somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধারাবাহিক মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-১৫

১৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ৮:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ইসলাম নিমূলে মিডিয়া সন্ত্রাস

ইহুদী মিডিয়া ও তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব প্রতিক্রিয়া

১৮৯৭ সালে সুইজারল্যান্ডের প্রসিদ্ধ শহর ‘ব্রাসেলসে’ হাটিজেলের নেতৃত্বে তিনশ ইহুদী বুদ্ধিজীবি, চিন্তাবিদ, ও দাশনিকদের এক বিশ্ব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়, তাতে গোটা বিশ্বের ওপর ইহুদী নেতৃত্ব কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা করা হয়। এই পরিকল্পনা ইতিমধ্যে পুস্তক আকারে বিশ্বে প্রকাশিক হয়েছে। এই পরিকল্পনাকে ‘ইহুদী বুদ্ধিজীবিদের দস্তাবেজ’ও বলা হয়।প্ল্যান পরিকল্পনা তৈরিতে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ত্রিশটি ইহুদী সংগঠনের তিনশ’ মেধাবী ও চৌকস সদস্য অংশ নেয়।তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, গোটা বিশ্বের ওপর ক্ষমতা ও কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যেমনিভাবে স্বণভার দখল করা জরুরী, তেমনিভাবে প্রচার মাধ্যমের ওপর কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করাও মৌলিক কতব্য। উল্লিখিত সম্মেলনে গৃহীত দ্বাদশতম দস্তাবেজে সাংবাদিকতার অসাধারণ গুরুত্ব ও প্রভাব প্রতিক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে।গোটা বিশ্বের ওপর কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যেমনিভাবে স্বণভার দখল করা অতীব গুরুত্বপূণ, যেমনিভাবে প্রচার মাধ্যমকেও আমাদের উদ্দেশ্য অজনের জন্য দ্বিতীয় মৌলিক গুরুত্বপূণ উপাদান ভাবতে হবে। আমরা মিডিয়ার অবাধ্য ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে তার বাগডোর স্বীয় কবজায় রাখবো।আমরা আমাদের শত্রুদের হাতে এমন কোন কাযকর ও শক্তিশালী সংবাদপত্র থাকতে দেবো না, যার মাধ্যমে তারা তাদের মতামত সক্রিয়ভাবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করতে পারে। আর না আমরা তাদের এমন যোগ্য হতে দেব, যাতে তারা আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে কোন সংবাদ সমাজ পযন্ত পৌছাতে পারে। আমরা এমন আইন প্রণয়ন করব, যাতে কোন প্রকাশক বা প্রেস মালিক আমাদের অনুমতি ছাড়া কোন বিষয় ছাপতে পারবে না। এভাবে আমরা আমাদের বিরুদ্ধে যে কোন ধরণের ষড়যন্ত্র কিংবা শত্রুতামূলক প্রোপাগান্ডা সম্পকে অবগত হয়ে যাব। আমাদের আয়ত্বে এমন সংবাদপত্র ও প্রকাশনা থাকবে, যা বিভিন্ন গ্রুপ, দল, পাটি ও সম্প্রদায়কে সমথন দেবে। এসব দল পাটি ও সম্প্রদায় গনতন্ত্রের প্রবক্তা কিংবা বিপ্লব সমথক হোক। এমনকি আমরা এমন সংবাদপত্রের পৃষ্টপোষকতাও করব, যা অনৈক্য, বিপদগামিতা, যৌন সুড়সুড়ি, নৈতিক অবক্ষয়, স্বৈরচারী রাষ্ট্র জালেমে স্বৈর শাসকদের প্রতিরোধ ও সমথন করবে।আমরা যখন যেখানে ইচ্ছা জাতিগোষ্ঠীসমূহের চেতনা উত্তেজিত করব আবার যখন ভাল মনে করব তখন ঠান্ডা করে দেব। এর জন্য সত্য মিথ্যা উভয়েরই আশ্রয় নেব। আমরা এমনভাবে সংবাদগুলো উপস্থাপন করব যাতে জাতি গোষ্ঠী ও সরকার তা গ্রহন করতে বাধ্য হবে। বিরাট ধুমধাম ঢাক-ঢোল পিটিয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়া থেকে খুব সতকতা অবলম্বন করব। আমাদের সাহিত্য ও সংবাদগুলো হিন্দুদের দেবী বিঞ্চুর হবে, যার শত শত হাত রয়েছে। আমাদের প্রেস-প্রকাশনা মৌলিক কাজ হবে, বিভিন্ন প্রবন্ধ নিবন্ধ ও কলামের মাধ্যমে জনমত গঠন করা। আমরা ইহুদীরা এমন সম্পাদক পরিচালক সাংবাদিক ও রিপোটারকে সাহস যোগাবো এবং উৎসাহ দেবো যারা হবে দুশ্চরিত্র এবং যাদের অতীত অপকম ও দুষ্কমের রেকড রয়েছে। ঠিক একই পদ্ধতি গ্রহণ করব দুশ্চরিত্র রাজনৈতিক লিডার ও স্বৈরচারী শাসকদের ক্ষেত্রেও। এদের আমরা খুব কভারেজ দিয়ে বিশ্ববাসীর সামনে হিরো বানিয়ে উপস্থাপন করবো, কিন্তু আমরা যখন উপলব্ধি করতে পারব, তারা আমাদের হাত থেকে বের হয়ে যাবার চেষ্টা করছে, তখন আমরা তাদের এমন শিক্ষা দেব যা অন্যদের জন্যও শিক্ষনীয় হবে।আমরা সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে ইহুদী প্রচার মাধ্যমগুলো নিয়ন্ত্রন করব।আমরা বিশ্ববাসীকে যে রঙ দেখাব, তাদের তাই দেখতে হবে।অপরাধ সংক্রান্ত সংবাদগুলো অসাধারণ গুরুত্বের সাথে বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করব, যাতে পাঠক মেধা মনন প্রস্তুত হয়ে সেও অপরাধীর সহমমী হয়।
