somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আরব-ইসরাইল সংঘর্ষের কালপঞ্জি

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্যালেস্টাইনের যে ভূখণ্ডে বর্তমানে যেটি ইসরাইল রাষ্ট্র এবং যাকে ইহুদিরা তাদের প্রতিষ্ঠিত ভূমি বলে সেখানে ইসরাইল রাষ্ট্রের পত্তন করছিলেন রাজা সউল খৃষ্টপূর্ব ১০২০ সাল এবং জেরুজালেম রাজধানী। এর কিছু পরে খৃষ্টপূর্ব ৭২২ সালে Assyrian ইসরাইল দখল করে নেয়। খৃস্টপূর্ব ৬৩ সালে রোমান শাসকরা ইসরাইল সহ পুরো এলাকা দখল করে নেয়। প্রথম ৬৬-৭০ খৃস্টাব্দে এবং পরবর্তীতে ১৩২ সালে ইহুদিরা রোমান শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করলে জেরুজালেম শহর ধ্বংস করে ফেলা হয় এবং ইহুদিদের সেখানে প্রবেশ নিষেধ করা হয়। ইহুদিরা ব্যাপকভাবে ঐ এলাকা ছেড়ে চলে যায়। পরবর্তীতে ঐ ভূখন্ড মুসলিম এবং খৃস্টান শক্তির মধ্যে হাত বদল হয়। এ নিয়ে খৃস্টান এবং মুসলমানদের মধ্যে ক্রুসেড বা ধর্মযুদ্ধ সংঘটিত হয়। কেননা জেরুজালেম শহর মুসলমানদের নিকটও পবিত্র। চূড়ান্তভাবে ১২৯১ সালে মুসলিম শাসনের অধীনে চলে আসে জেরুজালেম। মিশরের মুসলিম শাসকদের নিকট থেকে ১৫১৬ খৃস্টাব্দে অটোমান তুর্কীদের নিকট জেরুজালেমের নিয়ন্ত্রণ চলে আসে। পরবর্তী ৪০০ বছর জেরুজালেম তুর্কীদের শাসনাধীন থাকে। অর্থাৎ সংঘর্ষ শুরুর পূর্ব পর্যন্ত। এই দীর্ঘকাল ইহুদিদের কোন রাষ্ট্র ছিল না। এ বিষয়ে ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে বহু অঞ্চলে মূল অধিবাসী উৎখাত হয়েছে। এখন আমরা আরব-ইসরাইল বিরোধ ও সংঘর্ষের সঞ্চয় রেখার আলোচনায় আসব।
১৮৯৭- প্রথম জায়নবাদী কংগ্রেস: আধুনিক ইহুদিবাদ বা Zionism-এর প্রতিষ্ঠাতা থিয়োডর হারজির (Theodor Herzi) নেতৃত্বে ইহুদিদের প্রথম আন্তর্জাতিক কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয় যে ইহুদিদের প্রতিশ্রুত ভূমিতে ইসরাইল রাষ্ট্র পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করা হবে। এ নিমিত্তে একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়। তারা মনে করেন যে ইহুদিদের নিজস্ব ভূমি না থাকা পর্যন্ত তাদের উপর নির্যাতন নিপীড়ন চলবে। তারা সবাই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলেন এই সংগঠনের অধীনে জাতীয় মুক্তি আন্দোলনে সকলকে অংশগ্রহণ করতে হবে।
১৯১৫- বৃটিশ প্রতিশ্রুতি: শরীফ হোসেন পবিত্র মক্কানগরীর শাসক ছিলেন। প্রথম মহাযুদ্ধের সময় বৃটিশ হাই কমিশনার হেনরী ম্যাকমেহন অঙ্গীকার করেছিলেন যে যুদ্ধসমাপ্তির পর আরব অঞ্চলে স্বাধীনতা প্রদান করা হবে। কিন্তু সীমানা নির্ধারণ নিয়ে মতৈক্য না হওয়ায় প্রতিশ্রুতি ভেস্তে যায়।
১৯১৭- বালফোর ঘোষণা :১৯১৭ সালে বৃটিশরা যখন তুর্কীদের নিকট থেকে প্যালেস্টাইন ছিনিয়ে নেয়, তখন তারা ঘোষণা দেয় যা বালাফোর ঘোষণা নামে পরিচিত। ঘোষণায় বলা হয় যে, বৃটিশ রাজ ইহুদিদের জন্য প্যালেস্টাইনে এক পৃথক রাষ্ট্র স্থাপনার জন্য আন্তরিক চেষ্টা করবে। তবে সেখানে পূর্ব থেকে বসবাসরত অ-ইহুদি সম্প্রদায়ের স্বার্থ বিঘ্নিত কিংবা অন্য কোন অসুবিধা না হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।
