আবহাওয়া অধিদফতরের চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদি পুর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসের মাঝামাঝি থেকে গড় স্ব্বাভাবিক বা সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কমতে থাকবে। সেই সঙ্গে গড় তাপমাত্রা বাড়বে। এতে বাড়বে শীতের অনুভূতি। নভেম্ব্বরের মাঝামাঝিতে এসেও গড় সর্বনিম্ন তাপমাত্রার চেয়ে গড় তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। এর ফলে দেশের কোথাও এখনো তেমন শীত অনুভূত হচ্ছে না। সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রার দীর্ঘমেয়াদি পুর্বাভাসে দেখানো হয়েছে, 15 নভেম্বরের পর থেকে তা কমতে থাকবে। 20 নভেম্ব্বর সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা 18 ডিগ্রির ওপরে থাকবে এবং 25 নভেম্ব্বর এই তাপমাত্রা থাকবে 17 ডিগ্রির কিছু বেশি। নভেম্ব্বর মাসের শেষে এ তাপমাত্রা নেমে আসবে 16 ডিগ্রির কাছাকাছি।
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, আমাদের মতো গরমের দেশে যদি তাপমাত্রা 16 ডিগ্রির কাছাকাছি থাকে তবে তাকে খুব বেশি শীত হিসাবেই বিবেচনা করা যায় না। গত কয়েক বছরই দেশে শীত পড়ছে ডিসেম্ব্বরের শুরুতে। মাঝামাঝি পর্যায়ে গিয়ে শীত একটু বেশি অনুভূত হলেও তা মাত্র কয়েক দিন স্থায়ী হয়। জানুয়ারি থেকেই শীত কমতে শুরু করে। নভেম্ব্বরের শুরুতে রাজশাহী, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ঢাকায় কয়েক দফা বৃষ্টি হয়। সাধারণ মানুষ এই বৃষ্টির পর শীত নামবে বলে আশা করলেও দেশের কোথাও তেমন শীত অনুভূত হয়নি। তবে চলতি সপ্তাহে ফরিদপুর, যশোর ও শ্রীমঙ্গলে কিছুটা শীত অনুভূত হচ্ছে। উত্তর গোলার্ধের শীতের বায়ু যদি হিমালয়ে বাধা পেয়ে দিলি্ল হয়ে বাংলাদেশে দেশে আসে তবে রাজশাহী, ঈশ্বরদী, চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে এবারো শীত বেশি পড়বে। আর শীতের বায়ু যদি আসে উত্তর প্রদেশ দিয়ে তবে সিলেট ও শ্রীমঙ্গলে শীত অনুভূত বেশি হবে। সাধারণ নিয়ম মেনে শীত আসার সময় ঘনিয়ে আসায় শীতের বায়ু আসার পথের এলাকাগুলোয় এখন কিছুটা শীত অনুভূত হতে পারে।
সুত্র: দৈনিক সমকাল
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