ইহুদীরা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য অসাধারণ মেধার সাথে বিভিন্ন ময়দানে বিচরণ শুরু করে। সবপ্রথম তারা প্রচারের মাধ্যমের আশ্রয় নিয়ে বিশ্ববাসীর সামনে তাদের বৈশিষ্ট্য (লাÃনা, বদস্বভাব, লোভ-লালসা, কঠোর হৃদয়, অনিষ্টকারিতা, মানবতার সাথে শক্রুতা) পরিবতন করে, নিজেদের মজলুম অত্যাচারিত প্রমাণ করা এবং নিজেদের বৈশিষ্ট্য আরবদের মাথায় চাপিয়ে দেয়ার প্রাণান্তকর প্রয়াস চালিযেছে। মূল কথায়, ইহুদী মিডিয়া স্বীয় জাতির কুৎসিত চেহারা প্লাস্টিক সাজারীর মাধ্যমে সুন্দর বানাতে নিজেদের সম্ভাব্য সকল শক্তি সামথ ব্যয় করেছে। এটি কোন সহজ ও সাধারণ কাজ ছিল না। কারণ শাতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ইহুদীদের প্রতারণা, ধোকাবাজী, মানবতার সাথে শত্রুতা, অনিষ্টকারিতা ও ষড়যন্ত্রের কালিমায় ইসলামী, খ্রস্ট্রীয় ও মানবেতিহাস পূণ হয়ে আছে। তাইতো পাস্টিক সাজারী ছাড়া তাদের উদ্দেশ্য অজন সম্ভব ছিল না।বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশকে ইহুদীরা তাদের পরিকল্পনায় তেমন একটা সফলতা অজন করতে পারেনি, কিন্তু অথনৈতিক ক্ষেত্রে বিরাট সাফল্য তাদের চূড়ান্ত লক্ষের অতি নিকটে পৌছে দিয়েছে। বৃট্রিশ সাম্রাজাদের সহযোগিতায় আরব বিশ্বের হৃৎপিন্ডে তাদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। কারণ সব প্রথম তারা ইউরোপীয় ও মাকিন জাতির দৃষ্টিতে নিজেদের একটি মজলুম নিযাতিত জাতি হিসাবে প্রমাণ করতে সফল হয়েছে। অপর দিকে তাদের সকল জাতীয় বৈশিষ্ট্য আরব ও মুসলমানদের মাথায় চাপিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে।

মাকিন মিডিয়া ও চলচ্চিত্র শিল্পের ওপর ইহুদীদের একক আধিপত্য

আমেরিকা মহাদেশে ওপর ইহুদীদের প্রভাব প্রতিপত্তির বিস্তারিত বিবরণ প্রসিদ্ধ মাকিন লেখক হেনরী ফোড স্বরচিত ‘ইহুদীদের থেকে মানবতার শংকা’ নামক গ্রন্থে তুলে ধরেছেন।এই হেনরী ফোড সে ব্যক্তি, যিনি ব্যক্তিগত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টার মাধ্যমে মোটর তৈরি শিল্পের বিকাশ ঘটান।তার নিমিত ফোড মোটর গাড়ী গুণগত মানসম্পন্ন হওয়ার কারণে গোটা বিশ্বে অসাধারণ জনপ্রিয়তা ও প্রসিদ্ধি লাভ করে।হেনরী ফোড যখন তার কোম্পানীর উন্নতি, অগ্রগতি ও বিকশিত হওয়ার পদে পদে ইহুদীদের প্রভাব প্রতিপত্তি দ্বারা বাধাগ্রস্ত ও ধোকা প্রতারণার সম্মুখীন হতে লাগলেন, তখন অনেকটা বাধ্য হয়ে তিনি মাকিন যুক্তরাষ্ট্রের শীষ স্কলার ও গবেষকদের সহায়তায় আমেরিকা মহাদেশে ইহুদীদের অসাধারণ প্রভাব প্রতিপত্তির কারণ উপকরণ, অথনৈতিক পলিসি এবং অ-ইহুদীদের সাথে তাদের আচরণ ও কমপদ্ধতি সম্পকে বিস্তারিত একটি প্রতিবেদন তৈরি করেন। এ কাজের জন্য তিনি সে সময় বিশ লক্ষ ডলার ব্যয় করেন। প্রতিবেদন তৈরি হওয়ার পর ফোডের কোম্পানীর মুখপাত্র ‘ডেরবন ইন্ডিপিন্ডেড’ যখনই প্রথম কিস্তি প্রকাশিত হয়, সাথে সাথে ইহুদীদের মধ্যে হৈ চৈ শুরু হয়ে যায়। চতুদিক থেকে ফোডের ওপর চাপ আসতে থাকে। ইহুদীদের প্রভাবাধীন সংবাদপত্রের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অপ্রপ্রচারের তুফান সৃষ্টি হতে থাকে, এমনকি হত্যার হুমকি পযন্ত দেয়া হয়। বাধ্য হয়ে ফোড গবেষনামূলক এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ বন্ধ করে দেন, কিন্তু পরে সেই প্রতিবেদন গ্রন্থকারে বাজারে আসে। এ গ্রন্থ প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে ইহুদীরা সবগুলো কপি ক্রয় করে বিনষ্ট করে ফেলে। গ্রন্থের যেসব কপি লাইব্রেরীতে ছিলম সেগুলো অতি চতুরতার সাথে চুরি করে বিনষ্ট করে ফেলে, কিন্তু প্রসিদ্ধ মাকিন সাংবাদিক ও ফোডের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জেরাল্ড কে স্মিথ এর কাছে এ গ্রন্থের দুটি কপি সংরক্ষিত ছিল, যা ফোড সৌজন্য হিসাবে তাকে দিয়েছিলেন।ফোড তাকে ওসিয়ত করেছিলেন, আমার মৃত্যুর পর গ্রন্থটি অবশ্যই প্রকাশিত হওয়া উচিত, যাতে আমেরিকা ও বিশ্ব মানবতা ইহুদীদের ধ্বংসাত্মক ষড়যন্ত্র থেকে সতক হতে পারে। এই গ্রন্থ পরবতীতে লন্ডন থেকে প্রকাশিত হয়। এর আরবী অনুবাদ ‘আল ইহুদী আল আলমী’ নামে বৈরুত থেকে ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে।ফোড মাকিন সমাজের ওপর ইহুদীদের অসাধারণ থাবা এবং তাদের ব্যাপক প্রভাব প্রতিপত্তির বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেন, মাকিন সমাজে যেখানেই নৈতিক অধঃপতন ও ধ্বংস বিশৃঙ্খলা পাওয়া, তার অন্তরালে ইহুদীদের কালো হাত রয়েছে। মদ, জুয়া, বদকাজ, ঘুষ, যৌন ও আথিক ক্রাইম, হত্যা, লুন্ঠন, সন্ত্রাস, ডাকাতি, রাহাজানি, জাতি গোষ্ঠীসমূহের মাঝে রক্তপাত সৃষ্টি, লড়াই যুদ্ধ বাধানো, বিধ্বসী সমরাস্ত্র নিমাণ মোট কথা সকল অনৈতিক ও মারবতাবিরোধী কমকান্ডে ইহুদীদের অংশ গ্রহন শতকরা আশি থেকে নব্বই ভাগ।