১৯২০-১৯৪৭- বৃটিশ ম্যান্ডেন্ট প্রতিষ্ঠিত হল : প্রথম মহাযুদ্ধের পর লীগ অফ নেশন অটোমান সাম্রাজ্য ইংরেজ এবং ফরাসীদের ভেতর ভাগ করে দিল। বৃটেনকে প্যালেস্টাইনের ম্যান্ডেট দেয়া হল যা বর্তমান ইসরাইল, পশ্চিম তীর, গাজা ভূখন্ড এবং জর্ডান নিয়ে গঠিত। ১৯২১ সালে বৃটেন ট্রান্সজর্ডান রাষ্ট্রের সৃষ্টি করল যা জর্ডান নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। ১৯২২ সালে বৃটেন এই অঞ্চলে ইহুদীদের বসবাস নিষিদ্ধ করে দিল। ফলে ইহুদিদের বসবাসের জন্য পূর্বের ইপ্সিত ভূমির চেয়ে শতকরা ৭৫ ভাগ কমে গেল। বৃটিশ ম্যান্ডেটকালীন সময়ে ইহুদিরা বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানে এসে বসতি স্থাপন করতে শুরু করল। সেই সঙ্গে রাস্তাঘাট, বিদ্যালয় এবং হাসপাতাল স্থাপন করল। সেই সঙ্গে শ্রমিক সংগঠন সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে শুরু করল। উদ্দেশ্য স্বাধীন ইহুদি রাষ্ট্র। এর ফলে আরবদের প্রতিরোধ আন্দোলন তীব্র হয়ে উঠল। বৃটিশরা ইহুদিদের বসতি বৃদ্ধির হার কমানোর ব্যবস্থা নেয়।
১৯৩৯-১৯৪৫- দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ এবং ইহুদি হত্যাযজ্ঞ (Holocaust) : জার্মানীর নাৎসী বাহিনী ইউরোপীয় অধিকাংশ দেশ জয় করল। ব্যাপকভাবে হিটলার বাহিনী ইহুদিদের নিধন করল। ৬০ লাখ ইহুদিকে হত্যা করা হয়। যদিও ইহুদিরা যুদ্ধের সময় ইংরেজদের সমর্থন যুগিয়েছিল। কিন্তু ইংরেজরা তা সত্ত্বেও ইউরোপে বসবাসরত ইহুদিদের প্যালেস্টাইনে প্রবেশ অনুমতি দেয়নি। এর ফলে যুদ্ধের পর ইহুদিরা বৃটিশ ম্যান্ডেটের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করল।
১৯৪৭- জাতিসংঘের বিভাজন পরিকল্পনা : ১৯৪৭ সালে বৃটিশ, আরব এবং ইহুদিদের ভেতর বিরাজমান উত্তেজনার ফলে ইংরেজরা এলাকা থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিল। এবং সার্বভৌমত্বের ব্যাপারটা জাতিসংঘের উপর ছেড়ে দিল। ১৯৪৭ সালের ২৯ নবেম্বর ভোটাভুটির মাধ্যমে জাতিসংঘে এই মর্মে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে আগের ফর্মূলা হিসেবে প্যালেস্টাইন ম্যান্ডেটকে দুই ভাগে ভাগ করা হবে, যথা আরব রাষ্ট্র এবং ইসরাইল তথা ইহুদি রাষ্ট্র। জেরুজালেম আন্তর্জাতিক রাষ্ট্র হিসেবে গণ্য হবে। ইহুদিরা এই প্রস্তাব মেনে নেয়, কিন্তু ম্যান্ডেটের আরব জনগণ এবং অন্যান্য আরব রাষ্ট্র এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে।
১৯৪৮-এর যুদ্ধ : জাতিসঙ্ঘের বিভাজন পরিকল্পনার সঙ্গে সংগতি রেখে ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রথম প্রধান মন্ত্রী ডেভিড বেন গুরিয়ন ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ইসরাইলের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপর দিন মিশর, ট্রান্স জর্ডান, লেবানন, সিরিয়া এবং ইরাক বাহিনী ইসরাইল আক্রমণ করে। এটা হল প্রথম আরব-ইসরাইল যুদ্ধ। এই যুদ্ধের ফলে ৭,০০,০০০ আরব ইসরাইল এলাকা থেকে চলে আসতে বাধ্য হয় এবং শরণার্থী হয়ে পড়ে।
যে সব আরব সেখানে থেকে যায় তারা ইসরাইলের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে এবং তাদের সংখ্যা ইসরাইল জনসংখ্যার শতকরা ২০ ভাগ। এদিকে যেসব ইহুদি বিভিন্ন আরব রাষ্ট্র থেকে চলে আসে এবং তাদের দুই তৃতীয়াংশ নতুন ইসরাইল রাষ্ট্রে বসবাস শুরু করে। আত্মরক্ষার নিমিত্তে যুদ্ধ এই অজুহাতে ইসরাইল জাতিসংঘ কর্তৃক বরাদ্দকৃত ভূমির চেয়ে শতকরা ২০ ভাগ বেশি ভূমি দখল করে নেয়। এই যুদ্ধে ট্রান্সজর্ডান পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম (পুরাতন শহর) দখল করে নেয় এবং সরকারিভাবে নাম পরিবর্তন করে শুধু জর্ডান নাম ধারণ করে। গাজা ভূখন্ড মিশরের দখলে আসে।
