মুক্তিযুদ্ধ গোটা জাতীর সামষ্টিক অর্জন, তা কোন রাজনৈতিক দলের একক অর্জন হতে পারে না। অনেক রাজনৈতিক দল আছে মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করে। আমরা বাঙ্গালী সবাই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল, যারা বিপক্ষের দল বলে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করে তাদের এটা কৌশল মাত্র রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের।
আমার বাবা বাঙ্গালী তিনি মনে প্রাণে দেশকে ভালোবাসেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় ওনার বয়স ৬ কি ৭ বছর হবে, তাই যুদ্ধে যেতে পারেন নাই। এখন আমার বাবার প্রতি খুব রাগ হয় কেন তিনি যুদ্ধে যান নাই। আজ তার একটা সার্টিফিকেট থাকলে আমার ভাই বোনদের সর্বচ্চ ডিগ্রী থাকা সত্ত্বেও চাকরির জন্য অন্যের দাঁড়ে ধরণা দিতে হত না। এখন অনেকেই চাকরির পিছনে না ছুটে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেটের পিছনে ছুটতেছে। যে কোন কিছুর বিনিময়ে বয়স্ক পিতার মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট নিতে পারলেই তো অর্থনৈতি স্বচ্ছলতা, সেই সাথে যত শিক্ষিত আধা শিক্ষিত ছেলে মেয়ে আছে তাদের সরকারী চাকরির নিশ্চয়তা মিলবে। খুব কষ্ট হয় যখন দেখি পাশের বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা চাচার ৫ ছেলে মেয়ে সরকারী চাকরি করতেছে অথচো আমার ভাই বোনেরা অধিক যোগ্যতা সম্পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও চাকরির জন্য মানুষিক কষ্টে ভূগতেছে। মুক্তিযোদ্ধারা নিশ্চই জাতীর শ্রেষ্ট সন্তান। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরেও ৪১ জন বীরঙ্গনাকে মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি সাধুবাদ যোগ্য।
সরকার মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন..
♦ ষাটউর্দ্ধ সকল পিতা মাতাকে Most valuable citizen of Banglades ঘোষণা করতে হবে।
♦ মুক্তিযোদ্ধাদের ন্যায় তাদের সুযোগ সুবিধা প্রদান করতে হবে।
♦ তাদের পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে যোগ্যতানুযায়ী সরকারী চাকরির ব্যবস্থা করতে হবে।
♦ সরকারীভাবে বিনা খরচে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:২৩