গাজায় ইসরাইলি গণহত্যা অভিযানে কয়েক'শ শিশুসহ মৃতের সংখ্যা যখন ২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে তখন সৌদি আরবের শীর্ষস্থানীয় ওয়াহাবি আলেম ও উচ্চতর শরিয়া বোর্ডের সদস্য সালেহ আল ফৌজান বলেছেন, 'ইহুদিবাদী ইসরাইলকে অভিশাপ দেয়া হারাম'।
এক অডিও বার্তায় এই ফতোয়া জারি করে তিনি বলেছেন, কেউ কেউ বলে, ইসরাইলের ওপর আল্লাহর অভিশাপ বা গজব নাজিল হোক্, এতে হযরত ইয়াকুব (আ.)ও অভিশাপের লক্ষ্যভুক্ত হন। তাই মুসলমানদের উচিত ইসরাইলের ওপর অভিশাপ না দেয়া, বরং তাদের বলা উচিত ইহুদিদের ওপর অভিশাপ নাজিল হোক!
তার এই ফতোয়া বিভিন্ন মহলে সমালোচনা ও নিন্দার ঝড় সৃষ্টি করেছে। এই ফতোয়ার সমালোচকরা বলছেন, যখন মানুষ ইসরাইলকে অভিশাপ দেয় তখন তারা দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলকে লক্ষ্য করেই অভিশাপ দেয়, ইয়াকুব নবী (আ.)-কে উদ্দেশ্য করে নয়।
এর আগে সৌদি আরবের প্রধান মুফতি বা সৌদি শরিয়া বোর্ডের প্রধান মুফতি আবদুল আজিজ আল আশ শেইখ বলেছেন, ইসরাইল-বিরোধী মিছিল করা সম্পূর্ণ হারাম। তিনি আরো বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের পক্ষে মিছিল করা অর্থহীন সস্তা আবেগ প্রসূত তৎপরতা মাত্র !
সৌদি রাজপুত্র ও সাবেক গোয়েন্দা প্রধান তুর্কি ফয়সাল গাজায় গণহত্যা তথা ইসরাইলি অপরাধ-যজ্ঞের জন্য দখলদারদের দোষ না দিয়ে বরং হামাসকেই দায়ী করেছেন! তুর্কি বলেছিলেন: হামাস অতীতের মতই ভুল করে যাচ্ছে এবং গোঁয়ার্তুমি করে ইসরাইলে অকার্যকর কিংবা প্রভাবহীন রকেট নিক্ষেপ করছে বলেই ইসরাইলি সেনারা ফিলিস্তিনে হত্যাকা- চালাচ্ছে! সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলি হামলা বা যুদ্ধের খরচ বহন করছে সৌদি, জর্দান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশর সরকার! গাজায় প্রায় এক মাসের হামলায় ইসরাইলি হানাদারদের হাতে নিহত হয়েছে প্রায় আড়াই হাজার এবং আহত হয়েছে দশ হাজার ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী হতাহতদের প্রায় ৮০ শতাংশই নারী ও শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক।