somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধারাবাহিক মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ-১৬

১৭ ই মে, ২০১৫ সকাল ১০:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


* বৃটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন ঃ একটি পযালোচনা

বৃটিশ সম্প্রচার সংস্থা বিবিসি (বৃটিশ ব্রডকাস্টিং করপোরেশন) বিগত ৭০ বছর যাবত চল্লিশটি ভাষায় সম্প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।এটিই বিশ্বের সম্প্রচার সংস্থা সমূহের মধ্যে সবচে পরিচিত ও প্রসিদ্ধ।এ সংস্থার সম্প্রচারকৃত সংবাদ সমগ্র বিশ্বেই শোনা হয়।পেশাগত মান ও দক্ষতার দিক দিয়ে সমকালীন অন্যান্য সম্প্রচার সংস্থার মধ্যে উন্নত ও উত্তম হওয়ার কারণে জনগণ তার সম্প্রচারিত রিপোটের ওপর আস্থা রাখে, কিন্তু এর পাশাপাশি জনগণ এ সংশয়ও প্রকাশ করে থাকে, বিভিন্ন বিষয়ে বিবিসির রিপোটের মান বিভিন্ন ধরণের। সামগ্রিকভাবে সে নিরপেক্ষ নয়, বরং মুসলিম বিদ্বেষী। বিবিসি যখন ইসলামী পূণজাগরণ আন্দোলন সম্পকে কোন রিপোট ও প্রোগ্রাম পেশ করে তখন তার আসল চেহারা ফুটে ওঠে। তাদের রিপোটিং দেখে মনে হয় তারাও পাশ্চাত্য ইহুদী নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া ক্রসেডের সহযোগী। তাদের সেই বিদ্বেষ মানসিকতার কিছু প্রমান পেশ করবো।
আফগান সমস্যা
১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের ক্ষমতায় আরোহণ আমেরিকা সহ পাশ্চাত্যের সেক্যুলার শক্তিসমূহকে চিন্তায় ফেলে দেয়।এই যুগান্তকারী ঘটনা তাদের চোখে কাঁটার মতো বিধঁতে থাকে। কারণ তারা আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধ নিমূল করে শান্তি ও নিরাপত্তার পাশাপাশি ইসলামী আইনও বাস্তবায়ন করে এবং ধমহীন শক্তির সামনে নতজানু হতে পরিস্কার অস্বীকার করে।তালেবান সরকারের এ স্বাধীন পলিসি ধমহীন পশ্চিমা শক্তির ঘুম হারাম করে দেয়।তারা তালেবান সরকারের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক মিথ্যা প্রচার প্রোপাগান্ডা শুরু করে দেয়, তাদের কঠোরতার সমালোচনা করে, তাদের তথাকথিত মানবাধিকার লংঘনের দায়ে অভিযুক্ত আখ্যা দিতে থাকে এবং তাদের ইতিবাচক কাজ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়।পশ্চিমা ক্রসেড মিডিয়ার মতো বিবিসিও সাংবাদিকতার মূল্যবোধকে জলাঞ্জলি দিয়ে এসব প্রোপাগান্ডায় সবশক্তি নিয়োগ করে। বতমান যুগে তালেবান সরকারের সামাজিক ন্যায়বিচার, ইনসাফ, অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সরকারী আমলাদের সহজ সরল সাদাসিদা জীবন যাপন, বিলাসিতামুক্ত সমাজ এবং আন্তজাতিক চাপ সত্ত্বেও জাতীয় নিরাপত্তা ও সাবভৌমত্ব সংরক্ষণের বিষয়টি বিশ্বের রাষ্ট্র সরকারের জন্য শিক্ষা ও চিন্তার বিষয় বটে।২০০২ সালে জানুয়ারীর মাঝামাঝি আফগানিস্তানের কয়েকটি প্রদেশে তালেবান কমান্ডোরা সম্মিলিত জোটের স্থলবাহিনীর ওপর প্রচন্ড হামলা চালায়। তখন বিবিসি পেশোয়ারে আফগানিস্তান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রহীমুল্লাহ ইউসুফের সাক্ষাৎকার গ্রহন করে। সাক্ষাৎকারের শেষ দিকে রহীমুল্লাহ ইউসুফ যখন তালেবান সরকারের কিছু ইতিবাচক দিক আলোচনা শুরু তখন বিবিসি প্রতিনিধি সঙ্গে সঙ্গে টেপ রেকডার বন্ধ করে দিয়ে শুধু পূবে অংশটুকু ধারণ করে সম্প্রচার করে। যাতে পরিস্কার বুঝা যাচ্ছিল সাক্ষাৎকার এখনো শেষ হয়নি, তার আগেই টেপ রেকডার বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।যৌথ বাহিনী আফগানিস্তানের নিষ্পাপ জনেগণের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী হামলা শুরু করলে তখন বিবিসি ধারাবহিকভাবে এই হামলাকে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধ আখ্যা দিতে থাকে। উত্তরাঞ্চলীয় জোটকে আফগানিস্তানের বৈধ শাসক এবং তালেবানকে কট্টরপন্থী, গোঁড়া ও সন্ত্রাসী আখ্যা দিতে শুরু করে।অথচ প্রকৃত বিষয়টি ছিল তার উল্টো।কারণ উত্তোরানঞ্চলীয় জোটের জুলুম নিযাতন ছিল নিকট অতীতের বিষয়।এছাড়া বিভিন্ন অভিযানে শহীদ সংখ্যা বেশি, নানা বিভ্রান্তিমূলক তথ্য, মোজাহিদদের মনোবল নষ্টের জন্য নানা কাল্পনিক ও কৃত্রিম বোমা বষ©নের রিপো©ট করতো।যার অসংখ্য প্রমাণ পাওয়া যায়।(জিহাদে কাশ্মীর, জানুয়ারী-২০০২)

