নাই কাজ তো খই ভাজ আমার হলো সেই অবস্থা। বাসায় থাকতে থাকতে আর ভালো লাগছিলো না। ভাবলাম বৃষ্টি দেখে আসি সমুদ্র সৈকতে বসে। আগামাথা কিচ্ছু চিন্তা করলাম না। হোটেল বুকিং দিয়ে টিকেট কেটে পরদিন রবিবার রওনা দিলাম।
ঢাকার আকাশ পরিস্কারই ছিল। চিটাগং এর কাছাকাছি আসতেই অঝোর ধারায় বৃষ্টি। একসময় প্লেনের ডানা যেটা আমার জানালা দিয়ে পরিস্কার দেখা যাচ্ছিল সেটা গায়েব। পাইলট ঘোষণা দিল কেবিন ক্রুদের নির্দিষ্ট আসনে বসতে আর একটু পরেই আমরা কক্সবাজার এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করতে যাচ্ছি। আবহাওয়া খারাপ এর দরুন অনেক আগেই আমাদের সিট বেল্ট বেধে রাখার নির্দেশ ছিল।
হটাৎ কালো মেঘে চারিদিক অন্ধকার হয়ে আসলো। আর পনের হাজার ফুট উপর থেকে নীচে নেমে আসতে থাকা প্লেনটিকে নিয়ে যেন কেউ দুই হাতের মুঠোয় নিয়ে ঝালমুড়ি বানানোর মত ঝাকাচ্ছে। আশ্চর্যের বিষয় আমি যে কি না এই সময় ভয় পেয়ে থাকি সেই আমি শক্ত হাতে সামনের সীট ধরে বসে আছি। সামনের দিক থেকে অনবরত দোয়া দরুদ পাঠ শোনা যাচ্ছে। এইভাবে কিছুক্ষণ প্রবল ঝাকুনির সাথে ডাইনে বায়ে কাত হয়ে পাইলট সৈকতের অসামান্য দক্ষতায় আমাদের ইউ এস বাংলা রানওয়েতে অবতরণ করলো। নেপালের মত স্কিড করার ভয়ও ছিল। বৃষ্টিস্নাত সারা এয়ারপোর্ট জুড়ে একটা হযবরল অবস্থা।

যাই হোক লাগেজ আসলে পরে তা নিয়ে ভিজে ভিজে বাইরে এসে শুনি আমাদের সী পার্লের পিক আপ মাইক্রো বেশ খানিকটা দূরে দাঁড়ানো। কাকভেজা আমি সামান্য হেসে বললাম "আরেকটু দূরে দাড়ালে তো আপনাদের হোটেলের সামনেই দাড়াতে পারতেন"।
যাইহোক কলাতলী বীচের কাছে তাদের ভি আই পি লাউঞ্জে অপেক্ষারত আরো কিছু যাত্রী মিয়ে মেরিন ড্রাইভ ধরে রওনা হোলাম হোটেল সী পার্লের উদ্দেশ্যে। সারাদিন সারারাত অঝোর ধারায় বৃষ্টির পর পরদিন অর্থাৎ আজ রোদ উঠেছে। দেখুন আমার মোবাইলের ক্যামেরায় গতকালের ছবি।
আমাদের হোটেল থেকে পেছনের পাহাড়, হিমাচলের মত ভূমিধসের আশংকা আছে কি। সব লন্ড ভন্ড করে সামনের সাগরে নিয়ে ফেলবে
সব ছবি আমার মোবাইলে। সুন্দর একটা ভিডিও ছিল কিন্ত এখানে আপ্লোড করার সিস্টেম জানি না

সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