somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ড্রেস ফেক্ট না মন-মানসিকতা?

২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেয়েরা ব্রা পরে, আমরা সবাই জানি। স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু কোনো কারণে চামে দিয়ে জামা'র ফাক দিয়ে সেটার একটা স্ট্র্যাপ দেখা গেলে হইসে, পারলে রাস্তার কুকুর পর্যন্ত হায় হায় করে উঠবে। আর জামা একটু পাতলা হয়ে পেছন থেকে ব্রা'র অস্তিত্ব দেখা গেলে তো কথাই নাই। শুধু ছেলেরা না, মেয়েদের পর্যন্ত বলতে শুনসি, ইশ! মেয়েটা কি বেহায়া! তাহলে সে কি করবে? ব্রা খুলে ফেলে দিবে? সেটা হজম করার মতো মানসিক উচ্চতা এই ব্রহ্মান্ডে কয়জনের আছে?

ধরলাম মেয়েদের বুক একটা সেক্সুয়াল অর্গান, যেটা দেখে বিপরীত লিঙ্গের মানুষ উত্তেজিত হয়ে যেতে পারে। সেটার উপর একটা পর্দা বা ওড়না দিলে কিন্তু জিনিসটার অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায় না, বরং একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে যায় যে এখানে এমন কিছু আছে যেটার দিকে তাকানো যাবে না। অথচ আমরা সবাই জানি সেখানে কি আছে। বরঞ্চ যতো বড় ভলিউমের কাপড় দিয়েই প্যাচানো হোক না কেনো, আমার মনেহয় সেটার দৃশ্যমান অস্তিত্ব আরও বাড়বে, কমবে না। তারচেয়ে শুরু থেকে জিনিসটাকে সাধারণ একটা শারীরিক অঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করলে কি বিষয়টা সহজ হয়ে যেত না?

খুব বেশি আগের কথা না, আমার বয়স যখন ৬/৭; গ্রামের বাড়িতে গেলে মুরুব্বি থেকে শুরু করে কিশোরীদের পোশাক ছিলো একটাই। শাড়ি। সেখানে ব্লাউজের কোনো বালাই ছিলো না। আঁচল বুকের কাছে প্যাচ দিয়ে পরা হতো, ব্রা তো বিশাল রকমের বিলাসিতা ছিলো সেখানে। মেয়েদের হাত থাকতো উন্মুক্ত। কই, তখন তো কাওকে জীবনে বলতে শুনলাম না, হাত দেখা যাওয়া খারাপ! বিষয়টাতো বহুকাল আগে থেকে এভাবেই চলে আসছিলো। তাহলে হঠাৎ স্লিভলেস কাপড় এতো বেহায়া রকমের পোশাক হিসেবে স্বীকৃতি পেলো কিভাবে?

এই সমস্যার শুরুটা আসলে কোথা থেকে? আমি চিন্তা করে পাই না। এই দেশে এতো এতো শিশু ধর্ষণ হওয়ার পরও কি ধর্ষণ মেয়েদের পোশাকের কারণে হয়, এই রকম ছোটলোকি একটা কথা মেনে নিয়ে বসে থাকতে হবে? জিনিসটার শুরুই কি বিকৃত মানসিকতা থেকে না?

যেখানে সাত মাসের শিশু পর্যন্ত বাঁচতে পারছে না, সেখানে আর কয়দিন মেয়েদের উপর দোষ চাপিয়ে আরামে থাকতে পারবে সবাই?
যত দিন পর্যন্ত আমাদের নিজেদের ভেতরের পশুকে বিসর্জিত করতে পারবো না ততো দিন পর্যন্ত এই সমাজের এরকমই থাকবে। আর সেই সব মেয়েদের বলতে চাই তোমরাও তো মেয়ে-মায়ের জাত তোমাদের উচিত অন্য কোন মেয়ের দোষ না খুজে তা ঢেকে রাখো।কারন তুমিও একদিন এই পরিস্হিতিতে পরতে পারো।

সর্বোপরি অন্যের ঘরে আগুন লেগেছে তাতে আমার কি এই মানুষিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে কারন অন্যকোনো দিন হয়তো তোমার ঘরে আগুন লাগবে তখন কাউকেই খুজে পাবে না।

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে জুলাই, ২০১৯ রাত ১১:৩৬
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতকে জানতে হবে কোথায় তার থামতে হবে

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫


ইন্ডিয়াকে স্বপ্ন দেখানো ব্যাক্তিটি একজন মুসলমান এবং উদার চিন্তার ব্যাক্তি তিনি হলেন এপিজে আবুল কালাম। সেই স্বপ্নের উপর ভর করে দেশটি এত বেপরোয়া হবে কেউ চিন্তা করেনি। উনি দেখিয়েছেন ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×