জিহাদবিরোধী মানসিকতা প্রস্তুতকরণ

গোটা বিশ্বে যেখানে যেখানে স্বাধীনতার জন্য আন্দোলন চলছে, আন্তজাতিক আইন অনুযায়ী যাদের প্রচেষ্টা বৈধ স্বাধীনতা আন্দোলন, কিন্তু যেসব আন্দোলন পাশ্চাত্যের স্বাথের পরিপন্থী বিবিসি তাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মনগড়া পরিভাষার যথেষ্ট প্রচলন ও প্রচার ঘটিয়েছে।ফিলিস্তিনি মুজাহিদীন, আফগানিস্তান ও চেচনিয়ার মুজাহিদীন, ফিলিপাইনের মুজাহিদীন, ইন্দোনেশিয়ার জেহাদী সংগঠন এবং আলজেরিয়ার ইসলাম পন্থী সকলেই বিবিসির নিকট কট্টরপন্থী, মৌলবাদী, গোঁড়া, বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সন্ত্রাসী।আর সেসব দেশের দখলদার বাহিনী সবপ্রকার ববরতা প্রদশন করলেও তারা নিজেদের আত্মরক্ষার অধিকার প্রয়োগ করে।ফিলিপাইনের প্রায় এক কোটি মানুষের স্বাধীনতার জন্য আন্দোলনকারী সংগঠন আবু সাইয়াফ গ্রুপের ওপর বিবিসি ধারাবাহিক অপহরণ এবং বিদেশী ও সাধারণ জনগণকে হত্যার মিথ্যা অভিযোগে অভিযুক্ত করে, কিন্তু আবু সাইয়াফ বিবিসির কোন কভারেজ পায় না।

সাম্প্রদায়িকতা


সাম্প্রদায়িকতার প্রচার করে পশ্চিমা শক্তি ইসলাম ও ইসলামী সংগঠনগুলোকে দুনামগ্রস্ত করা এবং মুসলমানদের মাঝে অনৈক্য দ্বন্ধ ছড়ানোর প্রয়াস চালায়।সাম্প্রদায়িকতার ঘটনাকে খুব অতিরঞ্জিত করে পেশ করে জনগণকে এই প্রতিক্রিয়া দিতে চেষ্টা করে, যদি দ্বীনি সংগঠন ও জিহাদী আন্দোলন কখনো সফলকাম হয় তাহলে দেশে বিশৃঙ্খলা ও গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।এজন্য উত্তম হলো, আগে থেকেই তাদের সফলতার পথ প্রতিরোধ করা এবং লোকদের উচিত এসব সংগঠন থেকে দুরে থাকা।
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা যদি হিন্দু-মুসলিম, ইহুদী-মুসলিম কিংবা খ্রস্টান-মুসলিমের মাঝে আর সেখানে মুসলমান বেশি মারা যায় কিংবা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে সে ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বহীনভাবে প্রচার করা হয় এবং মুসলমানের তখনই হয় যখন কোন মুসলমান কাউকে মারে।আর যদি কোন মুসলমান মারা যায় তাহলে সে ঘটনা আলোচিত হয় বটে তবে দ্বীন ধমে©র পরিচয় প্রকাশ করা হয় না।কেননা, এরুপ করলে অমুসলিম জানোয়ারদের দুনা©ম হয়।ভারতীয় মিডিয়ার পলিসিও ঠিক একই রকম।যেন লাল কুত্তা শিয়ালের ভাই!
ভারতের গুজরাটে সংগঠিত স্মরণকালের ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ১৫ হাজার মুসলমান শহীদ হয়। হাজার হাজার ঘর বাড়ী জ্বালিয়ে দেয়া হয় এবং লক্ষ লক্ষ মুসলমান গৃহহারা হয়। বিবিসি এই ভয়াবহ ঘটনাকে গুরুত্বহীন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা আখ্যা দিলেও এ কথা পরিস্কার করেনি, এই দাঙ্গায় সবচে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মুসলমান সম্প্রদায় এবং সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে। তারা প্রচার করেছে হাজার হাজার নিহত । শত শত ঘরবাড়ী জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ গৃহহারা হয়েছে।কিন্তু ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে মুসলমানদের নাম উল্লেখ করেনি। বিবিসি সুপরিকল্পিতভাবে এ মুসলিম নিধন যজ্ঞকে নিছক হত্যকান্ড বলে চালিয়ে দিয়েছে। মেসোযোনিয়ায় মুসলিম নিধনযজ্ঞ, ফিলিস্তিনে মুসলিম গণহত্যা, কাশ্মীর গণহত্যা ইত্যাদী সবখাসে বিবিসি একই পন্থা অবলম্বন করেছে।