১৯৬৭- ছয় দিনের আরব ইসরাইল যুদ্ধ :যেহেতু আরব রাষ্ট্র তাদের উপর চাপিয়ে দেয়া ইসরাইল রাষ্ট্র মেনে নিতে পারেনি, এর ফলে তাদের ভেতর সবসময় যুদ্ধের মনোভাব জেগেছিল। ইহুদিরা দুহাজার বছর পূর্বে রোমান শাসকদের দ্বারা ভূমিচ্যুত হয়। এরপর তারা দৃশ্যপটে ছিল না। পরবর্তীতে এই ভূখন্ড রোমান, খৃস্টান এবং মুসলমানদের শাসনাধীন ছিল। অথচ সুদূর অতীতের প্রসঙ্গ এনে ইহুদিদের এখানে রাষ্ট্র প্রসঙ্গে প্রস্তাব পাস করে জাতিসঙ্ঘ। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে অবশ্য আরবরা লজ্জাজনকভাবে হেরে যায়। এই যুদ্ধের সাফল্য হিসেবে ইসরাইল জর্ডানের নিকট থেকে পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেম, মিশরের নিয়ন্ত্রণে থাকা গাজা ভূখন্ড, সিনাই পেনিনসুলা এবং সিরিয়ার নিকট থেকে গোলানহাইট দখল করে নেয়। ইসরাইল শর্ত আরোপ করে যে শান্তিচুক্তি এবং ইসরাইলকে স্বীকৃতি প্রদানের বিনিময়ে তারা দখলকৃত ভূমি ফেরৎ দিতে প্রস্তুত।
১৯৬৭-৭০- বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ : ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরাইল যে বিশাল আরব ভূখন্ড দখল করে নেয়, তা ফেরৎ দেয়ার শর্ত হিসেবে ইসরাইল স্বীকৃতি এবং শান্তিচুক্তি করার কথা বলছিল। ১৯৬৭ সালে সুদানের রাজধানী খার্তুমে আরব রাষ্ট্রসমূহ এক সম্মেলনে সমবেত হয়ে ইসরাইলের প্রস্তাব প্রত্যাখান করে এবং কোন রকম শান্তি স্থাপনের সম্ভাবনা নাকচ করে দেয়। এই সময়ে মিশর এবং ইসরাইলের ভেতর কিছু সংঘর্ষ হয়। এই সময়ে মুসলিম রাষ্ট্রের অন্য একটি আত্মঘাতি ঘটনা ঘটে। ১৯৭০ সালে পিএলও জর্ডানের বাদশা হোসেনকে উৎখাতের চেষ্টা চালায়, পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে জর্ডানের বাহিনী পিএলওর উপর হামলা চালায়। ১৯৭১ সালের জুন পর্যন্ত লড়াই চলে এবং পরিশেষে পিএলওকে জর্ডান থেকে হটিয়ে দেয়া হয়। তারা লেবাননে এসে ঘাঁটি গাড়ে।
১৯৬৭ - বসতি নির্মাণ : ইসরাইলের সরকার সিনাই, গাজা এবং পশ্চিম তীরে ব্যাপকভাবে ইসরাইলী বসতি নির্মাণ করেছে, পশ্চিম তীরে এখন তিন লক্ষ বসতি রয়েছে। যে সব ভূখন্ডে বসতি নির্মাণ করা হচ্ছে, সেসব ভূখন্ড ভবিষ্যতে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের প্রয়োজন হবে, এটা বুঝেই এই সর্বনাশা কাজটি করা হচ্ছে।
১৯৭৩ - অক্টোবর যুদ্ধ : ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে মিশর এবং সিরিয়া ইসরাইল আক্রমণ করে এবং প্রাথমিক পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করে। কিন্তু পরবর্তীতে ইসরাইল আক্রমণ প্রতিহত করে। সিরিয়ার সৈন্যদের ইসরাইলের নগরী ঞরনবৎরঁং থেকে মাত্র ১০ মাইল দূরে অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়া হয়েছিল। এই যুদ্ধের ফলে ইসরাইলের এই উপলব্ধি হয়েছিল যে তার দখলের ভূখন্ড অতিক্রম করে আসতে আরব বাহিনীর সময় লেগেছিল। নইলে তারা বহু আগে ইসরাইলের মূল ভূখন্ডে প্রবেশ করে ফেলত। এর ফলে ইসরাইল দখলীকৃত এলাকা ফেরৎ দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
১৯৭৪ - জাতিসংঘে পিএলও নেতা ইয়াসের আরাফাত : ১৯৭৪-এর নবেম্বর পিএলও-র (প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন) চেয়ারম্যান, প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতা সংগ্রামের অবিসংবাদী নেতা ইয়াসের আরাফাত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে প্রথম ভাষণে প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতি সকলের সমর্থন কামনা করে দাবির ঐতিহাসিক পটভূমি ব্যাখ্যা করেন।
১৯৭৮- ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি : মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদত এবং ইসরাইলের প্রধান মন্ত্রী মেনাহেম বেগিনের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে একটি সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয় যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭৯ সালে মিশর এবং ইসরাইলের মধ্যে শান্তিচুক্তি হয়।
১৯৭৯- মিশর এবং ইসরাইলের শান্তিচুক্তি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল কূটনৈতিক তৎপরতার ফলে আরব রাষ্ট্রের ভেতর মিশর প্রথম ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেয় এবং শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে। ইসরাইল ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে দখলীকৃত মিশরের সিনাই উপত্যকা তাকে ফিরিয়ে দেয় এবং সেখানে যেসব ইহুদি বসতি স্থাপন করেছিল তাদেরকেও সরিয়ে আনা হয়।
১৯৮২- লেবানন যুদ্ধ : দক্ষিণ লেবাননে অবস্থিত পিএলও বাহিনী উত্তর ইসরাইলের উপর আক্রমণ চালাতে থাকে। এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইসরাইলও হামলা চালায় এবং লেবাননের রাজধানী বেরুত পর্যন্ত অগ্রসর হয়ে প্যালেস্টাইন বাহিনীকে লেবানন ছেড়ে টিউনেশিয়া যেতে বাধ্য করে। ইসরাইলের এই আক্রমণ দেখে বিদেশে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি করে, বিশেষ করে লেবাননের গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার শংকায়। ইসরাইল ১৯৮৬ সালে অধিকৃত লেবাননের এলাকা থেকে সরে আসে। দক্ষিণ লেবাননে কিছু সৈন্য রাখে সেটাকে ইসরাইলের উপর হামলা বন্ধের জন্য বাফারজোন হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ’৮২ যুদ্ধ প্রথম লেবানন যুদ্ধ। ২০০৬ সালের যুদ্ধ দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধ হিসেবে পরিচিত।
১৯৮৭-১৯৯৩- প্রথম সশস্ত্র উত্থান বা ইনতিফাদা : পিএলও কর্তৃক উন্নত মানের সরবরাহকৃত অস্ত্রের সাহায্যে ইসরাইল নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্যালেস্টাইনিরা সশস্ত্র বিদ্রোহ করে। এমনকি তারা আত্মাহুতির পথও অবলম্বন করে। ইহুদিরা ব্যাপক এবং নিষ্ঠুরভাবে সামরিক শক্তি প্রয়োগ করে। ইতিমধ্যে প্যালেস্টাইন অভ্যন্তরীণ কোন্দলে অনেক প্রাণহানি ঘটে। (১৯৯৩ সালের অসলো চুক্তির পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত এই সশস্ত্র সংঘর্ষ চলতে থাকে।
