বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের মৌসুমে কেটে নেয়া ফসলের মাঠে ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়ে থাকে। সেখানে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিরা ছাড়াও হাজির হয় শত শত মানুষ। বিনোদনের অভাবই মনে হয় এই ব্যপক উপস্থিতির এক বড় কারন বলেই আমার মনে হয়।
কিন্ত অনেকের এই বিনোদন আমার কাছে বড়ই নিষ্ঠুর এক খেলা বলে মনে হয়। যেবার আমি সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওর দেখতে গিয়েছিলাম, ফিরে আসার সময় এক মাঠ যা যাবার সময় শুন্য দেখেছি তাতে অজস্র মানুষের ভীড়। গাড়ি থামাতে বলে চালককে জিজ্ঞেস করে জানতে পারি সেখানে ঘোড়দৌড় হবে। মুখের কথা আমার মুখেই রয়ে গেল যখন চোখের সামনে দেখতে পেলাম এক কিশোর বা যুবা নির্মম ভাবে চাবুক চালাতে চালাতে হাড় জিরজিরে এক রোগা শুকনা ঘোড়াকে মাঠের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। ছেলেটির চোখেমুখে হিংস্রতার ছায়া লেপ্টে আছে আর সেই অপুষ্ট ঘোড়াটি তার মনিবের হুকুম তামিল করার জন্য জানবাজী রেখে দৌড়ে চলেছে। লোমহীন ঘড়াটির গায়ে চাবুকের দাগ কেটে কেটে বসে আছে।
ঘোড়াটির এই করুন অবস্থা দেখে আমার মনটা ভার হয়ে উঠলো। ছেলেটাকে বলতে ইচ্ছে করলো
"হে কিশোর নিরীহ প্রাণীটিকে যে এমন করে মারছো এমন বেতের একটি বাড়ি যদি তোমার পিঠে পরতো তখন কি করতে"!
ছবি নেট। এখানেও দেখেন কি নিষ্ঠুরতার চিনহ।
সোহানাজোহা বলেছেন:
আপু,
পোষ্টের একটি বিষয় জানাচ্ছি গ্রাম অঞ্চলে এসব ঘোড়ার দৌড়ে “যেসব ছেলে ঘোড়ার পিঠে চড়ে এরা খুবই বেয়াদব হয়ে থাকে। অযথা ঘোড়াকে মারে। মনে হয় মেরে মেরে এরা মনে আনন্দ পায়”। এই দুঃখী ঘোড়াগুলোর শরীর ভর্তি মাইরের দাগ। ঘোড়ার চার পায়ে পেটে পিঠে শুধু চিকন চিকন দড়ির মত ফুলে থাকা মাইরের দাগ। বাঁশের শলাকা দিয়ে এরা এক ধরনের একটা ঝাড়ু তৈরি করে যা দিয়ে ঘোড়াকে মেরে চামড়া ফাটিয়ে রাখে, যেখানে সব সময় মাছি বসে ঘোড়ার রক্ত খায়। বাংলাদেশে প্রাণীদের উপর যে রকম নির্মম নির্যাতন করে আসলেই তা দুঃখজনক।৷
সহ ব্লগার সোহানজোহার মন্তব্যটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হওয়ায় তার মন্তব্যটি এখানে যুক্ত করে দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জানুয়ারি, ২০২০ বিকাল ৫:৫৯