গনতন্ত্র ও মানবাধিকারের শ্লোগান

গণতন্ত্রও পাশ্চাত্যের একটি অস্ত্র।এই অস্ত্র তারা অধিকাংশ সময় সামরিক সরকার আবার কখনো রাজা বাদশাহদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করে থাকে।এই অস্ত্র তখনই প্রয়োগ করে যখন সরকারগুলো তাদের নিধারিত এজেন্ডা পাশ কাটানোর শংকা জাগে।এই অস্ত্রের মাধ্যমে তারা সরকারগুলোকে ব্ল্যাকমেইল করে তাদের মাধ্যমে স্বীয় স্বাথ উদ্ধার করে। যখনই তারা পাশ্চাত্যের তাবেদারী এবং তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে রাজি হয়ে যায় তখন তাদের একনায়কতন্ত্র ও রাজতন্ত্র ওপর পাশ্চাত্যের কোনো অভিযোগ থাকে না, বরং তখন পাশ্চাত্যের নিকট গণতান্ত্রিক সরকারের থেকেও বেশি প্রিয় হয়ে যায়।বিবিসিও সেসব জায়গায়ই গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের বিপযয় খুঁজে পায় যেখানে পাশ্চাত্যের অপন্দনীয় সরকার ক্ষমতায় রয়েছে।আর সেখানে পাশ্চাত্যের পছন্দনীয় সরকার ক্ষমতায় রয়েছে সেখানে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিপযয় তেমন কোন বিষয় নয়। বিবিসির নিকট তালেবানদের পদার ওপর কড়াকড়ি আরোপ মানবাধিকারের লংঘন, কিন্তু তুরস্ক ও উজবেকিস্তানে বোরকা পরে শিক্ষাঙ্গনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ মানবাধিকার লংঘন নয়। উজবেকিস্তানে পঞ্চাশ হাজার মুসলমানকে বন্দী করা হলো এবং তাদের ওপর শরয়ী ইবাদাত ও পদার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ মানবাধিকার লংঘন নয়।ইন্দোনেশিয়ার খৃস্টান সংক্যাগরিষ্ঠ ‘মালাকা’ উপদ্বীপে ১৯৯৯-২০০০ পযন্ত মাত্র দু’বছরে পঞ্চাশ হাজার মুসলমানকে হত্যা করা হয়েছে, রাস্তায় প্রকাশ্যে মুসলিম নারীদের ইজ্জত লুট করা হয়েছে, এসব কি মানবাধিকার লংঘন নয়? এখানেই বিবিসির মহা নিরপেক্ষতা (?) প্রশ্নবিদ্ধ। তাই বিশ্ব মুসলিমের উচিত এটিকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া।

