১। পাকিস্তান সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৪৭ সালের আগষ্ট মাসে। এর পরের মাসে অর্থাৎ সেপ্টম্বরে বসেছিল নিখিল ভারত কংগ্রেসের সেন্ট্রাল কমিটির বৈঠক। সভাপতিত্ব করেন পার্টির তৎকালীন সভাপতি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহার লাল নেহেরু। উক্ত সভায় প্রশ্ন উঠেছিল, “কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা ভারতবাসীকে সব সময় অখণ্ড ভারত-মাতার কথা বলে এসেছে,কিন্তু ভারত-মাতার দেহ তো খণ্ডিত হয়ে গেল। আমরা জনগণের কাছে কি জবাব দিব?” জবাবে জওহার লাল নেহেরু বলেছিলেন, “অলইন্ডিয়া কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানিয়ে দিতে চাই, ভারত বিভাগকে আমরা সাময়ীক ভাবে মেনে নিচ্ছি”।
২। ২০০১ সালে বাংলাদেশের সীমান্তে হামলা করেছিল ভারতীয় সৈন্যরা। সে হামলা রুখে দিয়েছিল অধুনালুপ্ত বিডিআর’য়ের জোয়ানেরা। বিডিআর জোয়ানদের হাতে সেদিন ২৫ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়েছিল। এর প্রতিক্রিয়ায় ভারতের বিজিপি নেতা এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এল কে আদভানি হুমকি দিয়েছিলেন বোমা হামলা করে ঢাকাস্থ বিডিআর হেডকোয়ার্টার গুড়িয়ে দেয়ার।
৩। ভারতীয় রাজনৈতীক বিশ্লেষক এমভি কামাথ ভারতের “দি মেল” পত্রিকায় ২০০৩ সালে লিখেছিলেন, "Let it be said in simple and plain language: Bangladesh has no business to exist. Its creation in 1947 was a historic mistake as Lord Curzon's partition of Bengal was in 1905. Curzon's plan to divide Bengal was annulled because in the end Bengal's sense of unity prevailed. Bangladesh, if it wants to survive, must return to India and India in return must help it to do so.’’
৪। ভারতের “দি এশিয়ান এজ” পত্রিকার ২০০৯ এর ২৪ মার্চ সংখ্যায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সাবেক চিফ অব আর্মি স্টাফ জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শংকর রায় চৌধুরি লিখেছেন, “এটি বড় দুঃখের কথা যে বাংলাদেশ এত সহজে এবং এতটা বার বার নয়াদিল্লীর রাডারের বাইরে চলে যায়। সেটি এখন আর ঘটতে দেয়া যায় না।”
৫। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত হয় ওআইসির রাষ্ট্রপ্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন। সে সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সে সম্মেলনে যোগ দেয়ার ফল দাঁড়িয়েছিল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে তাঁর দিল্লি সফরকালে তৎকালীন ভারতীয় পরারাষ্ট্র মন্ত্রী চরন সিং কড়া ভাষায় শোকোজ করেছিলেন। ইন্দিরা গান্ধির সামনে শ্রী চরন সিং তাঁকে সরাসরি প্রশ্ন করেছিলেন,ভারত সরকারের সাথে চু্ক্তি রয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি হতে হবে ভারতের সাথে পরামর্শের ভিত্তিতে। কিন্তু ভারতকে না জানিয়ে তিনি লাহোরে গেলেন কোন যুক্তিতে? (সূত্রঃ বাংলাদেশ সরকারের সাবেক সচিব আসাফ উদ্দৌলার ইউটিউবে ধারণকৃত ভাষণ, যিনি দিল্লির সে মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সে কথাটি তিনি নিজ কানে শুনেছিলেন)।
৬। ভারতীয় পত্রিকা ডেইলী নিউজ এ্যান্ড এন্যালিসিস এর ২০১১ সালের ১৬ই জুলাই সংখ্যায় প্রকাশ, বিজিপি নেতা এবং সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুব্রামানিয়াম স্বামী বাংলাদেশের কিছু অংশ দখল করে নেয়ার হুমকি দেন। উক্ত নিবন্ধে তিনি সিলেট থেকে খুলনা অবধিক বাংলাদেশের উত্তরাংশের এক-তৃতীয়াংশ দখল করে ভারতের সাথে একীভূত করে সেখানে বাংলাদেশ থেকে আসা উদ্বাস্তুদের জন্য বসবাসের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেন।
৭। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ লিখেন, To the very end, some congress leaders, including Gandhi, Patel and Maulana Azad, dissociated themselves in principle from the idea of partition. Nehru’s views were also somewhat in the same line; on November 28, 1947 he stated; ultimately both the dominions will unite into one country. (আর্টিকেল, foreign policy of Bangladesh- a small state’s imperative’)
৮। অধ্যাপক জি ডব্লিও চৌধুরী লিখেন, Active communal organizations- the Hindu Mahasabha, the Rashtriya Swayam Sevak Sangha, and the council for Protection of the rights of Minorities- demanded that partition be repudiated and East Bengal be forcibly made a part of India or that it be constrained by economic pressure. (বই: Pakistan’s Relations with India 1947 – 1966)