ইতিহাস ফিরে ফিরে আসে। হিসাব করে দেখলেই বোঝা যাবে। গত পাঁচ-ছয় বছরে তিনটি ভিন্ন ধারার আন্দোলন মানুষের হৃদয় ছুঁয়েছে। শুরুটা গণজাগরণ মঞ্চ দিয়ে। এরপর কোটা আন্দোলন। আর শেষেরটা বিচ্ছুবাহিনী আজ অব্দি দেখিয়ে দিচ্ছে আঠারোর আগুন কী জিনিস।
শাহবাগের আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখন জামাতিরা বিপদে। এটা থামানো দরকার। জামাতিদের পুরনো অস্ত্র ধর্ম। চুয়ান্ন সালের নির্বাচনেও তারা বলেছিল নৌকায় ভোট দিলে বিবি তালাক হয়ে যাবে। গণজাগরণের সাথে জড়িতদের নিয়ে এমন কোন নোংরামি নাই যা জামাতিরা করে নাই। ফেসবুকে ফটোশপ করে নানা অশ্লীল ছবি পোষ্ট থেকে শুরু করে চৌদ্দ শিকের মধ্যে থেকে কাউকে কাউকে চাঁদেও দেখা গেল। একদিনে মারা গেল ১১৩ জন। ধর্মকে হাতিয়ার করে হেফাজতের গুরু ফরহাদ মজহার ও মাহমুদুরররা কী করতে পারে আমরা দেখলাম। এরপর কোটা আন্দোলন। ছাত্রলীগের পছন্দ নয়। ২০১৩ সালে জামাতিরা গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছিল, আজ এতদিন পর ঠিক একই কাজ করতে দেখলাম ছাত্রলীগকে। কোটা আন্দোলনের কে কোথায় কার সাথে রাত কাটায়, সেসবের ফটোশপ করা ছবি দিয়ে ফেসবুক ভরে দিল। কিন্তু জামাতিদের মত ধর্ম মেশাতে পারেনি বলে এত মেরে কেটেও এই আন্দোলনকে জনমানুষের মন থেকে ভুলিয়ে দিতে পারেনি।
আজ বিচ্ছুবাহিনী আমাদের নষ্ট হৃদয়ে বিবেকের হুল ফুটিয়ে দিয়েছে। ঘুণে ধরা নষ্টের চূড়ান্ত একটি বেহায়া সমাজব্যবস্থাকে জাতে তোলার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে। এখানেও নষ্টলীগের একই ভূমিকা। দুই একটা বাচ্চা কোন পোস্টারে কি লিখল, তারমধ্যে ফটোশপের গু মিশিয়ে নিষ্পাপ শিশুদের চরিত্রে কালিমা দিচ্ছে। এদের ভূমিকায় মনে হয় ছাত্রলীগাররা পৃথিবীর পবিত্রতম সংগঠন। গত ৯ বছরে এরা প্রায় ষাটজন শিক্ষার্থীকে খুন করেছে, সবই নিজেরা নিজেরা। এটা খুব শ্লীল কর্ম তাই না? আর ওদিকে বাচ্চারা সামান্য বালছাল লিখলে অশ্লীল হয়ে যায়।
আমি বুঝি না, এ কি সরকারবিরোধী আন্দোলন? শাহবাগের আন্দোলনের সময় প্রধানমন্ত্রী সংসদে বলেছিলেন, তাঁরও ইচ্ছে করে শাহবাগে গিয়ে বসে থাকতে। আজ কেন প্রধানমন্ত্রীর বাচ্চাদের সাথে কণ্ঠ মেলাতে কার্পণ্য করেন? সরকারে কি ওই চোর চোট্টার ভাগাড় নৌমন্ত্রীর এতই প্রয়োজন? মানুষের পালস বুঝতে আর কত দেরী হে পাঞ্জেরী!
বাংলা সিনেমার নায়ক নায়িকার শুরুটা হয় একটা ধাক্কা দিয়ে, ধাক্কার পর নিয়মানুযায়ী নৃত্যগীত। মুহুর্তের মধ্যে নায়িকার পেছনে তিন হাজার সখী এসে নাচতে থাকে। তাঁদের পোশাক আসল নায়িকার থেকে খানিকটা স্বল্প। থলথলে উরুর পুরোটা বের করে রাখে, তবু এই এক্সট্রাদের দিকে কেউ তাকায় না। জামাতিদের আবাসিক নেতা নয়াপল্টন থেকে বানীর পর বানী দিয়ে চলেছেন। কারো কোন মনোযোগ নাই। নায়ক নায়িকার সখা সখীর মতই মূল্যহীন তারা। আসল নায়ক তো আজকের বিচ্ছুরা। কিন্তু ওই এক্সট্রাদের দিকে বখাটে দর্শক ঠিকই হা করে থাকে, ফাটাকেস্ট কাদেরিয়া সাব ওই বখাটে দর্শকের মত, শয়নে স্বপনে জামাত শিবির ছাড়া তিনি কিছু দেখেন না। কলিকাতা হারবাল খাইয়ে এই স্বপ্নদোষ বন্ধ করা জরুরী।
#আঠারোর_আগুন_হোক_দ্বিগুন
#নিরাপদ_সড়ক_চাই
#We_Want_Justice
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১২:৪৮