মুসলিম গণহত্যার ক্ষেত্র তৈরি করছে মিডিয়া

বতমানে বিশ্বব্যাপী মুসলিম নিযাতনের মূল হাতিয়ার মিডিয়া।মিডিয়ার সহযোগিতায় নিরীহ নিরপরাধ মুসলমানদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে।পরাশক্তিগুলোকে বিভিন্ন ইস্যুতে উত্তেজিত করা হচ্ছে।মিডিয়াগুলো শুধু মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করতে উসকে দেয় না; বরং যুদ্ধ শেষে যুদ্ধের বৈধতা প্রমান করতে মিডিয়াই সবাত্মক চেষ্টা চালায়। একটি মুসলিম দেশ ধ্বংস হলে পরবতী মুসলিম দেশ ধ্বয়স করার অভিযান শুরু করে।আফগানিস্তানের পর ইরাক, ইরাকের লিবিয়া, লিবিয়ার পর সিরিয়া, সিরিয়ার পর ইরান, এভাবে চলবে একের পর এক মুসলিম দেশ ধ্বয়সের তান্ডব।ইহুদী মিডিয়া যা যাচ্ছে তা-ই হচ্ছে।ইহুদীরা বিশ্বের সকল মুসলমানকে নিশ্চিহৃ করার জন্য, ইসলামের আলো নিবানোর জন্য মিডিয়া আগ্রাসন চালাচ্ছে। এরকম কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরছি।
একবার আমেরিকার এবিসি নিউজের এক প্রতিনিধি জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ড.বুট্রোস ঘালিকে সোমালিয়া সম্পকে প্রশ্ন করে। জবাবে ড. ঘালি বলেন, সোমালিয়ায় আগ্রাসন এ কারনেই সম্ভব হয়েছিল যে, এ উদ্দেশ্য অজনের জন্য একাধারে দীঘ দশ মাস মিডিয়া ও গণমাধ্যমকে উৎসঙ্গ করে দিয়েছিলাম।সোমালিয়ায় মাকিন হস্তক্ষেপের মুসলিম গণহত্যার ক্ষেত্র তৈরি জন্য সবপ্রথম মিডিয়ার মাধ্যমে সোমালিয়ার ক্ষুধা ও দুভিক্ষের কাহিনী দুনিয়াবাসীর কাছে ভয়াবহ আকার বানিয়ে পেশ করা হয়েছিল।ড. ঘালি বলেন, আমরা মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্ববাসীর কাছে কেবল এ সংবাদ ও চিত্রই পেশ করতে লাগলাম যে, সোমালিয়ার জনগণ ক্ষুধা, দারিদ্র ও রোগ শোকে মৃত্যু বরণ করছে। টেলিভিশন ও সংবাদ পত্রে ক্ষুধাত ও উলঙ্গ সোমালী জনগণের এমন করুণ ও মজলুম চিত্র দুনিয়াবাসীর সামনে পেশ করতে থাকে যাতে বিশ্ববাসী বুঝে, এই মরুভূমিতে না পানি আছে, না খাবার আছে, না মাথা গোঁজার ঠাই আছে, আর না আছে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।সেখানকার জনগণ সকল মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত।যদি কোথাও থেকে কোন সাহায্য সহযোগিতা আসে তাও আবার অসভ্য ও জংলী মানুষগুলো তা নিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে লিপ্ত হয়।এভাবে অব্যাহত প্রেপাগান্ডার মাধ্যমে আগ্রাসনের পরিবেশ তৈরি হয়ে গেলে বিশ্ববাসীর বদ্ধমূল ধারণা হয়ে গেল যে, সেখানে বিদেশী হস্তক্ষেপ ছাড়া জনগণকে রক্ষার আর কোন পথ নেই। আর আমেরিকা এ উদ্দেশ্যেই মিডিয়ার মাধ্যমে অব্যাহত প্রোপাগান্ডা চালিয়ে আসছিল।এখন কারো পরামশ ছাড়াই মাকিন যুক্তরাষ্ট্র সেখানে সামরিক হস্তক্ষেপের একটি সুবণ সুযোগ হাতে আসল।সে সুযোগে আমেরিকা সোমালিয়ার ওপর সামরিক আগ্রাসন চালায়।পরিস্থিতির আলোকে এখন আর কারো এ কথা বলার প্রয়োজন হল না, সেখানে সামরিক আগ্রাসনের আসল কারণ ও সমস্যা কি? আসল উদ্দেশ্য পদার অন্তরালেই রয়ে গেল।গোটা বিশ্ব এই চিত্তাকষক মনোরম দৃশ্য দেখতে লাগল, মাকিন সৈন্য মুক্তিদূত হয়ে নিজেদের জীবন বাজী রেখে স্ত্রী পুত্র সব ছেড়ে হাজার হাজার মাইল দূরে থেকে সোমালী জনগণের জন্য স্কন্ধে ত্রানের বোঝা বহণ করে এদিক সেদিক দৌঁড়াচ্ছে। আমেরিকান বাহিনীর কতৃক বিদেশী সাহায্য ও ত্রানের সুষম বন্টনের কারণেই ক্ষুধাত ও মুমূষ সোমালী জনগণ সুস্থ সবল হয়ে ওঠছে।তাদের শরীরে আমেরিকান পোশাক দেখা যায়।তারা আমেরিকার এই মূল্যবান সহযোগিতা মনে প্রাণে গ্রহণ ও মুল্যায়ন করছে। সোমালী জনগণ আমেরিকায় মানবদরদী পলিসির প্রশংসায় পঞ্চমূখর।প্রতিটি সোমালী জনগণ চাচ্ছিল আমেরিকান সৈন্যরা আমাদের এখানে থেকে যাক।একই পলিসির প্রয়োগ করা হয়েছিল, আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়াসহ সবখানে।পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিশ্ব সন্ত্রাসী, মানবতার দুশমন ও গণহত্যার মহানায়ক মাকিন সাম্রাজ্যবাদ এভাবে সারা পৃথিবীতে ধ্বংসযজ্ঞ পরিচালনা করতেছে।