১৯৯৮- জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ইয়াসের আরাফাত কর্তৃক প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতা ঘোষণা : ১৯৮৮-এর ৩ ডিসেম্বর জেনেভায় জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ভাষণে ইয়াসের আরাফাত জেরুজালেমকে রাজধানী ঘোষণা করে স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি এবং প্যালেস্টাইনে আরব-ইহুদি অবস্থানের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন স্বাধীন প্যালেস্টাইনে মুসলমান, ইহুদি, খৃস্টান সবাই সমান অধিকার ও মর্যাদা নিয়ে শান্তিতে বাস করবে।
১৯৯৩- অসলো চুক্তি একটি গুরুত্বপূর্ণ সমঝোতা : নরওয়ের রাজধানী অসলোতে পিএলও এবং ইসরাইল Declaration of principles এই শিরোনামে একটি সমঝোতায় স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির ফলে প্যালেস্টাইন কর্তৃপক্ষের জন্ম হয় যার দায়িত্ব তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় শাসন কাজ চালানো। এতে ইসরাইলকে আহবান জানানো হয় গাজা ভূমি এবং জেরিকা থেকে তাদেরকে যেতে। ইসরাইলের নিজ জনগণ এবং নিজ ভূমি রক্ষার অধিকারকে মেনে নেয়া হয়। প্যালেস্টাইন এবং ইসরাইল পরষ্পর পরষ্পরের স্বীকৃতির পত্র বিনিময় করে। এই প্রথম বারের মত প্যালেস্টাইন, ইসরাইলকে স্বীকার করে নেয় এবং সংঘাত এড়ানোর কথা বলেন একইভাবে ইসরাইলও প্রথমবারের মত প্যালেস্টাইনকে মেনে নেয়। অসলো সমঝোতা একটি অন্তবর্তীকালীন ব্যবস্থা যার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের আশা করা হয়েছিল। ইসরাইল এবং প্যালেস্টাইন সেই লক্ষ্য অর্জন না হওয়ার জন্য পরষ্পর পরষ্পরকে দোষারোপ করে।
১৯৯৪- জর্ডান এবং ইসরাইলের শান্তি চুক্তি : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মিশরের মত জর্ডান ও ইসরাইলের সঙ্গে ১৯৯৪ সালে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে। জর্ডান দ্বিতীয় আরব রাষ্ট্র হিসেবে ইসরাইলকে স্বীকৃতি প্রদান করে। দুই দেশের ভেতর ব্যবসা বাণিজ্য, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের বিনিময় ঘটে।
২০০০- ক্যাম্প ডেভিড শীর্ষ সম্মেলন : ২০০০ সালের জুলাই মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন পিএলও নেতা ইয়াসির আরাফাত এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ বারাক একত্রিত হয়ে আলোচনায় বসেন। যদিও বৈঠকটি গোপন ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন এবং তার আলোচনা সহকারী ডেনিস রস বলেছেন যে বারাক কিছু দাবী মানতে রাজী ছিলেন যেমন পশ্চিম তীরের ব্যাপক এলাকা থেকে সৈন্য প্রত্যাহার। পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র গঠন ইত্যাদি। কিন্তু আরাফাত নাকি মনে করেন যে এটাই যথেষ্ট নয়।
২০০০- দ্বিতীয় সশস্ত্র অভ্যুত্থান বা ইনতিফাদা : ২০০০ সালের সেপ্টেম্বর ইসরাইলী জেনারেল এরিয়্যাল শ্যারন ইহুদিদের পবিত্র মন্দির মাউন্টে যান। শান্তি স্থাপনের কোন অগ্রগতি না হওয়ায় এবং দীর্ঘ সংগ্রামে প্যালেস্টাইনের ভেতর ক্ষোভ বেড়ে যায় এর ফলে তারা সশস্ত্র অভিযান চালিয়ে ইহুদিদের আক্রমণ করে এমনকি আত্মঘাতি অভিযানও চালায়। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইসরাইলী বাহিনী হামলা চালায়। বহু নিরীহ নিরস্ত্র প্যালেস্টাইনী প্রাণ হারায়। যেহেতু এই মাউন্টে প্যালেস্টাইনীদের মসজিদ আল আকসা অবস্থিত তাই একে আল আকসা সংঘর্ষ বলা হয়।
