অধিকাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক এবং শিশুদের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে ডায়বেটিস ধরা পড়ে না। স্বাস্থ্যগত জটিলতা যখন তীব্র আকার ধারণ করে তখনই ডায়াবেটিস ধরা পড়ে। বর্তমানে শিশুদের ডায়াবেটিস আক্রান্তদের সংখ্যা দিনে দিনে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে চলছে। এখানে টাইপ ১ ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার কিছু লক্ষণ দেওয়া হলো।
ক্লান্তিঃ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের অগ্ন্যাশয় শরীরে প্রয়োজনীয় ইনসুলিন তৈরি করতে পারে না। ফলে দেহের শক্তি উৎপাদনকারী প্রয়োজনীয় গ্লুকোজ অথবা শর্করা শরীরের কোষগুলোতে ঠিকমত পৌঁছাতে পারে না। সেই কারণেই ডায়াবেটিস রোগীরা সারাদিনই ক্লান্ত অনুভব করে থাকেন।
টয়লেটের ধরণ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার অন্যতম লক্ষণ হচ্ছে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া। এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের বিছানায় প্রস্রাব করতে দেখা যায়। রাতে বার বার প্রস্রাব হওয়াকে সাধারণ সমস্যা হিসাবে দেখার সুযোগ নেই । যদি কেউ এই সমস্যায় ভোগেন তাহলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
তৃষ্ণা লাগাঃ ঘন ঘন তৃষ্ণা পাওয়া ডায়াবেটিসের আরেকটি বিশেষ লক্ষণ।বিশেষ করে রোগীদের রাতে বার বার পানির পিপাসা লাগাকে ডায়াবেটিসের অন্যতম লক্ষণ হিসাবেও ধরা হয়।
রোগা বা দুর্বল হয়ে যাওয়াঃ ডায়াবেটিসের কারণে শরীরে ইনসুলিনের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। যার কারণে দেহের গ্লুকোজের সঠিক ব্যবহার না হওয়ার কোষ এবং শারীরিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়।ফলে দিন দিন একজন মানুষ রোগা বা দুর্বল হয়ে পড়েন।
উপরোক্ত যে কোনো লক্ষণ দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। আর আপনার শিশুর মধ্যেও এই ধরনের উপসর্গ দেখা গেলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিসের পরীক্ষা করিয়ে নিবেন। নির্দিষ্ট সময়ে ডায়াবেটিসের চিকিৎসা করালে কিটোঅ্যাসিডোসিস নামক মারাত্মক শারীরিক সমস্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত শিশুদের মানসিক সমর্থন যোগান। যাতে করে তারা বিষণনতায় না ভোগে।
তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৯