চলচ্চিত্রের মাধ্যমে মিডিয়া আগ্রাসন

ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে পাশ্চাত্য যে যুদ্ধ শুরু করেছে তা গোলাবারুদের ও কামানের যুদ্ধ নয়; বরং প্রকৃত অথে এ যুদ্ধ মিডিয়া যুদ্ধ। এই যুদ্ধের ব্যাপকতা, বিশালতা এত সুদূরপ্রসারী ও সুগভীর যে, এর প্রভাব প্রতিক্রিয়া কল্পনাই করা যায় না। এর কল্পনা মানুষের চিন্তাশক্তিকেও নিতান্ত অসহায় করে দিয়েছে।এই যুদ্ধ বন্দুক ও আধুনিক আণবিক বোমা থেকেও বহুগুণে বেশি বিপজ্জনক, বিপযয়কর ও ধ্বংসাত্মক।মুসলিম উম্মাহকে নিমূল করার জন্য পাশ্চাত্য জগত একদিকে শিক্ষা অপরদিকে মিডিয়ার অস্ত্র সাজে সজ্জিত হয়ে দুদান্ত প্রতাপের সাথে ময়দানে অবতীণ হয়েছে। পশ্চিমা মিডিয়ার শক্তিশালী বিভাগ হচ্ছে চলচ্চিত্র, যা সম্পূণ ইহুদীদের দখলে।তারা রাত দিন বিরামহীনভাবে কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগ করে বিভিন্নভাবে এমন সব চলচ্চিত্র নিমাণ করছে, যেসব চলচ্চিত্রে ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহকে টাগেট বানানো হচ্ছে। তারা পরিকল্পিতভাবে তাদের কাজ আঞ্জাম দিচ্ছে আর আমাদের সরকারগুলো সংস্কৃতির নামে সরকারী অথে এসব চলচ্চিত্রের বিকাশ ও বিস্তার ঘটাচ্ছে এবং জোর করে মুসলমানদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে।সিনেমার এ অগ্নিস্ফুলিঙ্গ টেলিভিশনকেও নিজের কবলে নিয়ে নিয়েছে। এখন সরাসরি ডিশ এন্টিনার মাধ্যমে আমাদের ঘরে বাড়ীতে বসে দিবালোকে আগ্রাসন চালাচ্ছে।ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর বিরুদ্ধে পশ্চিমা জগত প্রথমে জ্ঞান গবেষণা ও সাহিত্যের পথে এই লড়াই চালিয়ে আসছিল। গত শতাব্দী থেকে এই যুদ্ধের আগুন চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ঘরে ঘরে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। চলচ্চিত্র অঙ্গনের ব্যাপকতা ও টেলিভিশনের প্রভাব প্রতিক্রিয়া একথাই সাক্ষ্যই দেয় যে, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার আলোকে পশ্চিমা ধ্যান ধারণা ও চিন্তা চেতনাকে ব্যাপক থেকে ব্যাপকতরভাবে লোকদের মন মস্তিষ্কে ঢুকিয়ে দেয়া হচ্ছে।
উদাহারণস্বরুপ মাহাদী সুদানী মাকিন চলচ্চিত্রের আলোচিত নাম। তাকে মাকিন চলচ্চিত্রে ও নাটকে অত্যন্ত ঘৃণিত আকারে উপস্থাপন করা হয়। সকল খল চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মাহদী সুদানীকে ব্যবহার করা হয়। ব্যক্তি মাহদী সুদানীর আড়ালে মূলতঃ ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহকে টাগেট বানানোই তাদের উদ্দেশ্য। ১৮৮৫ সালে নিমিত খারতুম নামক এক নাটকে মাহদী সুদানীকে ইসলামের লেবেলে অত্যন্ত ঘৃণিত ও বিকৃত আকারে উপস্থাপন করা হয়েছিল।
