ফসল তোলার পরও অনেক শাকসবজির মধ্যে রাসায়নিক উপাদান সক্রিয় থাকে তাই সে সব রাসায়নিক উপাদান সমুহের গুনাগুন বিচার করে কখন তা খাওয়া উচিত এবং কোথায় কিভাবে রাখতে হবে তা বের করতে পারলে নানা রকম সুফল পাওয়া সম্ভব। অ্যামিরিকার রাইচ বিশ্ববিদ্যালয়ের জৈব রসায়ন ও কোষ জীব বিজ্ঞানের অধ্যাপক চ্যারেট ব্রাউন বলেছেন বাঁধা কপি, ফুল কপির মত বিভিন্ন সবজির উপর পরীক্ষা চালিয়ে বলেছেন সে গুলো কেঁটে ফেলার পরও সজিব এবং কোষ গুলো সক্রিয় অবস্থায় থাকে। দিনের বেলা বা রাত্রি বেলা তারা নির্দিষ্ট কিছু পোকামাকড়ের আক্রমন ঠেঁকাতে রাসায়নিক উপাদান তৈরি করে, ফস তোলার পরও নির্দিষ্ট আলো অন্ধকারে রাখলে তারা একই রকমের রাসায়নিক উপাদান তৈরি করতে পারে। চ্যারেট ব্রাউন বলেন "গবেষণার ফলাফলে আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছি এসব সবজি কেঁটে ফেলার পরও আলো অন্ধকারে এতটাই সক্রিয় হয়ে উঠে তাদের গঠন তারা এতটাই বদলে নিতে পারে যে একই রাসায়নিক তারা উৎপাদন করতে সক্ষম হয়"। পোকা মাকড়ের আক্রমন ঠেঁকাতে এ ধরনের সবজি "গুলোসিক্যানেলেন" নামের একধরনের রাসায়নিক তৈরি করে এই রাসায়নিক আবার ক্যান্সার প্রতিরোধক কিছু গুণ রয়েছে। যার জন্য বলা হয় বাঁধা কপি খাওয়া ভালো। চ্যারেট ব্রাউন বলেন এ ধরনের সবজি যদি রান্না ঘরের এমন জায়গায় রাখা হয় যেখানে আলো আধারের নির্দিষ্ট চক্র রয়েছে যেখানে রাখলে বাঁধা কপি, ফুল কপি এ ধরনের রাসায়নিক উৎপন্ন করবে। আমরা যদি জানতে পারি আলো ও অন্ধকার কোন মাত্রায় থাকলে সবচাইতে বেশি গুলোসিক্যানেলের তৈরী করবে তাহলে সবজি কোথায় আমরা রাখছি সে দিকে নজর দিলে তা থেকে কাঙ্খিত খাদ্যগুন পাওয়া ও ক্যান্সার প্রতিরোদ করা সম্ভব।
তথ্যঃ BBC
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০১