রংগীন আলোকমালায় ঝলমলে চারিদিক। চলছে সপ্তাহব্যাপী চীনা নববর্ষ সাথে নাচ গান। আর এরই মাঝে নোবেল কোরোনা ভাইরাস তার ভয়ংকর নাকটা গলিয়ে সকল আনন্দের মাঝে যেন এক বালতি পানি ঢেলে দিল। ইদানীং চাইনিজরা নববর্ষের লম্বা ছুটিতে অনেকেই বিভিন্ন দেশ বিদেশ ভ্রমণে বের হয় । গত কয়েক বছর তাদের প্রিয় পর্যটন দেশ হিসেবে থাইল্যান্ড এর নাম উল্লেখযোগ্য। একে ট্যুরিস্ট সিজন,তার উপর ছুটি তারা থাইল্যান্ড আসবে সব ঠিকঠাক, আর এরই মাঝে এই অবস্থা। এর মাঝে এয়ারপোর্টে ১৪ জন চীনা পর্যটকের নোবেল ধরা পরেছে। আমাদের জন্য দোয়া করবেন সবাই। এই ফেসটিভ সিজনে আমরাও বেশিরভাগ সময় ঘর বন্দী আর বের হলেও আতংক নিয়ে বের হচ্ছি। চারিদিকে আমাদের নজর চলছে "আরে দেখোতো এই লোকগুলোর চোখ ছোট আর নাক বোচা নাকি"!
বর্ষবরন উপলক্ষে চীনা শিল্পীদের নাচ
ড্রাগন নৃত্য ।
তিন দিন আগে ওয়াটার ট্যাক্সিতে করে গন্তব্যে যাচ্ছি, আমাদের উপমহাদেশের একটি মেয়ে পাশে এসে বসলো। কিছুক্ষন খুচরো আলাপের পর আমাকে বললো, "তুমি মাস্ক পরো নাই কেনো? এখন যে অসুখ এসেছে জানো তো এর কোন ইলাজ নেই, এই রোগ হলে মরে না যাওয়া পর্যন্ত তোমাকে ঘরে বন্দী করে রাখবে, এমনকি তোমার দেশও তোমাকে ফিরিয়ে নেবে না "। রেস্তোরাঁয় রাধুনীর কাজ করা অতি সাধারন মেয়েটির কথা শুনে ভয়ে তাড়াতাড়ি ব্যাগ থেকে মাস্কটা বের করে পরে নিলাম।
ছবি আমার মোবাইলে লেখাটিও মোবাইলে তাই বেশি ছবি আর বেশি বক বক করতে পারলাম না বলে আন্তরিক দুঃখিত
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৮:৫৫