২০০২- ইসরাইল নিরাপত্তা বেষ্টনি নির্মাণ করে : ২০০২ সালে পশ্চিম তীরে সন্ত্রাসী হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পশ্চিম তীরে নিরাপত্তা বেড়া নির্মাণ করে। ১৯৯৬ সালে গাজা ভূমিতে এরূপ বেড়া দিয়েছিল এমনকি শহর ঘেষে রীতিমত পাকা দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছিল। ফলে প্যালেস্টাইন বসতি বিভাজিত হয়েছে এবং তারা নিজেদের লোকজন আত্মীয়স্বজনদের ভেতর দেখা সাক্ষাৎ এবং চলাচল করতে পারছে না। গোটা বিশ্বে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
২০০২ - প্রস্তাবিত আরব শান্তি উদ্যেগ : ২০০২ সালের মার্চে বৈরুতে আরব লীগের শীর্ষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এখানে সৌদি যুবরাজ (বর্তমান বাদশা) আব্দুল্লাহ একটি শান্তির উদ্যোগ নেন। আরব লীগ কর্তৃক প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়। ইসরাইলের কাছে এই মর্মে শান্তির প্রস্তাব দেয়া হয় যে ইসরাইল ১৯৬৭ সালের দখলকৃত সকল আরবভূমি ছেড়ে দেবে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে সৃষ্ট প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। প্যালেস্টাইন শরণার্থীর ন্যায্য সমাধান হবে। ২০০৭ সালে রিয়াদে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে আরব লীগ আবারও উপরোক্ত প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়। এর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল যে এতদিন আরব রাষ্ট্র ইসরাইলের আলোচনার সম্ভাবনাকে স্বীকার করত না। ইসরাইল প্রস্তাবসমূহকে স্বাগত জানায়। তবে ১৯৬৭ পূর্ব অবস্থায় ফিরে যেতে নারাজ। তবে আলোচনার জন্য ইসরাইল আরব লীগের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই প্রথম যে আরব লীগ কোন সরকারী প্রতিনিধিকে ইসরাইল পাঠালো।
২০০৩ - প্রস্তাবিত শান্তির জন্য রোডম্যাপ : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ এই রোড ম্যাপ উপস্থাপন করে এর উদ্দেশ্য স্বাধীন প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এবং নিরাপদ ইসরাইল রাষ্ট্র। কিন্তু ২০০৬ সালে হামাস প্যালেস্টাইনের নির্বাচনে জয়লাভ করায় এই রোডম্যাপ গতি হারায়। প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হামাস নিয়ন্ত্রিত সরকার ভেঙে দিলে আবার প্যালেস্টাইন কর্তৃক এবং ইসরাইলের ভেতর আলোচনা শুরু হয়। তবে তেমন ফলপ্রসু কিছু ঘটেনি।
২০০৫ - ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এরিয়াল শ্যারন একতরফাভাবে গাজা ভূমি এবং পশ্চিম তীরের ৪টি বসতি থেকে প্রত্যাহার শুরু করে। কিন্তু স¤পূর্ণভাবে ইসরাইলীদের প্রত্যাহার না করায় এটি তেমন কার্যকর হয়নি।
২০০৬- হামাসের বিজয় : ২০০৬ সালের নির্বাচনে প্যালেস্টাইনিরা হামাসদের নির্বাচিত করে। ধারণা করা হয় যে পূর্বের সরকারের অতি মাত্রায় দুর্নীতি করায় হামাসের এই বিজয়। উল্লেখ্য সে সময় ইয়াসের আরাফাতের ফাতাহ পাটি ক্ষমতায় ছিলো। হামাস ইসরাইলকে ধ্বংস এবং ইহুদিদের হত্যা করার আবেদন জানায়। তারা পূর্বের প্যালেস্টাইন ইসরাইল চুক্তি মানতে অস্বীকৃতি জানায়। এর ফলে পশ্চিমা রাষ্ট্রসমূহ প্যালেস্টাইনের সাহায্য বন্ধ করে এবং অবরোধ আরোপ করে।