১৯৬২ সালে সেই খারতুম নাটককে সিনেমায় রুপ দেয়া হয়।এই সিনেমায় একটি জল্লাদখানার দৃশ্য দেখানো হয়, যা মাহদী সুদানী অনুসারীরা বৃট্রিশ সেনাবাহিনীর জন্য তৈরি করেছিল। এই সিনেমায় মাহদী সুদানীর অনুসারীদের হত্যা, রক্তপাত ও শক্রর নাক-কান কতন ইত্যাদী চরিত্রে দেখানো হয়। তারা ‘না’রায়ে তাকবীর-আল্লাহু আকবর’ গগনবিদারী শ্লোগান দিয়ে এ কাজগুলো আঞ্জাম দিচ্ছে।তখন মাহদীর অনুসারীরা বলছিল, হে আমাদের প্রভু! হে আমাদের সম্মানিত মাহদী! আমরা হাজারো সিপাহীর প্রাণ ও তাদের অস্ত্রশস্ত্র আপনার ওপর উৎসঙ্গ করছি। এ কথা শুনে মাহদী সুদানী আসমানের দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে, হে আমার প্রিয়, হে রাসুলে খোদা। এতটুকু বলার পর মে তার অনুসারীদের দিকে তাকিয়ে বলে, আমি কি তোমাদের অদৃশ্য সাহায্যের সুসংবাদ শোনাইনি? আমি কি তোমাদের বলিনি, তোমার শক্রর ওপর হামলা কর এবং তাদের গোলাবারুদের ভয় অন্তরে রেখো না।
‘লরেন্স অব এ্যারাবিয়ার’র’ এ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আবরদের ওপর আক্রমন করা হয়েছে।এটি ১৯৬৩ সালে তৈরি করা হয়। এতে শাহ ফয়সালের মতো আরব বিশ্বের বিভিন্ন নেতৃবগকে দেখানো হয়েছে।এ সিনেমায় লরেন্সকে অত্যন্ত চিত্তাকষক ও আকষনীয় আর আরব শায়খদের আহমক, বোবা, নিবোধ, দাস, ফকির ও নিঃস্ব করে উপস্থাপন করা হয়।দেখানো হয়েছে, তাদের জন্য একে অপরকে হত্যা করা অতি সাধারণ বিষয়।অতিথির কাছ থেকে যতক্ষণ অথ আদায় না করা হয় ততক্ষণ পযন্ত তাদের খাবার দেয়া হয় না।সিনেমার বিভিন্ন দৃশ্যে দেখানো হয়েছে, হত্যা ও রক্তপাত ঘটানোর সময় ‘না’রায়ে তাকবীর-আল্লাহু আকবর’ শ্লোগান দেয়া হচ্ছে।এর মাধ্যমে তারা লরেন্সকে আরব ভূ-খন্ডের অধিবাসীদের কাছে অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথে উপস্থাপন করার প্রয়াস চালানো হয়েছে, যাতে আরব বিশ্বের সেসব লোকদের সমথন ও প্রশংসা আদায় করা যায়, যারা মধ্যপ্রাচ্যে সাম্রাজ্যবাদী ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও ইহুদীদের আরব ভূ-খন্ডে পূণবাসনের রাস্তা সুগম করছে।ইসরাঈলী প্রেসিডেন্ট ওয়াইজমেন তার ‘অভিজ্ঞতা ও পদঙ্খলন’ গ্রন্থে লেখেন, আমি ঘোষনা দিচ্ছি, জেনারেল লরেন্স আমাদের জন্য যে দামী খেদমত আঞ্জাম দিয়েছেন, এজন্য আমি তার শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি এবং তার খেদমতকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখছি।কারণ তিনি চাইতেন, ফিলিস্তিনে ইহুদী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হোক, যাতে আরবদের ফায়দা হয়।বাস্তবতা হচ্ছে, উক্ত সিনেমায় সবটুকুতে ইসরাঈলী ওয়াজমেনের কথারই বাস্তবয়ন ঘটানো হয়েছে।এতে ভাসা ভাসাভাবে মুসলিম ব্রাদারহুডের তৎপরতাকে বিদ্রোহের ভঙ্গিতে দেখানো হয়েছে। তুরস্কের বিরুদ্ধে আরব জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে ফলাও করে উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে লরেন্সের কীতিকে একটি বিপ্লবী পদক্ষেপ হিসাবে আখ্যায়িত করা যায়। এই সিনেমায় শরীফ আলীকে আকার আকৃতিতে আরবদের মতো দেখানো হয়েছে, যার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এক ইহুদী অভিনেতা ওমর শরীফ, কিন্তু আরবদের আকার আকৃতিতে সম্পূণ বিকৃত করে দেখানো হয়েছে।এতে আরবদের তুলনায় জায়নিস্ট ও পশ্চিমাদের প্রশয়সাবাদের দৃষ্টিতে রাখা হয়েছে।
