somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নির্জন চেতনার আলোকবন —একটি নীরব আত্মযাত্রার ব্যাখ্যা

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইকবাল জিল্লুল মজিদ
তারিখ: ১১.১২.২৫
মানুষের মন এক বিস্ময়কর ভূখণ্ড—বাইরের কোলাহল, সংঘর্ষ, প্রতিদিনের ব্যস্ততার আড়ালে সেখানে লুকিয়ে থাকে এক অব্যক্ত অঞ্চল। এটি এমন এক স্থান যেখানে শব্দ থেমে যায়, সময় ধীর হয়ে আসে, আর আত্মা নিজের স্বর শুনতে পারে। এই অঞ্চলটিকেই আমি বলি নির্জন চেতনার আলোকবন—একটি এমন বাগান, যা কোনো মাটিতে জন্মায় না, বরং জন্ম নেয় আমাদের নিজস্ব চেতনার গভীরতম স্তরে।
এই আলোকবনে আছে একটি ছোট্ট বীজ—অত্যন্ত নীরব, কিন্তু অসীম শক্তিসম্পন্ন। এই বীজই আমাদের অন্তর্গত শান্তি, কোমলতা, সহমর্মিতা ও ভালোবাসার মূল উৎস। জীবনের প্রতিটি টানাপোড়েন, প্রতিটি সংগ্রাম, প্রতিটি বিচলিত মুহূর্তের মাঝেও এই বীজ নীরবে অপেক্ষা করে—কখন আমি তাকে স্পর্শ করব, কখন আমি তাকে আলো দেবো।
যখন আমি নিজেকে থামতে দেই—বাহিরের নয়, ভেতরের দিকে মনোযোগ দিতে দেই—তখনই বুঝতে পারি, আমি আসলে নিজের সঙ্গেই শান্তিতে আছি। এই শান্তি শুধু আমাকে নয়, আমাকে ঘিরে থাকা সমস্ত পৃথিবীকেও ছুঁয়ে যায়। যেন আমার ভিতরের স্থিরতা ধীরে ধীরে মহাবিশ্বের এক অদৃশ্য নীরবতার সাথে একত্র হয়ে যায়।
এই শান্তিকে অনুভব করা মানে নিজের চেতনার ভিতরে একটি জায়গা তৈরি করা—যেখানে সে শিকড় ছড়াবে, নিঃশব্দে শরীর-মনের আকাশে ডালপাতা মেলবে, আর একটি সহনশীল ছায়া হয়ে আমাকে রক্ষা করবে। আমি যখন তাকে গ্রহণ করি, তাকে বাড়তে দেই, তখন—even in the midst of chaos—সে আমাকে একটি কোমল কিন্তু দৃঢ় শক্তি দান করে। এই শক্তি আমাকে শেখায়: সচেতনভাবে বাঁচা মানেই সুন্দরভাবে বাঁচা।
জীবনের প্রতিটি অনুভূতি—হোক তা আনন্দ, বেদনা, সংশয়, বা হারিয়ে যাওয়া—আমাকে তার নিজস্ব ভাষায় শিক্ষা দেয়। তাই আমি আর কোনো অনুভূতিকে এড়াই না; বরং তাদেরই ভিতরে খুঁজে পাই আমার নিজের বিস্তৃতি। আমি একটি খোলা হৃদয় নিয়ে বাঁচার চেষ্টা করি, কারণ খোলা হৃদয়নেই মুক্ত আত্মার আবাস।
কখনো কখনো মনে হয়, মহাবিশ্বের অশেষ শক্তি আমাকে ঘিরে রেখেছে। এই শক্তি কোনো শব্দ করে না—তার ভাষা আলো, তার স্পর্শ শান্তি। আমি যখন তার সাথে যুক্ত হই, তখন দেখি আমার নিজের অন্তরের শান্তির বীজটি আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠছে। যেন মহাবিশ্ব ও আমি—একই শ্বাসে, একই নীরবতায় সংযুক্ত।
শেষ পর্যন্ত, এই যাত্রা আমাকে আবার নিজের কাছেই ফিরিয়ে আনে। আমার চেতনার সেই আলোকবনের মধ্যে দাঁড়িয়ে আমি অনুভব করি আমি পূর্ণ। আমি সম্পূর্ণ। এবং আমি ঠিক সেই জায়গায় আছি, যেখানে থাকা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৯
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

Grameen Phone স্পষ্ট ভাবেই ভারত প্রেমী হয়ে উঠেছে

লিখেছেন অপলক , ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ২:৪৯



গত কয়েক মাসে GP বহু বাংলাদেশী অভিজ্ঞ কর্মীদের ছাটায় করেছে। GP র মেইন ব্রাঞ্চে প্রায় ১১৮০জন কর্মচারী আছেন যার ভেতরে ৭১৯ জন ভারতীয়। বলা যায়, GP এখন পুরোদস্তুর ভারতীয়।

কারনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কম্বলটা যেনো উষ্ণ হায়

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭


এখন কবিতার সময় কঠিন মুহূর্ত-
এতো কবিতা এসে ছুঁয়ে যায় যায় ভাব
তবু কবির অনুরাগ বড়- কঠিন চোখ;
কলম খাতাতে আলিঙ্গন শোকাহত-
জল শূন্য উঠন বরাবর স্মৃতির রাস্তায়
বাঁধ ভেঙ্গে হেসে ওঠে, আলোকিত সূর্য;
অথচ শীতের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪৪


আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

লিখেছেন নতুন নকিব, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৬

হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

শহীদ ওসমান বিন হাদি, ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?

লিখেছেন এ আর ১৫, ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৩

হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?


হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×