২০০৬- দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধ : হিযবুল্লাহ একটি চরমপন্থি সংগঠন। এরা ইসরাইলের ধ্বংস চায়। ইরান এবং সিরিয়ার সমর্থনপুষ্ট হিযবুল্লাহ ১১ জুলাই লেবানন ইসরাইল সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরাইলের একটি সামরিক ইউনিটের উপর আক্রমণ চালায়। ৮ জন ইসরাইলী সৈন্য নিহত হয়। দুজনকে ধরে নিয়ে গিয়ে পরে হত্যা করা হয়। ইসরাইল পাল্টা আক্রমণ চালায় এবং অনেক প্রাণহানী ঘটে। ইসরাইল লেবাননের যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। জাতিসংঘের ১৭০১ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী ২০০৬ সালের ১১ আগস্ট যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
২০০৭- গাজায় যুদ্ধ : ২০০৬ সালের জানুয়ারিতে হামাস নির্বাচনে জয়লাভ করার পর ফাতাহ পার্টি এবং হামাসের ভেতর উত্তেজনা বেড়ে যায়। ২০০৭ সালে হামাস গোটা গাজা এলাকা জুড়ে আল ফাতাহর উপর আক্রমণ চালায়। প্যালেস্টাইনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস হামাস সরকারকে বরখাস্ত করে। এখন বাস্তবে প্যালেস্টাইনে দুটো সরকার। হামাস গাজা নিয়ন্ত্রণ করে। প্যালেস্টাইনী কর্তৃপক্ষ পশ্চিম তীরের কর্তৃত্বে রয়েছে। পাশ্চাত্যের দেশসমূহ প্যভলেস্টাইনী কর্তৃপক্ষের উপর আরোপিত অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
২০০৮- ২৭ ফেব্রুয়ারি হামাস কর্তৃক গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ৮ মাস পর ইসরাইলীরা অপারেশন হট উইনটার নামে একটি অভিযান চালায়। এই অভিযানে ১ জন ইসরাইলি ও ১২০ জন প্যালেস্টাইনী নিহত হন।
২০১০- ৩১ মে ঃ ইসরাইলীরা গাজা অভিমুখে যাত্রাকারী একটি ফ্লটিল্লার উপর হামলা চালায়। যার ফলে ১০ জন তুর্কী নিহত হন।
২০১১- এপ্রিল : ইসরাইলের উপরে ১৫০টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়। পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ইসরাইল হামলা চালিয়ে ২০ জন প্যালেস্টাইনীকে হত্যা করে।
২০১২- ১৪-২১ নবেম্বর : ইসরাইল অপরেশন পিলার অব ডিফেন্স নামে সামরিক অভিযান চালায় এবং এতে হামাসের একজন শীর্ষ কমান্ডার আহম্মদ জাবারী গাজা শহরে নিহত হন। ৮ দিন ধরে এই সংঘর্ষ চলে, এতে ১৭৭ জন প্যালেস্টাইনী এবং ৬ জন ইসরাইলী নিহত হন। বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। মিশরের মধ্যস্থতায় ২১ নবেম্বর শান্তি স্থাপিত হয়।
২০১৪- বর্তমান সংঘর্ষ : ৩ জানুয়ারি থেকে মাঝে মাঝে বিরতির পর বর্তমান সংঘর্ষ চলছে। ৮ জুলাই অপরেশন প্রটেক্টিভ এজ নামে একটি সামরিক অভিযান ইসরাইল শুরু করে। ইতিমধ্যে ইসরাইল ৪০ হাজার রিজার্ভ সৈন্য তলব করে। বর্তমান হামলা থেকে বিদ্যালয়, হাসপাতাল এমনকি জাতিসঙ্ঘের আশ্রয়কেন্দ্রও রেহাই পাচ্ছে না। ব্যাপকভাবে বিশ্বের প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে এই ভয়াবহ দৃশ্য দেখানো হচ্ছে। এ নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই। তবে এই মুহূর্তে মিশরের মধ্যস্থতায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি চলছে।

উৎস :
১. সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ এর অনুবাদিত।
২. Click This Link
৩. Click This Link
৪. Click This Link
৫. Click This Link

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×