ফোড মাকিন চলচ্চিত্র ও সংবাদ পত্র শিল্পের পযালোচনা করতে গিয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে লেখেন, ১৮৮৫ সালের পূবে এ ময়দানের সাথে ইহুদীদের দূরতমও কোনো সম্পক ছিল না, কিন্তু ইহুদীদের আগমনের সাথে সাথেই চলচ্চিত্র, মিডিয়া ও ব্যবসা বাণিজ্যের ওপর তাদের একচ্ছত্র কতৃত্ব প্রতিষ্ঠা হয়ে যায়। তারা অথের সাহায্যে সকল ময়দানে আধিপত্য বিস্তার করে ফেলে। ১৮৮৫ সালের পূবে মাকিন সমাজে নগ্নতা, অশ্লীলতার ও বদকাজের অস্তিত্ব ছিল অতি নগণ্য। কিন্তু ইহুদী জাতি নাটক, গ্রামোফোন, টেপ রেকডার এবং পরবতীতে চলচ্চিত্র ও সংবাদপত্র শিল্পের মাধ্যমে মাকিন সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। ১৮৯৪ সালে যখন এক সমালোচক স্বীয় পত্রিকায় চলচ্চিত্র শিল্পের ওপর ইহুদীদের একচেটিয়া ইজারাদারী এবং নাটক ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নৈতিকতার ধ্বসে অনৈতিকতার বিস্তার ও বিকাশ ঘটানোর ইহুদীবাদী ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন করেন, তখন ইহুদীরা উত্তেজিত হয়ে তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে।এই ঘটনায় ইহুদী পুঁজিপতিরা উক্ত পত্রিকার বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেন। শেষ পযন্ত পত্রিকা মালিক সেই সমালোচককে চাকরি থেকে বিদায় করে ইহুদীদের নিকট ক্ষমা প্রাথনা করেন। এরপরই ইহুদীরা আবার সংশ্লিষ্ট পত্রিকাটিতে তাদের বিজ্ঞাপন চালু করে।একই অবস্থা হয়েছিল সে সময়ের প্রসিদ্ধ দৈনিক নিউইয়ক হেরাল্ডের। হেরাল্ডের সম্পাদক জেমস গডন প্রাণপন চেষ্টায় তার পত্রিকাটিকে ইহুদীদের প্রভাব প্রতিপত্তি ও চাপ থেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু সূচতুর প্রতারক ইহুদীরা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে তার ও তার পত্রিকার মুখ বন্ধ করে দেয়। মালিকের ইন্তেকালের পর পত্রিকাটি ইহুদীদের প্রতারণা ও ষড়যন্ত্রের সামনে টিকতে না পেরে বন্ধ হয়ে যায়।প্রসিদ্ধ মাকিন পত্রিকা ইন্ডিপেন্ডেন্ড ক্রিশ্চিয়ান ১৯৩০ সালে মাকিন সিনেমা জগতে ইহুদীদের আধিপত্য সম্পকে পযালোচনা করতে গিয়ে লেখেছে, হলিউড নতুন যুগের ‘সাদুম’। সাদুম ওই অঞ্চল, প্রকৃতি বিরোধী অনৈতিক কমকান্ডের কারণে যা উল্টে দেয়া হয়েছিল এবং উল্টে দেয়ার পূ্বে সেখানে পাথর বৃষ্টি বষন করা হয়েছিল। হলিউড সকল অন্যায়, অনৈতিকতা ও অকল্যাণের কেন্দ্র। গোটা বিশ্বে এখান থেকেই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অশ্লীলতা, নিলজ্জতা ও অপরাধমূলক কমকান্ড সুন্দর মোড়কে সুন্দর সুন্দর পরিভাষায় প্রসার হচ্ছে। ফলে পুরুষদের পুরুষত্ব ও নারীদের নারীত্ব বিদায় নিচ্ছে। অপরাধী ও বদকার তৈরির এ কারখানা অতি দ্রুত বন্ধ করে দেয়া উচিত। এভাবে হেরাল্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর পরই ইহুদীরা মিডিয়ার ওপর তাদের মজবুত থাবা প্রতিষ্ঠা করে। তাদের চিন্তা ছিল মিডিয়ার আধিপত্য বিস্তার করেই পুরো বিশ্বে শাসন ক্ষমতা পরিচালনা সম্ভব।

বিশ্ব মিডিয়ায় ইহুদীদের একচ্ছত্র প্রভাব

ইহুদী বুদ্ধিজীবিরা তাদের দ্বাদশতম প্রটোকলে সাহিত্য ও সাংবাদিকতার ওপর অসাধারণ গুরুত্বারোপ করে দাবী করেছিল, আমাদের সরকারগুলোর প্রচেষ্টা হবে মিডিয়ার ওপর একচ্চত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করা। যদি অ-ইহুদীরা দশটি পত্রিকা বের করে তাহলে আমরা তার মোকাবেলায় ত্রিশটি পত্রিকা বের করব।লোকদের একথা স্বীকার করতে হবে, আমরা ইহুদীরাই মিডিয়ার একক মালিক।