‘জেনারেল পাইন’ নামক সিনেমাকে শ্রেষ্ঠ সিনেমা আখ্যা দিয়ে অস্কার পুরস্কারের পাশাপাশি আরো ছয়টি পুরস্কার দেওয়া হয়।এই সিনেমা সম্পকে প্রেপাগান্ডা চালানো হয়, এটি সত্য, বাস্তব ও বস্তুনিষ্ঠতার ওপর প্রতিষ্ঠিত, কিন্তু বাস্তবে তা মিথ্যা ও অপবাদে ভরপুর, যা হলিউড সিনেমার বৈশিষ্ট্য।এই সিনেমায় ইহুদীদের কমকান্ডকে ঔজ্জল আর আরবদের লাঞ্ছিত অপমানিত বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়।ইহুদীদের জানবায, বীর বাহাদুর, দানশীল, ভদ্র ও ক্ষমাশীল আর আরবদের কাপুরুষ, অলস, গাদ্দার, বিশ্বাসঘাতক, খেয়ানতকারী, কপট, হত্যাকারী, লুন্ঠনকারী, জালেম ও রক্ত পিপাসু ইত্যাদী চরিত্রে উপস্থাপন করা হয়।এমন দৃশ্যও দেখানো মাকিন সিপাহী নেশায় বুঁদ হওয়া সত্ত্বেও ইজ্জত ও সতীত্বের সংরক্ষক আর আরবরা তার উল্টো বিলাসী এবং নারী লোভী।
আলজেরিয়া সম্পকে দশটি চলচ্চিত্র নিমাণ করা হয়েছে।এসব চলচ্চিত্রে আলজেরিয়ার মুজাহিদদের ডাকাত, লুন্ঠনকারী ও জালেম বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে।আলজেরিয়া সম্পকিত দশটি চলচ্চিত্রে সবগুলোতেই এ দৃশ্য দেখানোর প্রয়াস চালানো হয়েছে, যারা ফ্রান্সের সাথে সশস্ত্র যুদ্ধে অগ্রসর হয়েছে তারা চোর, ডাকাত, হত্যাকারী, অপরাধী এবং দুশ্চরিত্র। তাদের জন্য নিষ্পাপ শিশু ও নারীদের হত্যা করা একটি সাধারণ বিষয়। তারা আবার এ ধরণের কমকান্ড করে মসজিদে নামায আদায় করে। হলিউডের চলচ্চিত্র নিমাতারা সবদা পাশ্চাত্যের সামনে মুসলমানদের বিকৃত ও ঘৃণিত আকারে উপস্থাপনের চেষ্টা করে।পক্ষান্তরে ইহুদীদের ফরমাবরদার ও আনুগত্যশীল বানিয়ে পেশ করে। এর কারণ, যাতে কোনো মাকিনী আরব কিংবা মুসলমান শব্দ শোনার সাথে সাথেই এ চিন্তা করে, এ তো ধোকাবাজ, প্রতারক, হত্যাকারী ও লুন্ঠনকারী এবং আমেরিকা ও হয়রত ঈসা (আঃ)এর প্রাণের শত্রু।
সাম্রাজ্যবাদী মিডিয়া তাদের চলচ্চিত্রে মুসলমানদের যে চরিত্রে উপস্থাপন করে, তাহলো-
মুসলমানরা বিত্তশালী ও বিলাসী, সন্ত্রাসী ও বিপযয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী, প্রবৃত্তি পুজারী, প্রান্তিক ও হাসি তামাসার পাত্র, শয়তান ও নিদয় নিমম, ভবিষ্যতের জন্য বিপদ।
প্রফেসর ডেগলস কিলজ এবং মাইকেল রামান ইয়ান তাদের যৌথ গ্রন্থে লেখেন, পশ্চিমা সিনেমায় আরবদের বিপুল বিত্ত বৈভবের মালিক ও অতিলোভী আকৃতিতে দেখানো হয়, যাতে দশকরা এ প্রত্যয় পোষন করতে বাধ্য হয় যে, সকল অথনৈতিক বিপযয়ের জন্য এই গোঁড়া সন্ত্রাসী আরবরাই দায়ী।যারা নিরীহ নিষ্পাপ মানুষকে অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় হত্যা করে এবং তারা তাদের ভোগ বিলাসিতা অটুট রাখার জন্য ইউরোপ আমেরিকায় তেল সরবরাহ বন্ধ করে তাদের অথনৈতিক বিপযয়ে নিক্ষেপ করে।
ম্যাচ গ্রন ফিল্ড নিউজউইকে লেখেন, আগামীতে আমরা যা কিছু দেখব, তাতে নিশ্চিত অতীতের পুনরাবৃত্তি করা হবে। সেখানে কোন ঘটনা কম করে পেশ করা হবে না; বরং গ্রহনযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা অজন করার জন্য তাতে আরো রং চড়িয়ে প্রচার করা হবে এবং এ কথারও পুনরাবৃত্তি করা হবে, আরবরা সন্ত্রাসী কমকান্ডের মাধ্যমে পশ্চিমাদের নিশ্চিহৃ নিমূল করে দিতে সচেষ্ট।

