somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিরিয়ে নেয়া হলো উপহার!

০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হাতী সাক সুরিন উপহারের অমর্যাদার এক প্রতীক
নিজ আবাসে ফিরে এলো সাক সুরিন ওরফে মুথু রাজা। ক্লান্ত পর্যদুস্ত আহত সাক সুরিন ২২ বছর আগে থাই রাজার উপহার হিসেবে গিয়েছিল এক অচিন দেশ শ্রীলংকায়। দুটি দেশই হাতিকে ধর্মের দিক থেকে অত্যন্ত পবিত্র প্রাণী হিসেবে গন্য করে। তাই বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে ২০০১ সালে থাই রাজ পরিবার সাক সুরিন ওরফে মুথু রাজা সহ মোট তিনটি হাতিকে বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে উপহার দিয়েছিল আরেক বৌদ্ধ দেশ শ্রীলঙ্কাকে।
কথা ছিল সেখানে মুথু রাজার কাজ হবে মন্দিরের পুজার সামগ্রী বহন করা। কিন্ত ভাগ্যে তার সেই সন্মান জুটেনি, জুটেছিল ভারী ভারী কাঠের গুড়ি বহন করার কাজ। দীর্ঘদিন এই কঠিন কাজ করতে গিয়ে তার স্বাস্থ্য ভেংগে পরে, আহত হয় সামনের এক পা। সেই সাথে জোটেনি পর্যাপ্ত খাবার।
এভাবে ২২ বছর বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ঘুরে শেষ পর্যন্ত তার স্থান হয়েছিল এক বৌদ্ধ মন্দিরে। সেখানেও পুজার সামগ্রী বহন করার বদলে জুটেছিল নানা রকম ভার বহনের কাজ। সেই সাথে কঠোর নির্যাতনে পর্যদুস্ত । সারা শরীরে ঘা, ভাংগা পায়ে শিকল পরা সাক সুরিন যখন মৃতপ্রায় তখন শ্রীলংকায় থাকা এক পশু প্রেমী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সব কিছু জানিয়ে থাইল্যান্ডকে অনুরোধ করে হাতিটিকে ফিরিয়ে নিতে।
প্রায় ছয় মাসের আলোচনার পর থাইল্যান্ড হাতিটিকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে সক্ষম হয়। বিশেষ বিমানে তার জন্য তৈরি বিশাল লোহার খাচায় করে চারজন থাই মাহুত আর একজন পশু চিকিৎসক সহ সাক সুরিন অবশেষে তার নিজ ভুমে ফিরে আসে।
তাকে সরাসরি নিয়ে যাওয়া হয় চিয়াং রাই এ। সেখান থেকে নেয়া নেয়া হয়েছে লাম্ফং, রাখা হয়েছে ৩০ দিনের কোয়ারেন্টাইনে। তার দেখভাল করার জন্য রয়েছে দক্ষ মাহুত আর চিকিৎসক।
উপহারের জিনিস ফিরিয়ে নিতে নেই তারপর ও প্রথা ভেংগে আহত সাক সুরিনকে বাচানোর জন্য ফিরিয়ে আনলো থাইল্যান্ড। তাকে আনতে এত যে টাকা খরচ হলো তারপর ও রাজনৈতিক ডামাডোলে অস্থির আপামর থাই জনগন দারুণ খুশী। এই ঘটনার জন্য শ্রী লংকার প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডের রাজা মহাভাজিরালিংকর্ন এর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। সাক সুরিনকে ফিরিয়ে আনা ও তাকে সেটেল করার জন্য ১৯.৫ মিলিয়ন বাথ এর ফান্ড গঠন করা হয়েছে। তারপর ও সবাই সাক সুরিনকে পেয়ে খুশি।

ফিরে এলো নিজ দেশে সাক সুরিন

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৫১
১৯টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শোকের উচ্চারণ।

লিখেছেন মনিরা সুলতানা, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সকাল ১০:১৬

নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?

লিখেছেন রানার ব্লগ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ দুপুর ১:২৮

৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?

মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ বিকাল ৫:২৭



প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।

লিখেছেন নয়া পাঠক, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৬ শে জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৭



আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×