মিডিয়ার মাধ্যমে আমরা অ-ইহুদীদের এমন জালে আটকে দেব, যার কল্পনাও তার করতে পারবে না। ইহুদী মিডিয়ার রাজত্ব শুধু আমেরিকা, ইউরোপ ও ফ্রান্স পযন্ত সীমাবদ্ধ নেই, বরং দুনিয়ার সকল দেশ ও মহাদেশের রাজধানী, প্রসিদ্ধ অ-প্রসিদ্ধ সকল শহরেও তার রাজত্ব ছড়িয়ে পড়েছে। এটি তাদের ১২তম দস্তাবেজের বাস্তব রুপ। গোটা মাকিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবমোট ১, ৭৫৬ টি দৈনিক এবং ৬৬৮টি সাপ্তাহিক পত্রিকা বের হয়। নিউইয়ক পোষ্ট, শিকাগো সান টাইমস, ওয়াশিংটন পোষ্ট, ওয়াল স্ট্রীট জানাল, ডেইলী নিউজ, সান টাইমস, স্টার লেজার, নিউইয়ক টাইসমস, এ্যারোজোনা নিউজ টাইম, নিউজউইক এবং রিডার ডাইজেস্টের মতো আন্তজাতিক পত্রিকা ইহুদীদের। নিম্নে আমরা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে ইহুদী পরিচালিত কিছু সংবাদ পত্রের সংখ্যা উল্লেখ করব যা এখন থেকে ১৬/১৮ বছর আগের জরিপে উল্লেখ করা হয়েছিল।আমেরিকায় ইহুদী পরিচালিত ৬১০টি সংবাদপত্র রয়েছে। বতমানে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি। অস্টেলিয়ায় ১৩টি, বেলজিয়ামে ১২টি, বলগেরিয়া ৪টি, চেকোশ্লেভাকিয়া ৫টি, ডেনমাক ১২টি, ফ্রান্স ৮০টি, হল্যান্ড ৭টি, জামানী ১৩টি, বৃটেন ১০৭টি, তুরস্ক ১০টি, গ্রীস ১০টি, ইটালী ৬টি, হাঙ্গেরী ৮টি, নরওয়ে ১৪টি, পোল্যান্ড ২১টি, ইরান ১টি, রুমানিয়া ১৩টি, রাশিয়া ১৮টি, সুইডেন ১৩টি, সুইজারল্যান্ড ২০টি, কানাডা ৩৭টি, যুগোশ্লাভিয়া ৬টি, আলজেরিয়া ৯টি, কেনিয়া ৫টি, মরক্কো ৮টি, দক্ষিণ আফ্রিকা ৫১টি, ভারত ৪টি, ইসরাইল ৪৪২টি, ফিলিপাইন ৯টি, সিংগাপুর ১০টি, নিউজিল্যান্ড ৫৫টি সাংবাদপত্র রয়েছে ইহুদী মালিকানাধীন।
শুধু একটি পরিবার নিউ হাউস ফ্যামেলী গ্রুপই ৪৮টি দৈনিক এবং ২০টি প্রসিদ্ধ সাপ্তাহিক পত্রিকার মালিক। যেগুলো উত্তর আমেরিকার ৮৯টি শহর থেকে শুধু স্বদেশী ও হিব্রু ভাষায় প্রকাশিত হয়। এর দ্বারাই বিশ্বব্যাপী ইহুদীদের মিডিয়ার শক্তি সম্পকে অনুমান করা যায়।এসব মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইহুদীরা মাকিন সাম্রাজ্যবাদের ঘাড়ে সওয়ার হয়ে বিশ্ব মুসলিমদের বিরুদ্ধে লাগাতার মিডিয়ার ক্রুসেড চালিয়ে যাচ্ছে।

সাম্রাজ্যবাদী মিডিয়ার রিপোটিং পদ্ধতি, মগজ ধোলাই ও বাস্তবায়ন

উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের মাঝে বোঝাপড়া , যোগাযোগ ও সম্পক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আন্তজাতিক মিডিয়ার ভূমিকার প্রতি দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায় তাদের মিডিয়া ক্রুসেডের ভন্ডামী। যদিও তারা দাবী তাদের সংবাদ ও রিপোটিং পদ্ধতি নিরপেক্ষ পলিসির ওপর নিভরশীল। কিন্তু বাস্তব অবস্থায় দেখা যায়, সাধারণত অবস্থা, পরিবেশ, পরিস্থিতি, ঘটনা ও বাস্তবতাকে বিকৃত করে উপস্থাপন করে, অথবা সুন্দর, চিত্তাকষক, হৃদয়গ্রাহী ভঙ্গিতে মিথ্যাকে সত্য এবং সত্যকে মিথ্যা বানিয়ে উপস্থাপন করে। বিশেষভাবে ইসলামী বিশ্বের সাথে সহযোগিতার পরিবতে এমন পরিবেশ সৃষ্টি করে, যার দ্বারা অভ্যান্তরীণ দ্বন্ধ সংঘষ ও অনৈক্য আরো বিস্তার লাভ করে। সেসব দেশের অতি তুচ্ছ দুবলতার ছাইচাপা অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ও গোপন অনৈক্যগুলো এমনভাবে বাড়িয়ে চাড়িয়ে উপস্থাপন করে মনে সেটাই দেশের মৌলিক সমস্যা। জাতীয় ব্যক্তিত্ব, নিষ্কলুষ নেতৃবৃন্দ এবং উন্নত চরিত্রের পথপ্রদশকদের চরিত্র হননের কাজও থেমে থেমে চলতে থাকে। সাম্রাজ্যবাদী নীতিনিধারকরা তাদের ষড়যন্ত্রপূণ পরিকল্পনা সবদিক দিয়ে প্রস্তুত করে নিউজ এজেন্সিগুলো, সংবাদপত্রের কাছে পেশ করে। অতঃপর এক নিধারিত সময় পযন্ত এজেন্সী বা সংবাদ মাধ্যম গুলো সেই পরিকল্পনার বিভিন্ন দিক নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও অথনৈতিক বিশেষজ্ঞ, কূটনীতিক ও সাংবাদিকদের দিয়ে সেই পরিকল্পনা বিশ্লেষন ও পযালোচনা করানো হয়। সেই পরিকল্পনার সমথনে পতিত কিছু লোককে ফুটপাত থেকে ধরে এনে সমাজকমী এবং ইউনিভারসিটির প্রফেসরদের চিন্তাবীদ, বুদ্ধিজীবি ও জাতীয় প্রতিনিধি বানিয়ে তাদের সাক্ষাৎকার ও বিবৃতি নেয়া হয়। এভাবে ধীরে ধীরে সেই পরিকল্পনার প্রতি এক বিশেষ জনমত সৃষ্টি হয়ে যায়, যার প্রতিক্রিয়া সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানা যায়।এরপর দ্বিতীয় পযায়ে সে পরিকল্পনা পরবতী অংশ বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়। এ স্তরকে ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গিতে অগ্রসর করানো হয়।এই স্তরে আশংকা, সম্ভবনা এবং কখনো সুস্পষ্ট বিদ্রোহ, দ্বন্ধ, সংঘষ ও সশস্ত্র আন্দোলন আহবানও জানানো হয়। উদাহারণ স্বরুপ, বাহ্যিক দৃষ্টিতে যদিও তার সাথে কারো কোন বিরোধ নেই, কিন্তু দৃঢ় সম্ভবনা আছে, অমুক অমুক ব্যক্তি তার বিরোধীতা করতে পারে। কারণ জনসাধারণের মাঝে তার অবস্থান শক্তিশালী। যুদ্ধের সম্ভবনা তো নেই, কিন্তু গেলিরা যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার সংশয় বেড়ে গেছে। কারণ ভৌগোলিক অবস্থা এ ধরণের যুদ্ধের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বতমানে তার সরকারের কোন সংকট নেই, কিন্তু পরবতীতে মুসলিম ব্রাদারহুডের পক্ষ থেকে সংকট সৃষ্টির আশংকা রয়েছে। এজন্য সরকারের উচিত এখনই ধমীয় দলগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা।এই বিস্ফোরণ কে ঘটিয়েছে? তৎক্ষনাত তো বিষয়টি জানা যায় নি, কিন্তু রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এ বিস্ফোরণের পেছনে কট্টরপন্থীদের হাত থাকতে পারে । কারণ কিছু দিন ধরে এই গোষ্ঠী মসজিদে মসজিদে সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখছে।বিদেশী পযটকদের ওপর যে হামলা হয়েছে যদিও তৎক্ষনাত হামলাকারী শনাক্ত করা যায়নি, কিন্তু আমাদের কুটনৈতিক সংবাদদাতা, সরকারী সূত্র ও স্বাধীন সূত্রে আমাদেরকে এই সংবাদ দিয়েছে, এর পেছনে ইসলামী সংগঠনের হাত রয়েছে। এরাই সেই মৌলবাদী, যাদের নারীরা পদা করে। এসব লোক মাকিন ও ইউরোপীয়ান পযটকদের আগমনকে দ্বীনি দিক দিয়ে হারাম মনে করে।পশ্চিমা দেশগুলো ইসলামী বিশ্বের ওপর সামরিক হামলার পরিবতে মিডিয়াকে অস্ত্রের মযাদা দিয়েছে। এই মিডিয়াকে তারা এমন সামরিক দক্ষতার সাথে প্রয়োগ করে যে, ঘরে বসেই বিশেষ করে ইসলামী বিশ্বে জনগণ ও সরকারকে প্রতিপক্ষ হিসাবে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘষ সৃষ্টি করায়। ইসলামী বিশ্বের পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে উল্লিখিত কৌশলের ভূরি ভূরি দৃষ্টান্ত রয়েছে।
এক জরিপে দেখা যায়, মাকিন মিডিয়ার সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ৯০% অনুষ্ঠানে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও প্রচারণা চালানো হয়।ভয়েস অফ আমেরিকা, বিবিসি, রেড়িও ইসরাইল, এবং মস্কো থেকে সম্প্রচারিত প্রোগ্রামসমূহে ফিলিস্তিন, সুদান, সিরিয়া, ইরাক, ইরান, লেবানন ও আরব বিশ্বসহ মুসলিম বিশ্বের সামাজিক ও ধমীয় ব্যক্তিত্বকে প্রতিনিয়ত টাগেট বানানো হয়। ধম©পন্থীদের পশ্চাদপদ, কট্টরপন্থী ও মৌলবাদী বলে গালী দেয়া হচ্ছে এবং তাদের অস্তিত্বকে সভ্যতা সংস্কৃতি ও উন্নয়ন উৎকষের জন্য বিপজ্জনক আখ্যা দেয়া হচ্ছে। প্রেপাগান্ডা চালানো হচ্ছে, আরব জাতির প্রধান ব্যস্ততা বিলাসিতা, অন্ধ চিন্তাধারা, মদ-জুয়া ও যৌনতা। পাশ্চাত্যের যদি কারো থেকে কোনো ভয় থাকে, তাহলে তা ধমীয় গোঁড়াদের পক্ষ থেকে, যারা বিজ্ঞান প্রযুক্তিগত উৎকষের শক্র। তারা ঘড়ির কাঁটা পেছনে নিয়ে যেতে চায়। পক্ষান্তরে ইহুদী ও খৃস্টানরা সভ্য ও উন্নত জাতি। পশ্চিমা নিউজ এজেন্সিগুলো ইসলামী বিশ্ব সম্পকে কি ধরণের রিপোটিং করে এবং টিভি কোম্পানীগুলো কিভাবে মস্তিষ্ক ধোলাই ও জনমত গঠন করে, তার একটি সংক্ষিপ্ত চিত্র পেশ করা হলো।
* ১৯৮৩ সালে মাকিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির হত্যার পর পশ্চিমা বিশ্বে আরব বিশ্বের বিরুদ্ধে উত্তাল ভূমিকম্প শুরু হয়।এই হত্যাকান্ড শুরু শেষ পযন্ত ইহুদীদের কালো হাত ছিল, কিন্তু প্রকৃত হত্যাকারীকে আড়াল করে ইহুদী মিডিয়া এই ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে। ইহুদী মিডিয়া বাশারা সারহান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যাকারী আখ্যা দিয়ে আরব বিশ্ব ও ইসলামের বিরুদ্ধে তুফান শুরু করে দেয়। সেই নিরপরাধ বাশারা সারহান দীঘ বত্রিশ বছর ধরে হত্যার আসামী হিসাবে জেলের অভ্যান্তরে ফাঁসির অপেক্ষায় রয়েছেন।
* ১৯৭১ সালে মিসর-ইসরাইল যুদ্ধের পর শাহ ফয়সাল যখন পশ্চিমা জগতকে তেল বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেন, তখন পশ্চিমা মিডিয়া তাঁর বিরুদ্ধে মহা অভিযান শুরু করে। তাঁর পরিবারের চরিত্র হননের জন্য একাধিক চলচ্চিত্র নিমাণ করা হয়। শেষ পযন্ত একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে শাহ ফয়সালকে হত্যা করা হয়। শাহ ফয়সালের শাহাদাতের সংবাদ সবপ্রথম সংবাদ সংস্থা রয়টার বিশ্ববাসীর সামনে পেশ করে।সংবাদের ধরণ ছিল এরকম, ‘বাদশাহ ফয়সাল ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ উপলক্ষে দরবারে লোকদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে তাঁরই পরিবারের এক যুবকের হাতে শাহাদাত বরণ করে।’ এই সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে পশ্চিমা মিডিয়া বিশ্বকে এই প্রতিক্রিয়া দিতে চেষ্টা করেছে, যে নবীকে গোটা পৃথিবীর জন্য রহমত বানিয়ে প্রেরণ করা হয়েছে এবং যাকে শান্তি সম্প্রতির পয়গাম বানানো হয়েছে, সে নবীর জন্ম দিনে এক মুসলমান আরেক মুসলমানকে হত্যা করেছে।এটা তাদের জন্য কোন বিষয়ই নয়। এ ধমের অনুসারীদের জন্য এ ধরণের কমকান্ড একটি অতি সাধারণ বিষয়।এ মমান্তিক ঘটনার পরই পশ্চিমা মিডিয়া ইসলাম ও মুসলমানদের ইতিহাস থেকে কট্টরপন্থা উগ্রতার বিভিন্ন ঘটনাবলী খুঁজে খুঁজে বের করে বিভিন্ন প্রবন্ধ নিবন্ধ ও সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে মগজ ধোলায়ের নাপাক প্রচেষ্টা শুরু করে।পশ্চিমা মিডিয়ার মৌলিক উদ্দেশ্য হলো, শক্রকে বিভ্রান্তি কিংবা আত্মতৃপ্তিতে লিপ্ত করে তার ধম ও সভ্যতার ব্যাপারে সন্দেহ সংশয় সৃষ্টি করা। পরবতীধাপে শক্তিশালী ভঙ্গিতে নতুন হামলা চালানো, যাতে সন্দেহ সংশয়ের স্তর অতিক্রম করে আপন দ্বীন ধম, আকিদা বিশ্বাস, সভ্যতা সংস্কৃতি, স্বদেশের মানুষ ও ইতিহাস ঐতিহ্যের বিরুদ্ধে ঘৃনার বীজ রোপন করে দেয়া যায়। জ্ঞান-গবেষনা বিষয়েও তারা একই পদ্ধতি ধরণ গ্রহন করেছেন।ইহুদী মিডিয়া ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে সামান্য বিরতি দিয়ে দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করাকে নিজেদের একটি মৌলিক উদ্দেশ্য সাব্যস্ত করে নিয়েছে। এ জন্য অত্যন্ত গভীর দক্ষতা ও সূক্ষতার সাথে এমন সূদুরপ্রসারী পরিকল্পনা তৈরি কর, যাতে লোকেরা এই পরিকল্পনার গভীরে যাওয়া তো দূরে থাক, তার আশেপাশেও যেতে সক্ষম হয় না। তারা ইহুদীদের দক্ষ ও চাতুযপূণ পরিকল্পনার আপাতবাহ্যিক মোহিত হয়ে হুবহু সেটাই গ্রহণ করে নেয়।
* ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারী প্রথমবার বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, কিন্তু এই ঘটনাকে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে কিভাবে ব্যবহার করা যায়, কিভাবে এটাকে বাহানা বানিয়ে ইউরোপ আমেরিকায় বসবাসরত মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়ানো যায় এবং কিভাবে তাদের এদেশে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা যায় সেই প্রচেষ্টায় ইহুদী মিডিয়া একযোগে আদাজল খেয়ে ময়দানে আবিভূত হয়।শুধু তাই নয়; বরং এ দাবীও উত্থাপন করা হয়, এমন মুসলমানদের অস্তিত্ব ইহুদী, খ্রস্টান ও গোটা সভ্য দুনিয়ার জন্য ভয়াবহ বিপজ্জনক। বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্রে হামলার পূবে ধারাবাহিক দুই বছর ধরে ইউরোপ আমেরিকায় বসবাসরত মুসলমানদের দ্বীনি ও সামাজিক তৎপরতা, তাদের অথনৈতিক অবস্থান, ইউরোপ আমেরিকান সমাজে তাদের প্রভাব প্রতিক্রিয়া, মসজিদ, মাদ্রাসা এবং অন্যান্য ইসলামী দাওয়াতী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের ওপর অসংখ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নিমাণ করা হচ্ছিল। ভয়েস অফ আমেরিকা, সিবিএস, আইবিএস, নিউইয়ক টাইমস, টাইম নিউজইউক, ওয়াল স্ট্রীট জানাল এবং লস এঞ্জেলেস টাইমস তার সাংবাদিকদের তৈরিকৃত ফিচার, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকার প্রকাশের মাধ্যমে সাবিক দিক দিয়ে ইউরোপ আমেরিকায় মুসলমানদের উপস্থিতির সূদুরপ্রসারী ভয়াবহ প্রভাব-প্রতিক্রিয়া ও ফলাফলের বিচার বিশ্লেষন করে আসছিল। মুসলমানদের ব্যাপারে পশ্চিমা মিডিয়ার অসাধারণ আগ্রহ দেখে মাকিন মুসলমানদের এই ধারণা হয়ে গিয়েছিল, এটি একটি বড় ধরণের ঘটনার পূবাভাস ও ভূমিকা। এ জন্য ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিটি প্রেগ্রামের পর ইরানে অবস্থিত মাকিন দূতাবাস দখল, বোমা মেরে ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণকারী বিমান উড়িয়ে দেয়া, মিউরিখে এগারজন ইসরাঈলী খেলোযাড় ফিলিস্তিনীদের হাতে নিহত হওয়া ইত্যাদী ঘটনাগুলো অত্যন্ত ফলাও করে প্রচার করা হতো।এর মাধ্যমে তারা এই প্রতিক্রিয়া দেয়ার চেষ্টা করত, যদি মুসলমানরা ইউরোপ আমেরিকায় অবস্থান করে এবং তাদের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকে, তাহলে তারা এক সময় সরকারের গুরুত্বপূণ পদগুলো দখল করে নেবে।যেহেতু মুসলমানদের ধমে চার বিয়ে করার অনুমতি আছে সেহেতু তাদের সংখ্যাও অসাধারণ দ্রুততার সাথে বৃদ্ধি পাবে।