একটু মুক্তি চাই
এই কর্মব্যস্ত নগরজীবন থেকে
ইট-কাঠের জঞ্জাল থেকে
রোজকার শত অযাচিত যন্ত্রণা থেকে।
বড্ড ইচ্ছে করে আজ
পাওয়া না পাওয়ার সব হিসেব চুকিয়ে ছুটে যাই আমার চির সবুজ গাঁয়ে।
যেখানে থাকবে না আটটা পাঁচটার এই বদ্ধ জীবন,
থাকবে না কোন বাঁধাধরা নিয়ম।
রোজ সকালে কাক নয় কোকিলের কুহূ কুহূ সুরে ভাঙ্গবে ঘুম।
প্রভাতের স্নিগ্ধ আভায় কিংবা বিকেলের শেষ আলোয় কাঁচা মাটির পথ ধরে হেঁটে যাবো দূর বহুদূর।
ভরদুপুরে বসে রবো তরুঘেরা পুকুর পাড়ে;
ঝিঁঝিঁ পোকার ডাকে সব হবে সুরাসুর।
সূর্য্যিমামা যখন তেজ হারিয়ে পশ্চিমে যাবে চলে
আঁকাবাঁকা লালমাটির পথ মাড়িয়ে দূর গাঁয়ের হাটে যাবো-
জিলেপী, মোয়া, মন্ডা, মিঠাই কিনে ফিরবো ঠিক সন্ধ্যা নামার আগেই।
যখন সাঁঝ নামবে দূর বনে
লাল আভা ছড়িয়ে পুরো আসমান জুড়ে,
ক্লান্ত কৃষক হাতে কোদাল, মাথায় মাথাল নিয়ে ফিরবে গাঁয়ের ধারে,
আমি সিজদায় লুটাবো প্রিয় মসজিদ ঘরে।
জ্যোৎস্না রাতে আধখানা চাঁদ যখন তার মিতালী নীল আসমান নিয়ে ভেসে রবে দিঘীর জলে,
বাঁকা চাঁদের স্নিগ্ধ আলোয় আলোকিত হবে পথ,ঘাট, মাঠ;
আমি বসে রবো দীঘির পাড়ে বাঁশঝাড়টার আড়ালে।
মাঝরাতে নিভে গেলে সব কটা প্রদীপ
চারিদিকে ঝোনাকি মেয়েরা জমাবে উৎসব;
আমাকে হয়তো পাবে কোন যাত্রা কিংবা পুঁথি পাঠের আসরে,
গেঁয়ো চাষাভুষাদের ভীরে।
যেখানে নগর জীবনের কল্পনারা রোজ আসে,
সাদা জোছনায় ভেসে
হয়ে সবটুকু বাস্তব!
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:১৫