তথ্য প্রযুক্তিতে একক নিয়ন্ত্রন প্রতিষ্ঠা মাকিন সাম্রাজ্যবাদের

বিশ্ব এখন চালাচ্ছে তথ্য প্রযুক্তি। কারণ দিনে বিশ্বে। প্রভুত্ব, কতৃত্ব কায়েমের জন্য যে মহাশক্তির প্রয়োজন তা বতমানে ইন্টারনেটে ভিতরে চলে এসেছে। যোগাযোগ ,দৈনন্দিন কাজকম, বা জীবন যাত্রা, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রভৃতি বিষয়ে মানুষ ক্রমেই ইন্টারনেট নিভর পড়েছে। এর মধ্যে কি রহস্য বা জাদু আছে তা এক যেন আরেক দেশকে বুঝতে দিতে চায় না। বতমানে ইন্টারনেটের যাবতীয় কাজ এমন হয়ে পড়েছে, যে কোন এক জায়গায় বসে এর মাধ্যমে বিশ্বের সব ধরণের খবরা খবর অতি সহজেই ক্লিক করলেই পাওয়া যায়। কাজেই এমন শক্তিতে অন্য কোন দেশকে অংশীদার করতে চায় না আমেরিকা। ইন্টারনেট গভরনেন্স ফোরাম জাতিসংঘের নিংন্ত্রনে একটি সংগঠন। গোটা বিশ্বে তথ্য প্রযুক্তি বিশারদগণ এর সদস্য। গত ২০০৫ সালে তিউনিশিয়ায় উল্লেখিত সংগঠনের প্রথম সভায় ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণের একক দায়িত্ব ও কতৃত্ব পায় পরাশক্তির দেশ আমেরিকা বা বুশ প্রশাসন। বুশ প্রশাসন এ দায়িত্ব পেয়ে তথ্য প্রযুক্তির সূতিকাগার ইন্টারনেটকে সাম্রাজ্যবাদের হাতিয়ারে পরিনত করে। তাদের একক আধিপত্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দেয়। ইসলামকে টেক্কা দেওয়ার জন্য এবং বিশ্বের মানুষকে ইসলামের ব্যাপারে ধোকা দেওয়ার জন্য ইন্টারেনেটে লক্ষ লক্ষ ভূয়া ভ্রান্ত ওয়েভ পেইজ খোলে, এবং মানব সভ্যতাকে সাম্রাজ্যবাদের একনিষ্ট গোলাম বানানোর জন্যই ইন্টারনেটকে পণোগ্রাফী বা অশ্লীলতার আকড়ায় পরিণত করা হয়েছে।ফলশ্রুতিতে মানব সভ্যতা অবক্ষয়ের যাতাকলে নিষ্পেষিত হলেও আমেরিকান সমাজ এ থেকে মুক্ত ছিল না। জানা যায়, বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট পরিচালনার ক্ষেত্রে মোট সাভারের সংখ্যা ১৩ টি। এর সিংহ ভাগ অথ্যাৎ ১১ টিই রয়েছে আমেরিকায়। বাদ বাকি দুটো রয়েছে বৃটেন ও জাপানে। ইন্টারনেট প্রযুক্তি সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে এ অজুহাতে আমেরিকা নিজেই এর নিয়ন্ত্রণ করতে থাকে। অথচ আমেরিকা ঠিকই পরাশক্তির দেশ হিসাবে পরিচিত। এটা কি সন্ত্রাসের ব্যাখ্যার মধে পড়ে না? এ দায়িত্বকে বৈধতা দেওয়ার লক্ষে আইজিএফ কতৃক অনুমোদন নেওয়া হয়। এ পরাশক্তি তাইতো ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রন আজীবন খালি তাদের হাতেই রাখতেই চায়। সে কারণে অন্য কোন দেশের হাতে এ নিয়ন্ত্রন যাক তা স্বাভাবিক ভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তাইতো মাকিন সাম্রাজ্যবাদ এ দায়িত্ব অন্য কাউকে দিতেও নারাজ।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×