ফলে তারাই এক সময় ব্যবসায় বাণিজ্য ও শিল্পের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে ফেলবে। অতএব মুসলমানদের ব্যাপারে সতক দৃষ্টি রাখা জরুরী।এভাবে মগজ ধোলাই করতে করতে পরবতীতে টুইন টাওয়ারে বিমান হামলা চালানো হয়।এ হামলার পর পরই ইসরাইলী সরকার কোন অন্যায় অপরাধ ছাড়াই অধিকৃত অঞ্চল থেকে ফিলিস্তিনি ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ও বিজ্ঞানীদের বহিস্কার করে।এই ঘটনায় বড় ধরণের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, কিন্তু টুইন টাওয়ারের মতো বড় ঘটনার এই বহিস্কারের ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায়।এই বহিস্কারের মাধ্যমে ইসরাঈল আমেরিকাকে একথা বলতে চেয়েছে, যেভাবে আমরা দেশদ্রোহী কমকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ফিলিস্তিনিদের বহিস্কার করেছি, তেমনিভাবে মাকিন সরকারের উচিত মাকিন মুসলমানদের দেশ থেকে বের করে দেয়া। টুইন টাওয়ারে হামলায় ইসরাঈলী গোয়েন্দা মোসাদ, সিআইএ এবং মিসরীয় গোয়েন্দা সংস্থা যৌথভাবে অংশ নিয়েছিল।ইহুদী মিডিয়া তখন সরকারের নিকট দাবী জানিয়েছিল, মুসলমানদের আমেরিকা আগমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ কুরুক। অবৈধভাবে বসবাসকারীদের এখান থেকে বের করে দেয়া হোক এবং আইন করে মাকিন পররাষ্ট্র দফতর কোন রকম তদন্ত ছাড়াই বিদেশীদের দেশ থেকে বের করে দিতে পারবে। সাধারণভাবে মাকিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত মুসলসমানদের বিরুদ্ধে কোন রিপোট ছিল না। অথচ এ হামলাকে ইহুদী মিডিয়া কি সুনিপুণভাবে আরবদের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেয়, মিডিয়ার সংবাদ শিরোনাম ও সংবাদ পযালোচনা থেকে সে কথা সহজেই অনুমান করা যায়।উদাহরণ স্বরুপ নিউইয়ক টাইমস এই হামলার পর প্রথম শিরোনাম করে ‘এক কট্টরপন্থী মুসলমান গ্রেফতার’, ইহুদী পুঁজিপতিদের পত্রিকা ওয়াল স্ট্রীট জানাল শিরোনাম করে ‘আমাদের বাগিচায় কট্টরপন্থা ও উগ্রতার বিষধর সপ বিদ্যামান’, অপর একটি মুখপত্র জিউস প্রেস শিরোনাম করে ‘ইসলামী মৌলবাদ সারা দুনিয়ার জন্য বিপজ্জনক’। ইহুদী বুলেটিন এ.ডি.এল সম্পাদকীয় শিরোনাম করে ‘হামাস ইসলামী জিহাদ ও ব্রাদারহুড আমেরিকার জন্য বিপজ্জনক’। টাইমস পত্রিকা তার প্রথম পৃষ্টায় মসজিদের মিনারকে বন্দুকের নলের আকারে উপস্থাপন করে শিরোনাম করে ‘মসজিদের মিনারও বন্দুকের নলের মতো কট্টর পন্থা,উগ্রতা ও হিংস্রতার প্রতিক। নিউজইউক শিরোনাম করে ‘হুশিয়ার! খবরদার!! মুসলমান মুজাহিদরা আসছে।’ ফরাসী পত্রিকা দি পয়েন্টে তার প্রথম পাতায় একজন বোরকাপরা নারী হাতে রাইফেল উঁচিয়ে আছে দেখিয়ে শিরোনাম করে, ‘মুসলিম নারীরাও কট্টরপন্থা ও উগ্রতার পতাকাবাহক’ কমবেশি এ ধরণের শিরোনাম, সাংবাদ, বিশ্লেষন, পযালোচনা, ছবি, কাটুন ও সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়। এসব অপ্রপ্রচারের মূল উদ্দেশ্য হলো-
১. মাকিন সমাজে রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও দ্বীনি পযায়ে মুসলমানদের তৎপরতা ও শক্তিকে দূবল করা।
২. যেহেতু চলমান শতাব্দীর শেষ প্রান্ত নাগাত আমেরিকায় খৃস্টানদের পরে মুসলমানদের অবস্থান হবে দ্বিতীয়।তাই রাজনীতি ও অথনীতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে। এ জন্য আরো অতিরিক্ত মুসলমানদের আমেরিকায় আগমণের পের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং তাদের নাগরিকত্ব দেয়ার ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টি করা। কারণ অধিকহারে মুসলমানদের আগমণ ও তাদের পুঁজি বিনিয়োগে ইহুদী স্বাথে আঘাত লাগবে।
৩. মাকিন সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, যাতে আরব ও ইসলামী বিশ্বের সক্রিয় শক্তিশালী ইসলামী প্রয়াসগুলো নিমূল করার জন্য তাদের সরকারকে বাধ্য করে এবং তাদের প্রদত্ত অথনৈতিক ও সামরিক সাহায্যে ইসলামপন্থীদের দমন ও নিমূলের শত জুড়ে দেয়।
৪. বিশেষ করে ইসলামী বিশ্বে এবং ইউরোপ-আমেরিকায় সাধারণভাবে ইসলামী জাগরণের বিরুদ্ধে জনমত সৃষ্টি করা, এতদুদ্দেশে ইসরাঈলকে বেশি থেকে বেশি সাহায্য, সহযোগিতা সমথন করা, বিশেষ করে সামরিক ও অথনৈতিক সহযোগিতার জন্য আমেরিকাকে উদ্বুদ্ধ করাই ইহুদী নিয়ন্ত্রিত পাশ্চাত্য মিডিয়ার উদ্দেশ্য।
