পালপেট করা দেখাচ্ছেন । একপর্যায়ে স্যার বললেন , “এবার তোমরা নিজেদের পেট টিপে টুপে দেখো কিছু বুঝতে পারো কিনা???”
সবাই টিপাটিপি আরম্ভ করল । টিপাটিপির পর্ব শেষ হওয়ার পর স্যার তার কাছাকাছি দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছেলেকে জিজ্ঞাস করলেন, “কি, কিছু বুঝতে পারছ নাকি?”
ছাত্রঃ জী স্যার ।
স্যারঃ কি বুঝতে পারলা?
ছাত্রঃ আমার টয়লেট চাপছে স্যার, এইটাই বুঝলাম ।
২। আমার রুমের আশপাশ বেশ খোলামেলা, কাজেই মাঝে মাঝে চড়ুই পাখি রুমের মাঝে ঢুকে পড়ে । বেশিরভাগ সময়েই খুব অল্প সময়ের মাঝেই চড়ুই পাখি বেরিয়ে যায় । কিন্তু একদিন হল কি চড়ুইয়ের বদলে একটা দোয়েল পাখি ঘরের মাঝে ঢুকে পড়ল, কিন্তু দোয়েল পাখি নিদারুণ ব্যর্থতার পরিচয় দিয়ে বের হতেই পারল না । আলমারির উপর সিপিউ, জুতার বাক্সের বেড়াজাল পেরোতে কোন পারদর্শইতাই দেখাতে পারল না সেই দোয়েল, যেখানে চড়ুই কিনা মুহূর্তেই ভেগে যায়......
ভাগ্যিস আমি বুদ্ধিজীবি না, তা না হলে “একটা দেশের জাতীয় পাখি এতটা বুদ্ধি বৃত্তিক বিকলতার শিকার কেন হবে???” শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে ফেলতাম!
৩ । একজন প্রভাবশালী(প্রকৃত অর্থেই গালি অর্থে “শালী”) এমপি মনোনীত হলেন । এমপি হয়েই তিনি নিজ উপজেলার বিভিন্ন ক্ষেত্রে এমন ভাবে টাকা খাওয়া আরম্ভ করলেন যে কিছুদিন টাকা খাওয়া যায় এমন কোন ক্ষেত্রই আর বাকি থাকল না । এমতাবসথায় এমপি সাহেবা একদিন ঢাকায় গেলেন দলনেত্রীর সাথে দেখা করতে, তো তিনি করলেন কি ঢাকা থেকে এসেই তিনি পুরোজেলার বিভিন্ন ইভেন্ট থেকে ইনভেন্টিভ উপায়ে টাকা খাওয়া শুরু করলেন । তার এই আকস্মিক উন্নতিতে তার কাছের একজন এর কারণ জিজ্ঞাসা করলেন । প্রথমে নে ত্রীর নির্দেশ” বলে শেষ করতে চাইলেও পরে বললেন,
“নেত্রী আমাকে পুরো জেলার দায়িত্ব নিতে বলেছেন......”(বাস্তবেরছায়া অবলম্বনে একটি তথাকথিত কাল্পনিক কৌতুক)
৪ । ছোটভাই বড়ভাইয়ের কাছে ইয়ারফোন ধার নিতে এল । ইয়ারফোনের তারের বেহাল পেঁচানো অবস্থা দেখে ছোটভাই রেগে গেল.........
ছোটভাইঃ ইয়ারফোনের তার এত পেইচ্চা গেছে কেন? এমনে কেউ ইয়ারফোন ইউজ করে???
বড়ভাইঃ না মানে, ক্রিস্টোফার নোলানের একটা ফিল্ম দেখতে ছিলাম তো, কাহিনীর প্যাচ বুঝতে গিয়া কখন যে ইয়ারফোন পেইচ্চা গেছে বুঝতারিনাই!
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে অক্টোবর, ২০১২ রাত ৯:২৮