* উপসাগরীয় যুদ্ধ অস্ত্রের ছিল না; বরং স্বয়ং মিডিয়া বিশেষজ্ঞগণ এ যুদ্ধকে মিডিয়ার যুদ্ধ নামে আখ্যায়িত করেছেন।এটি এমন যুদ্ধ, যাতে মিডিয়ায় লড়েছিল।এ যুদ্ধকে অস্ত্র বানিয়ে আরবদের থেকে কোটি কোটি ডলার উসূল করা হয়েছে, আবার তাদের ঘাড়ে চেপে বসার মহাসুযোগও লাভ করেছে।এই যুদ্ধে সাদ্দাম হোসাইনকে মাকিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের বড় শক্র আখ্যা দেয়া হয়।তার ন্যাশনাল গাডকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও অত্যুন্নত অভিজ্ঞ সেনাবাহিনী হিসাবে চিত্রিত করা হয়।যারা । অসাধারণ শক্তি ও প্রতিভা এবং সবোন্নত অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত।তাদের মোকাবেলার জন্য স্থলপথ, নৌপথ ও আকাশ পথে এ পরিমাণ সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র দরকার দরকার, যা আমেরিকার একার পক্ষে সম্ভব নয়; বরং ২১টি রাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীয় তা আঞ্জাম দিতে পারে।ইরাকের সাদ্দাম হোসাইনের ন্যাশনাল গাডের ভয়ানক বিপজ্জনক চিত্র পেশ করে পশ্চিমা মিডিয়া প্রচার করতে লাগল, আমেরিকার এক নম্বর শক্র সাদ্দাম হোসাইন।অথচ পরবতী ঘটনাবলী প্রমান করে , আমেরিকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী ব্যক্তিই হচ্ছেন সাদ্দাম হোসাইন।তার প্রতি পশ্চিমা বিশ্বের পুরোপুরি সমথন ছিল।এক সাদ্দাম চলে গেছেন, কিন্তু এমন সাদ্দাম তার আরো প্রয়োজন, যিনি আমেরিকার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবেন। এজন্য আমেরিকা নতুন নতুন সাদ্দাম তৈরি করতে থাকে।(নিউজউইক)
* নব্বই এর দশকে ইরাক ওয়ার কাভার করে আমেরিকায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠে CNN টিভি চ্যানেলটি। এর মালিক টেড টার্নার বিশ্বজুড়ে পরিচিতি পেলেও এক পর্যায়ে চ্যানেলটি চালাতে ব্যর্থ হয়ে আত্মসমর্পণ করেন টাইম ওয়ার্নার গ্রুপের কাছে। তিনি নামে থাকলেও মূল ক্ষমতা নিয়ে নিয়েছে টাইম ওয়ার্নার। ৭০ মিলিয়ন দর্শকের চ্যানেল CNN কিভাবে খবর বিকৃত করে তার একটি ছোট উদাহরণ হিসেবে আসতে পারে নাইন ইলেভেন টুইন টাওয়ার ধ্বংসের পর। এ সময় বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের দৃশ্য দেখানো হচ্ছিলো প্রতিক্রিয়া হিসেবে। হঠাৎ দেখা গেল প্যালেষ্টাইনিরা আকাশে গুলি ছুড়ে আনন্দ প্রকাশ করছে। এতে বোঝা যায় তারা টুইন টাওয়ার ধ্বংসে খুশী। কিছুদিন পর CNN খুব গুরুত্বহীনভাবে টেলপে জানায়, প্যালেষ্টিনিয়ান ফুটেজটি ছিলো পুরনো। তা ভুল করে সেদিন দেখানো হয়। কিন্তু ততদিনে পৃথিবীতে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে এ কাজ মুসলমানদের।

* ২০০৬ সালের এক রিপোটে দেখা যায়, মাকিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক হাজার টিভি চ্যানেল ও ‍দুই শতাধিক রেডিও একযোগে অব্যাহতভাবে ইসলামের বিরোধিতা এবং কোরআন সুন্নাহর অপব্যাখ্যা করছে।ওই রিপোটে আরো দেখা যায়, মাকিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত প্রায় ১ হাজার ৭শ’ দৈনিক ও ৮শ’ সাপ্তাহিক পত্রিকার অধিকাংশই সুপরিকল্পিতভাবে প্রকাশ্যে মুসলমানদের বিরুদ্ধে সুতীব্র ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে।(সূত্র-আল জাজিরা)
* উল্লিখিত প্রচারাভিযানের ফলস্বরুপ মাকিন সরকার চাপ প্রয়োগ করে আরব বিশ্বের যাকাত, সদকা, দান অনুদান সংগ্রহ ও বিতরণকারী সংস্থাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।অনেক মুসলিম দেশের রাষ্ট্র প্রধান তারই ধমের অনুসারীদের কট্টরপন্থী মৌলবাদী আখ্যা দিচ্ছে।যেসব সাহায্য সংস্থা ইয়াতিম, সুঃস্থ ও বিধবাদের আথিক সহযোগিতা করত কিংবা বৃত্তি প্রদান কিংবা ধমীয় গ্রন্থ প্রকাশ করে ফ্রি বিতরণ করত, সেসব সংস্থাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।তারা মিডিয়ার মাধ্যমে শীষ ইসলামী ব্যক্তিত্বদের কথা জনগণ পযন্ত পৌছানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।ইসলামী বিশ্বের প্রভাবশালী সংগঠনগুলোর সক্রিয়, শক্তিশালী ও কমতৎপর ব্যক্তিত্বদের গুরুত্বপূণ পদ থেকে সরিয়ে তদস্থলে অখ্যাত ব্যক্তিদের বসানো হয়, যাতে প্রভাবশালী সংগঠনগুলো যারা বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ রাখছিল এবং দ্বীনি তৎপরতার সাহায্যে সহযোগিতা ও পথ প্রদশন করে আসছিল, তাদের যুগ খতম হয়ে যায়।এক কথায়, পাশ্চাত্য মিডিয়া ইসলামী দল, সংগঠন ও সংস্থাগুলোকে নিমূল করার জন্য সবশক্তি নিয়োগ করে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×